ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

দাউদ হায়দার

বাঁকা চাঁদের চোখে জল

প্রকাশিত: ০৩:৪৯, ৫ মার্চ ২০১৫

বাঁকা চাঁদের চোখে জল

তৈত্তরিয় উপনিষদে গল্প আছে একটি। গল্পটি রূপক। ধর্মকে সম্যক বোঝার জন্যে। প্রথমা, দ্বিতীয়া, তৃতীয়া চাঁদের আলোক বিচ্ছুরিত হলে আকাশ আলোকিত হইবে, এমত নহে। বাকি পক্ষকাল মেঘাক্রান্ত হইতে পারে। বাঁকা চাঁদে কালিমাও থাকিবে। ইহাই বিবেচার্থ। সংস্কৃত থেকে যে বাংলা অনুবাদ করলুম, পুরোপুরি ঠিক হলো না হয়তো। যেটুকু সংস্কৃত জ্ঞান, অন্নদাশঙ্কর রায়ের বাড়িতে থাকাকালে শিখেছিলুম, পড়তে পারি, লিখতে পারি নে, অনুবাদও আরো জঘন্য। কিন্তু মূলের প্রতি বিশ্বস্ত। এই বিশ্বস্ততায় যোগ নেই কোরীয় ভাষার। তবে, কোরীয় বন্ধুদের অনুবাদে জানছি, বান কি মুন প্রথমা চাঁদ। পয়লা চাঁদ। বাঁকা চাঁদ। জাতিসংঘের মহাসচিবের নাম বান কি মুন। জাতিসংঘের কর্তা। আমেরিকার মদদে কর্তা। বান কি মুনকে অন্তত দশবার দেখেছি বার্লিনে, সামনাসামনি, প্রেস কনফারেন্সে, প্রশ্ন করলে এড়িয়ে যান, কিংবা আবোলতাবোল বলেন। বলবেনই, হেতু, এই তথাকথিত ভদ্রলোক মুখোশধারী । পাঠককে মনে রাখতে হবে, জাতিসংঘের মহাসচিবকে আমেরিকার নির্দেশেই চলতে হবে। মুখ বন্ধ রাখতে হবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে। ইসরায়েল গণহত্যা চালাবে, ফিলিস্তিন ধ্বংস করবে, জাতিসংঘ মুখ সেলাই করবে। চা-চু একটু করবে বটে, লোক দ্যাখানো। কিন্তু যখন, বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াতের পোড়াও-জ্বালাও-অবরোধ-হরতাল-হত্যাকা-, বাঁকা চাঁদের মুখে কথা নেই, চুপ। বেগম জিয়ার অপরাধ, আদালত অবমাননা, আদালত উপেক্ষা, আইন উপেক্ষা, শতাধিক মানুষ হত্যায় পয়লা নেত্রী, বাঁকা চাঁদের কথা নেই। বেশি ঘাঁটাবেন না আমাকে। খুব বেশি লিখি না আমি। যা লিখি নানাদিক ভেবেচিন্তেই। শেখ হাসিনা, প্রধানমন্ত্রী, বাঁকা চাঁদের উদ্বেগ নিয়ে ভাবনার কিছু নেই। আমরা আছি। আওয়ামী লীগকে, আপনাকে রক্ষার জন্যে, বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে এখনও জাগ্রত। আমি আছি, ভয় নেই। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র রুখবোই, যে কোনও মূল্যে। জাতিসংঘের মহাসচিবকে চ্যালেঞ্জ করার দায় আমার। নিশ্চিত থাকুন। [email protected]
×