
ছবিঃ জনকণ্ঠ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ক্রমশই বাড়ছে মাদকদ্রব্যের ভয়াবহতা। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ও পাড়া-মহল্লায় চলছে নানা ধরণের মাদকের বেচা-কেনা ও সেবন। মাদকাসক্ত হয়ে অর্থের জোগান দিতে বহু যুবক জড়িয়ে পরছে চুরি, ছিনতাইয়ের মতো অপরাধমূলক কাজে।
সূত্র বলছে গ্রামীণ পর্যায়ে মাদকসেবিদের চাহিদার তুঙ্গে থাকে গাঁজা, ইয়াবা ও ড্যান্ডি। এছাড়াও রয়েছে ফেনসিডিল ও দেশি-বিদেশি মদের চাহিদা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সীমান্ত পেরিয়ে আসা মাদক তিন ধাপে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে—প্রথমে মাদক সংগ্রহ, এরপর শহরের এজেন্টদের কাছে হস্তান্তর এবং শেষে খুচরা বিক্রেতার মাধ্যমে বাজারজাতকরণ।
পুলিশের তথ্যমতে চলতি বছরের মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সরাইল থানায় মাদক আইনে দায়ের করা মামলার সংখ্যা ৯টি। এসকল মামলায় গ্রেফতার হয়েছে ১৬ জন মাদকসেবি ও বিক্রেতা। উদ্ধার হয়েছে ৩৩ কেজি ৮০০ গ্রাম গাঁজা, ৩৬৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ৩০ বোতল স্কফ। অন্যদিকে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা এলাকায় এ সময়ে ৫২ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫ জনকে।
এ বিষয়ে সরাইল উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃআরিফুল ইসলাম সুমন বলেন, একজন মাদক ব্যবসায়ী একা নয়, এদের পেছনে সমাজের রাঘববোয়াল ও রাজনৈতিক ছত্রছায়াও রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সখ্যতা থাকায় এরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে।
স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা জানান, শিক্ষকরা নিয়মিত মাদকের কুফল নিয়ে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন চালালেও সামাজিক প্রতিরোধের অভাব প্রকট। তাঁরা বলেন, “সচেতনতা বাড়ানো না গেলে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে।
সরাইল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু বলেন, গ্রামাঞ্চলেও মাদকের সয়লাব দেখা দিয়েছে। প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। মাদকের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল হাসান বলেন, মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে কাজ করছে পুলিশ। বিভিন্ন সময়ে একাধিক মাদকসেবী ও বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে তবে এদের অনেকেই জামিনে বেরিয়ে আবার মাদকের কারবারে জড়িয়ে পড়ছে।
আলীম