ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী

পেয়ারে পাকিস্তান যাদের হৃদয়ে তারা দেশের উন্নয়ন চায়নি

প্রকাশিত: ০৪:৫২, ১১ জানুয়ারি ২০১৮

পেয়ারে পাকিস্তান যাদের  হৃদয়ে তারা দেশের উন্নয়ন চায়নি

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশের চলমান উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারা ত্বরান্বিত করতে দেশবাসীর ঐক্যবদ্ধ সমর্থন কামনা করে বলেছেন, মাত্র ৯ বছর ক্ষমতায় থেকে বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে সবদিক থেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, সারাবিশ্বের সামনে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোলমডেল। কিন্তু আমার প্রশ্ন, স্বাধীনতার ৪৭ বছরের মধ্যে দীর্ঘ ২৮ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল তারা কেন দেশের উন্নয়ন করতে পারেনি? সারাবিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি কেন উন্নত করতে পারেনি? তার প্রধান কারণ হচ্ছেÑ এরা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী না। তারা দেশে থাকলেও তাদের হৃদয়ে পেয়ারে পাকিস্তান। পাকিস্তানের গোলামি করাই তাদের পছন্দ ছিল বলেই বাংলাদেশ উন্নত ও স্বাবলম্বী হোক তা কোনদিনই তারা চায়নি। একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই দেশ উন্নত হয়, এগিয়ে যায় আমরা তা প্রমাণ করেছি। বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের সঙ্গে খন্দকার মোশতাক ও জেনারেল জিয়ার জড়িত থাকার কথা পুনরুল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অনেকেই জেনারেল জিয়াকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্ত বলার চেষ্টা করেছিলেন। জেনারেল জিয়ার বহুদলীয় গণতন্ত্র মানে যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসন, ক্ষমতায়ন, ভোটের ও রাজনীতির অধিকার ফিরিয়ে দেয়া। কারাগারে বন্দী যুদ্ধাপরাধীদের মার্শাল ল’ অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে মুক্তি দিয়ে রাজনীতি করার অধিকারই ছিল জিয়ার বহুদলীয় গণতন্ত্রের নমুনা। তিনি বলেন, জনগণের গণতন্ত্র নয়, প্রতি রাতে কার্ফ্যু গণতন্ত্রের নামে স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসন জেনারেল জিয়া করেছিলেন বলেই দেশ এগিয়ে যেতে পারেনি, বরং অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিল। ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার কাছে ওয়াদা দিয়ে বলেন- ‘বঙ্গবন্ধু তোমায় কথা দিলাম- বাংলাদেশকে তাঁর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তুলব। ’২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব। আর ’৪১ সালের মধ্যে বিশ্বে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলব।’ এজন্য প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর ঐকান্তিক সমর্থন ও সহযোগিতাও কামনা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিম-লীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, গৃহায়নমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়র মোশাররফ হোসেন, ইতিহাসবিদ-কলামিস্ট অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, কেন্দ্রীয় নেতা মারুফা আকতার পপি, উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। সভা পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে স্বাধীনতাবিরোধী, বঙ্গবন্ধুর খুনী ও যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে ক্ষমতা দখল করে খুনী মোশতাক ও জেনারেল জিয়ারা। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে বঙ্গবন্ধুর নাম ও ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বাজানোও নিষিদ্ধ করা হয়। বাংলাদেশের মানুষকে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যাচারের মাধ্যমে বিভ্রান্তির বেড়াজালে ফেলে দেয়া হয়। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুই বলেছিলেন- বাংলাদেশের মাটি খুব উর্বর। উর্বর মাটিতে গাছ-পালার সঙ্গে কিছু আগাছাও জন্ম নেয়। তেমনি খুনী মোশতাকের মতো গাদ্দারের জন্ম হয়েছিল এদেশের মাটিতে। পাকিস্তানী হানাদাররা এদেশে গণহত্যা চালিয়েছিল, সারাদেশের গ্রামগঞ্জ জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল। আর তাদের সাহায্য করেছিল আমাদের দেশেরই কিছু কুলাঙ্গার আলবদর-রাজাকার-আলশামসরা। বিএনপি-জামায়াত জোটের অগ্নিসন্ত্রাস ও মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার ভয়াল চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জেনারেল জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়াও একাত্তরের স্বীকৃত গণহত্যাকারী-যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়ে তাদের হাতে তুলে দেন লাখো শহীদের রক্ত¯œাত জাতীয় পতাকা। স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধীরাই যেন হয়ে যায় এদেশের হর্তা-কর্তা-বিধাতা। ২১ আগস্ট ভয়াল গ্রেনেড হামলা, একসঙ্গে ৫শ’ স্থানে বোমা হামলা, জঙ্গী-সন্ত্রাস, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, নারী নির্যাতন এমন কোন শ্রেণী-পেশার মানুষ নেই যে বিএনপি-জামায়াত জোটের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়নি। তিনি বলেন, একাত্তরে পাকিস্তানী হানাদাররা যেভাবে গণহত্যা ও জ্বালাও-পোড়াও চালিয়েছিল, বিএনপি-জামায়াত জোট ঠিক একই কায়দায় আন্দোলনের নামে নির্বিচারে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে। সরকার উৎখাত না করে ঘরে ফিরব না এ কথা বলে খালেদা জিয়া নির্বিচারে শ’ শ’ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে, সারাদেশে নাশকতা চালান। কিন্তু দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের সব ষড়যন্ত্র নস্যাত করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের মানুষ প্রথম উপলব্ধি করে যে, সরকার শাসক নয়, জনগণের সেবক। ’৯৬-২০০১ এই পাঁচ বছর ছিল বাংলাদেশের জন্য উন্নয়নের স্বর্ণযুগ। এরপর বিএনপি-জামায়াত জোট ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে দেশকে আবারও পিছিয়ে দিয়ে যায়। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে জনগণের ভোটে পুনরায় ক্ষমতায় এসে আমরা ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতিকে আবারও মজবুত করি। বাংলাদেশ আজ সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। সারাবিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোলমডেল। আমরা বঙ্গবন্ধুর খুনী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করেছি। আবেগজড়িত কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ঐতিহাসিক সেই মুহূর্তের স্মৃতি স্মরণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানে বন্দী করার পর দীর্ঘ ৯ মাস আমরা জানতাম না তিনি বেঁচে আছেন কি না। কারণ বঙ্গবন্ধুর পাশাপাশি ধানম-ির ১৮ নম্বর বাড়িতে আমাদের পরিবারের সবাইকে বন্দী করে রাখা হয়। পাকিস্তান থেকে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু যখন প্রথম লন্ডনে যান, তখন জানতে পারি তিনি বেঁচে আছেন। বঙ্গবন্ধু লন্ডন থেকে যখন আমাদের কাছে ফোন করেছিলেন- তখন আমাদের কথা বলার মতো কোন অবস্থা ছিল না। শুধু আমাদের অপেক্ষা ছিল কখন ফিরে আসবেন আমাদের জাতির পিতা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১০ জানুয়ারি দেশে প্রত্যাবর্তন করে আমাদের কাছে নয়, বিমানবন্দর থেকে সোজা চলে গিয়েছিলেন তাঁর প্রিয় এদেশের মানুষের কাছে। তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণে কীভাবে স্বাধীন দেশ গড়ে তোলা হবে, কোন নীতিতে এদেশ চলবে ও গড়ে উঠবে সেই দিক-নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলেছিলেন। মাত্র ১০ মাসের মধ্যে বাঙালী জাতিকে শাসনতন্ত্র উপহার দিয়েছিলেন। যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলতে দেশকে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীর দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই স্বাধীনতাবিরোধী দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা চরম আঘাত হেনে বাঙালী জাতিকে অগ্রগতির মিছিল থেকে ফেলে দেয়। দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধনমন্ত্রী। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় হলেও প্রকৃতপক্ষে ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনই কোটি কোটি বাঙালী জাতি স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ ও আনন্দ উপভোগ করেছিলেন। আজ তাঁরই কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। সততা, নিষ্ঠা ও কর্মের কারণে সারাবিশ্বের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সৎ নেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। আজও শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের মধ্যে কৌশলে বিভেদ সৃষ্টি করে দেশকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বাঙালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে পুনরায় শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় এনে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর দুটি স্বপ্ন ছিল। একটি স্বাধীনতা, আরেকটি বাঙালীর অর্থনৈতিক মুক্তি। বঙ্গবন্ধু আজ আমাদের মাঝে নেই। আজ তাঁরই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে তিনি জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন। বিশ্ব নেতারা বাংলাদেশের বিষ্ময়কর উন্নয়ন ও উত্থান দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ। শেখ হাসিনা আজ শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, সততা-নিষ্ঠার দিক থেকে সারাবিশ্বের মধ্যে তিনি এক মহান নেতায় পরিণত হয়েছেন। কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু ছাড়া স্বাধীনতা পরিপূর্ণতা পেত না। ওই সময় যে ষড়যন্ত্র চলেছিল, সেই ষড়যন্ত্র এখনও চলছে। ’৮১ সালে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফেরত না এলে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার হতো না, যুদ্ধাপরাধীদেরও বিচার হতো না। বঙ্গবন্ধু তুমি দেখে যাও- তোমারই কন্যার হাতে আজ ঐশ্বর্যে, ধন-ধান্য পরিপূর্ণ বাংলাদেশ। শিক্ষাবিদ-কলামিস্ট অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, একাত্তরের পাকিস্তানপ্রেমী বাঙালীরাই আজ বিএনপিসহ সাম্প্রদায়িক দলে ভিড়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আজ সিদ্ধান্ত নিতে হবে পাকিস্তানীদের কেন বাংলাদেশে রাজনীতি করতে কেন দেব? অবশ্যই এদের নিষিদ্ধ করতে হবে। আগামী নির্বাচন অস্তিত্বের প্রশ্ন। বর্তমানের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া জাতির সামনে আর কোন বিকল্প নেই। এজন্য বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতিকে অবশ্যই বর্জন করতেই হবে। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে তাদের ব্যালটের মাধ্যমে তা প্রতিফলিত করতে হবে। গ্রামে-গঞ্জে বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ হারলে আওয়ামী লীগের জন্যই হারবে। কেননা প্রতিটি আসনে আ’লীগের অসংখ্য প্রার্থী। তাই নব্য আওয়ামী লীগারদের সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। ষড়যন্ত্র হচ্ছে তাই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে। আমাদের মধ্যেই ষড়যন্ত্রকারী আছে, তাদের শনাক্ত করতে হবে। গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্বাধীন দেশে ফেরত না এলে বাংলাদেশ থেকে কখনও ভারতীয় মিত্রবাহিনী ফেরত যেত না। দেশের বর্তমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।
×