ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গুজব ছড়িয়ে ডিজেলের কৃত্রিম সঙ্কটের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত: ১১:১৪, ৩০ জানুয়ারি ২০২০

গুজব ছড়িয়ে ডিজেলের কৃত্রিম সঙ্কটের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কৃত্রিমভাবে ডিজেল মজুদ করে দাম বৃদ্ধি করলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)। বুধবার রাজধানী ঢাকার বিপিসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়েছে। প্রধান জ্বালানি তেল ডিজেল নিয়ে একটি মহল অপতৎপরতা চালাচ্ছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় দেশে পর্যাপ্ত ডিজেলের মজুদ রয়েছে। ভবিষ্যতে কোন ঘাটতি হওয়ার শঙ্কা নেই। সঙ্গত কারণে কোন প্ররোচনায় কান দেয়া থেকে সর্বসাধারণকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে বিপিসি। পেঁয়াজ এবং লবণের মতো গুজব ছড়িয়ে একটি মহল দেশে ডিজেল সঙ্কটের কথা প্রচার করছে, এই প্রচার কাউকে কান না দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে এখন সারাদেশে ১৩ দিনের ডিজেল মজুদ রয়েছে। ফেব্রুয়ারির শুরুতেই যা ২৫ দিনের মজুদে দাঁড়াবে। বিপিসি চেয়ারম্যান সামছুর রহমান বলেন, আকস্মিক দেশে ডিজেল বিক্রির পরিমাণ বেড়ে গেছে। আমাদের কানে এসেছে মহল বিশেষ থেকে এ ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। যা একেবারে অবাস্তব। এখন দেশে ১৩ দিন সরবরাহ করা যাবে এমন পরিমাণ ডিজেল রয়েছে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি এই মজুদ গিয়ে দাঁড়াবে ২৫ দিনের এবং ১ মার্চ তা গিয়ে দাঁড়াবে ২৯ দিনের। তিনি জানান, বুধবার দুটি জাহাজে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন এবং আজ বৃহস্পতিবার দুটি জাহাজে ৩৩ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আনলোড হবে। আগামী মাসের মধ্যে মোট মজুদ গিয়ে দাঁড়াবে পাঁচ লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টনে। এছাড়া কুতুবদিয়ায় আরও এক লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন মজুদের একটি জাহাজ রাখা হচ্ছে। যেটিতে ৪০ দিনের ডিজেল মজুদ থাকবে। ফলে কৃত্রিম সঙ্কটের যে প্রচার চালানো হচ্ছে তা ঠিক নয়। চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের এই মজুদের হিসাব থেকে বোঝা যায় চাহিদার চেয়ে বেশি মজুদ আছে। আমরা উল্টো এই অতিরিক্ত ডিজেল কিভাবে বিক্রি করব তা নিয়ে পরিকল্পনা করছি। তিনি বলেন, কেউ যদি গুজব ছড়িয়ে ডিজেলের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরির চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সঙ্কট তৈরির জন্য কেউ বাড়তি মজুদ করছে কিনা তা জানতে আমরা সংশ্লিষ্ট ডিপোগুলোর কাছে প্রতিবেদন চেয়েছি। তাদের প্রতিবেদন পেলে বোঝা যাবে কোথায় সমস্যা হয়েছে। এক্ষেত্রে কারা অতিরিক্ত ডিজেল তুলেছে তাও জানা যাবে। অস্বাভাবিক বিক্রির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি গত বছরের জানুয়ারি মাসের তুলনায় চলতি বছর বিক্রি প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি। জানুয়ারি মাসের কয়েকটা দিনের হিসাবে প্রায় অস্বাভাবিক বিক্রি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। প্রতিবেশী দেশ ভারতে আমাদের তুলনায় ডিজেলের দর বেশি। এজন্য একটি মহল তেল পাচার করতে পারে। অতীতেও বাংলাদেশ থেকে তেল পাচার হয়েছে। তেল পাচারের বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন, অতিরিক্ত ডিজেল কিনে কেউ যাতে পাশের দেশে বিক্রি করতে না পারে সেজন্য সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবিকে নজর রাখতে অনুরোধ জানিয়েছি।
×