স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কক্সবাজার জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের (ডিএফএ) সহ সভাপতি ও সদর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সহ ৫টি সংস্থার তালিকায় শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী শাহজাহান আনচারীর বাড়িতে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়েছে। তবে এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় কোন মাদক উদ্ধার বা কাউকে আটক করা যায়নি। বুধবার দুপুর ১২ টায় শহরের বাসটার্মিনাল সংলগ্ন ইয়াবা ডন খ্যাত শাহজাহান আনচারী সহ তার ভাইদের বাড়িতে এ অভিযান চালায় যৌথবাহীনি।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোরশিদ আলম বলেন, আমাদের তালিকামতে শীর্ষ কিছু মাদক বা ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। প্রথমে শাহজাহান আনচারী, পরে তার ভাই আবু সুফিয়ান, রশিদ আনচারী ও কাসেম আনচারীর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। তবে অভিযানের সময় বাড়িতে কেউ ছিল না। তাই মাদক বা কাউকে আটক করা যায়নি।
এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক মুজিবুর রহমান বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান সব সময় চলবে। যত বড় প্রভাবশালীই হউক না কেন ছাড় দেয়া হবে না। অভিযানের আগেই সবাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। এমনকি বাড়িতে কোন মহিলা পর্যন্তও নেই। অভিযানে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আদিবুল ইসলাম সহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে চিহ্নিত ইয়াবা গডফাদার শাহজাহান আনচারীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষোভের মধ্যে ছিল সাধারণ ক্রীড়ামুদি সহ সচেতন মহল। কারন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে অনেক শীর্ষ ইয়াবা ডন গা ঢাকা দিলেও শাহাজাহান আনচারী ছিল প্রকাশ্যে। জেলার ক্রীড়াঙ্গনকে আকড়ে ধরেই সে পার পেয়ে যাচ্ছিল।
একই সঙ্গে জেলার ক্রীড়াঙ্গনকে ধ্বংস করে আসছিল বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকজন সাবেক কৃতি ফুটবলারদের দাবী শাহজাহানের ইয়াবার ছোবলে কক্সবাজার থেকে রাইজিং স্টাল হলে ইংল্যান্ডের ম্যান চেস্টার সিটিতে যাওয়া ফুটবলার বাবু এবং ফাহিম এখন খেলা ছেড়ে ইয়াবা পাচারে জড়িয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে তার প্রধান সহযোগি হিসেবে কাজ করছে আরেক সাবেক খেলোয়াড় মো: হানিফ। এছাড়াও খালেদ, আমির হোসেন, টেকনাফের ফরহাদসহ ইয়াবা ব্যবসায় জড়িতদের বেশির ভাগই স্থান হয়েছে ডিএফএর কর্মকর্তা হিসেবে।
উল্লেখ্য শাহজাহান আনচারীর দাদার বাড়ি টেকনাফে। কয়েক বছর আগেও শহরের বাসটার্মিনালে গাড়ীর লাইনম্যান হিসেবে কাজ করতেন ওই শাহজাহান। ইয়াবার চালান হাতবদল করে কয়েক বছরের মধ্যে কলাতলীতে ২টি হোটেল সহ সুরম্য অট্টালিকা ও বিলাস বহুল গাড়ির মালিক বনে যায়।
