ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এখনই সাঈদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না বাহফে!

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ২৯ অক্টোবর ২০১৯

এখনই সাঈদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না বাহফে!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ হকি ফেডারশনের (বাহফে) বর্তমান গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাহী কমিটির কেউ টানা ছয় মাস কার্যালয়ে না এলে বাতিল হয় তার সদস্যপদ। একই শাস্তি কার্যকর হবে তিনটি নির্বাহী কমিটির সভায় অনুপস্থিত থাকলেও। যার একটিরও ডেডলাইন পেরোননি একেএম মমিনুল হক সাঈদ। তাই বাহফের এই সাধারণ সম্পাদকের বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি গভর্নিং বডি। তবে রয়েছে একটি কিন্তু! কমিটির কারও কর্তৃক হকি ফেডারেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হলে সবাই মিলে একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কিন্তু রহস্যজনক বা অদৃশ্য কারণে এ বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন সবাই! তাই প্রশ্ন উঠেছে-সাধারণ সম্পাদকের ক্যাসিনো সম্পৃক্তায় তবে কি এতটুকুও ক্ষুণ্ন হয়নি ফেডারেশনের ভাবমূর্তি? তবে আসল ব্যাপার হচ্ছে-আইনগতভাবে সাঈদের বিরুদ্ধে অভিযোগ না পাওয়ায় এখনই তার ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না বাহফে। সোমবার কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সভা শেষে এ কথা জানান ফেডারেশনের সভাপতি এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত। তবে কমিটির তিনটি সভায় তিনি উপস্থিত না থাকলে তাকে ফেডারেশনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অপসারণ করা হবে। আপাতত তার জায়গায় একজন যুগ্ম-সম্পাদক দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ক্যাসিনো কাণ্ডের ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছেন বাহফের নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগ মহানগর দক্ষিণের নেতা সাঈদ। ফেডারেশনের নিয়ম অনুযায়ী কর্তারা তিনটি সাধারণ সভায় উপস্থিত না থাকলে ওই পদে নতুন করে নির্বাচন করার নিয়ম রয়েছে। ফেডারেশন সভাপতি চাইলে এই পদে নির্বাচন করাতে পারেন। অথবা নির্বাহী ক্ষমতায় এই পদে নির্বাচিত কমিটি থেকেই কাউকে পদে বসাতে পারেন। সে অনুযায়ী নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রামের ক্রীড়া সংগঠক মোহাম্মদ ইউসুফকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দেখা যেতে পারে। বাংলাদেশ হকির সর্বোচ্চ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাঈদ বর্তমানে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রাজধানীর মতিঝিলের ক্লাব পাড়ায় থাকা ক্যাসিনো নিয়ন্ত্রণের অন্যতম মূলহোতা তিনি। ‘বিষয়টা হচ্ছে কেউ যদি কোনও বিষয়ে অভিযুক্ত হন এবং আদালতে প্রমাণিত হয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া তিনটি বোর্ড সভায় উপস্থিত না থাকায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়ে থাকে। সে পর্যায়ে তো আসেনি। কোনও কিছুই কোনও ব্যক্তির জন্য থেমে থাকে না।’ অভিমত বাহফের সভাপতির। ফেডারেশন প্রধানের মতে, ‘আমার জানামতে তার বিরুদ্ধে থানায় কোনও সাধারণ ডায়েরি হয়নি। আদালতেও কোনও রায় হয়নি। এটার সঙ্গে হকির কোনও সম্পর্ক নেই। আমি না থাকলে আমার ডেপুটি কাজ করবে। সাধারণ সম্পাদক না থাকলে দুজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন তারা কাজ করবেন। সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। আদালত কর্তৃক অভিযুক্ত হলে তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী।’ তবে কারো কর্তৃক ফেডারেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হলে, তার সদস্যপদ বাতিলের যে এখতিয়ার রাখে নির্বাহী কমিটি, এ বিষয়ে সদুত্তর দেননি বাহফের কেউই। ক্যাসিনো কাণ্ডে বাহফের সাধারণ সম্পাদকের সম্পৃক্ততার খবর প্রকাশের পর এটাই ছিল প্রথম সভা গভর্নিং বডির। স্বাভাবিকভাবেই গণমাধ্যমের কৌতুহল ছিল, নিশ্চয়ই কোন সিদ্ধান্ত আসবে সাঈদের বিষয়ে। কিন্তু উৎকণ্ঠার গুড়ে বালি! তার বিষয়ে কোন কোন সিদ্ধান্তই নেয়নি গভর্নিং বডি।
×