ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অনুমোদন ছাড়াই ঋণ দিয়েছেন ফারমার্স ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকরা

প্রকাশিত: ০২:১০, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

অনুমোদন ছাড়াই ঋণ দিয়েছেন ফারমার্স ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকরা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ফারমার্স ব্যাংকের তারল্য সংকটের নেপথ্যে ব্যাংকটির উচ্চ পদস্থ কিছু কর্মকর্তা ও শাখা ব্যবস্থাপকদের বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম ও দুনীর্তির অভিযোগে উঠেছে। এদের মধ্যে অন্যতম ব্যাংকটির মাওনা শাখা প্রধান শেখ কামরুল হোসেন ও বসুন্ধরা শাখার জেষ্ঠ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব আহমেদ। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকে লিখিত অভিযোগ করে এসব তথ্য জানিয়েছেন ব্যাংকটির ভুক্তভোগী কিছু গ্রাহক। অভিযোগে দেখা যায়, ব্যাংকটির মাওনা শাখা ব্যবস্থাপক শেখ কামরুল হোসেন রীতিমত ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন সময় নিয়ম বর্হিভূত বিশাল অঙ্কের ঋণ দিয়েছেন। পে অর্ডারের মাধ্যমে বেশ কিছু গ্রাহকের ঋণ সীমা কমিয়ে দিয়ে সেই অর্থ নিজের ¯^ার্থ হাসিলে ব্যবহার করেছেন। এতে দেখা যায়, ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার অনুমোদন ছাড়াই মাওনা শাখা থেকে প্রায় ৪১ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ হয়েছে। এতে শুধুমাত্র পে অর্ডারের মাধ্যমেই ৫ কোটি ১৭ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা আতœসাৎ করেছেন শাখা প্রধান কামরুল হোসেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিভিন্ন সময়ে মর্টগেজ পাশ হওয়ার পূর্বেই সম্পূর্ণ অনৈতিক ও নিয়মবহির্ভূতভাবে কিছু গ্রাহকের ঋণ সন্দেহজনক ভাবেই পাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্লাবন এগ্রো, নাজমুল আলম ব্রিকস, এন এন এগ্রো ট্রেড, নিউ ফ্যামিলি নিডস, রানা অটো ব্রিকস, ইমতিয়াজ আহমেদ শাসুল হুদা, সেলিম অটো ব্রিকস লিঃ, দরবার কেমিকেল কোঃ, ইসলাম ব্রাদার্স, মা এন্টারপ্রাইজ ব্রিকস প্রাঃ লিঃ, মিল ট্রেডিং কর্পোরশেন, ডলফিন ট্রেড ইন্টাঃ, শানিমুন ইলেকট্রনিক্স, গোমতী ঔষধালয়, তৃণমূল মৎস খামার, সরকার কর্পোরেশন, ভান্ডারি পোল্ট্রি ফার্ম, মীরা মৎস খামার, সামিয়া মৎস এন্ড ডেইরি ফার্ম, ফ্রেন্ডস অটো’জ লিঃ প্রভৃতি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ঋণ নিয়মবহির্ভূতভাবে অনুমোদন করা হয়েছে। এ ধরনের অনিয়মের ফলে ব্যাংকটির ঋণখেলাপী গ্রাহকের তালিকা বড় হতে থাকে।
×