ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

আবারও এনফোর্সমেন্টে যাচ্ছে শাহজিবাজার পাওয়ার

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ১০ ডিসেম্বর ২০১৪

আবারও এনফোর্সমেন্টে যাচ্ছে শাহজিবাজার পাওয়ার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সাম্প্রতিককালে শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানির অস্বাভাবিক লেনদেনের জন্য গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আবারও এনফোর্সমেন্টে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৫৩৩তম সভায় এ সিদ্ধান্ত। কমিশনের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। জানা গেছে, কমিশন সভায় সাম্প্রতিক কোম্পানির অস্বাভাবিক লেনদেনের জন্য গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এই প্রতিবেদনে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে কমিশন পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য প্রতিবেদনটি এনফোর্সমেন্টে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। উল্লেখ্য, শেয়ারের দাম বৃদ্ধির পেছনে কোন ধরনের কারসাজি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে বিএসইসি গত ৯ নবেম্বর একটি কমিটি গঠন করে। কমিটিকে তাদের রিপোর্ট দেয়ার জন্য ১৫ কার্যদিবস সময় বেঁধে দেয়া হয়। এদিকে কমিটি গঠনের পরও শেয়ারের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় গত ১৮ নবেম্বর এর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় বিএসইসি। শেয়ারটিকে মার্জিন-ঋণ অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। অর্থাৎ এই শেয়ার কেনার জন্য বিনিয়োগকারীদের মার্জিন-ঋণ সুবিধা দিতে পারবে না কোন ব্রোকার হাউস এবং মার্চেন্ট ব্যাংক। সাধারণত সব ধরনের লেনদেন পাবলিক মার্কেটে নিষ্পন্ন হলেও শাহজিবাজার পাওয়ারের লেনদেন স্পট মার্কেটে নিয়ে আসা হয়। পাবলিক মার্কেটে কোন শেয়ার বিক্রি করা হলে তার বিপরীতে জেড ক্যাটাগরির ছাড়া যে কোন ক্যাটাগরির শেয়ার কেনা যায়। কিন্তু স্পট মার্কেটে এ ধরনের আর্থিক সমন্বয় নিষিদ্ধ। অন্যদিকে পাবলিক মার্কেটে নগদ টাকা জমা না দিয়েও চেকের বিপরীতে শেয়ার কেনা যায়। কিন্তু স্পট মার্কেটে শুধু নগদ টাকায় শেয়ার কিনতে হয়। এছাড়া ব্রোকার হাউসগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয় যেসব বিনিয়োগকারী শাহজিবাজার পাওয়ারের শেয়ার কিনবে তাদের তালিকা ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দিতে। উল্লেখ্য, গত ১৫ জুলাই সেকেন্ডারি মার্কেটে শাহজিবাজার পাওয়ারের শেয়ার লেনদেন চালু হয়। ওইদিন শেয়ারটি ৩৫ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে কেনাবেচা হয়। তবে পরদিন থেকেই এর দাম বাড়তেই থাকে। মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে শেয়ারটির দাম প্রায় ৮০ শতাংশ বেড়ে যায়। এত কম সময়ের ব্যবধানে শেয়ারটির দাম এতটা বেড়ে যাওয়ায় তা নিয়ে নানামুখী আলোচনা শুরু হয়। শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধির পেছনে কোন কারসাজি থাকতে পারে এমন সন্দেহে ২ আগস্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিএসইসি।
×