ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পায়রা নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা ও আবাদি জমি

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল

প্রকাশিত: ১৭:২৭, ১৭ অক্টোবর ২০২২

পায়রা নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা ও আবাদি জমি

নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা ইউনিয়নে পায়রা নদীর ভাঙনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামের মানুষের চিরচেনা বসত ভিটা ও আবাদি জমি। গত ১০ বছরে প্রায় ৩ হাজার ফসলি জমি ও ১ হাজার বসত বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। এ জনপদকে রক্ষার ব্যাপারে নেই কোনো উদ্যোগ।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভরপাশা ইউনিয়নের লক্ষীপাশা, দক্ষিণ লক্ষীপাশা, দুধলমৌ গ্রামের মানুষ এখন নদী ভাঙনে দিশেহারা। চোখের সামনে কৃষকের একমাত্র সম্বল আবাদী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। আর তা চেয়ে চেয়ে দেখতে হচ্ছে অসহায় কৃষককে। ভরপাশা ইউনিয়নে এমন দৃশ্য এখন নৈমিত্তিক ঘটনা।  

যুগের পর যুগ ধরে পায়রা নদীর সর্বনাশা অব্যাহত ভাঙনে নদী পারের শত শত ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। মাথা গুজার ঠাঁই হারিয়ে এসব লোকজন অনত্র বসবাস করছেন। নদী ভাঙন অব্যাহত থাকলেও ভাঙ্গন রোধে কোন জন প্রতিনিধিদের উদ্যোগ।

ভরপাশা ইউনিয়নের গ্রামবাসীরা জানান, প্রতিনিয়ত এই এলাকার মানুষের ঘরবাড়ি নদীর গর্ভে বিলীন হচ্ছে। এ নিয়ে অতীতে সংবাদমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও সমস্যা সমাধানে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

দুধলমৌ গ্রামের ইউনুস আলী হাওলাদার জানান, পায়রা নদী,পাণ্ডব নদী,তুলাতলী এই ৩ নদীর মোহনায় নদী ভাঙনে আমরা সব হারিয়েছি। শত শত ঘরবাড়ি এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় বসবাস করছে। আরো বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ও স্থাপনা রয়েছে ঝুঁকির মধ্যে। 

লক্ষীপাশা গ্রামের সুমন গাজী জানান, পায়রা নদী ধীরে ধীরে ভরপাশা ইউনিয়ন খেয়ে ফেলছে। এভাবে নদী ভাঙন অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে এ ইউনিয়নের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।

ভরপাশা ইউপি চেয়ারম্যান আশ্রাফুজ্জামান খান খোকন জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন।

ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয়রা জানান, নদী ভাঙনে আমরা সব হারিয়েছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী ভাঙন প্রতিরোধে কখনো এগিয়ে আসেনি। এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
 

এসআর

সম্পর্কিত বিষয়:

×