ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বুধবার মার্কিন দূতাবাস ঘেরাওয়ের ঘোষণা হেফাজতের

প্রকাশিত: ০০:১০, ৮ ডিসেম্বর ২০১৭

বুধবার মার্কিন দূতাবাস ঘেরাওয়ের ঘোষণা হেফাজতের

অনলাইন রিপোর্টার ॥ ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় ঢাকার মার্কিন দূতাবাস ঘেরাও করে প্রতিবাদ জানাবে চট্টগ্রামভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম। আগামী বুধবার বেলা ১১টায় দূতাবাস ঘেরাও করা হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতা নূর হোসেন কাসেমি। শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটের ভেতরে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পের ঘোষণার প্রতিবাদে ঢাকায় এ বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছে। কাসেমি বলেন, যতদিন পর্যন্ত রাজধানীর (জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ট্রাম্পের স্বীকৃতি) এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না হবে, আমাদের সংগ্রাম চলবেই। আপনারা বুধবারের কর্মসূচি সফল করে এই সিদ্ধান্তকে সমর্থনকারী আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে তারা একটি মিছিল করে এবং মোনাজাত করে। এদিকে একই দাবিতে সড়ক বন্ধ করে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্য আন্দোলন এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিশ। দুপুর পৌনে ২টা থেকে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। এ সময় বেরিকেড দিয়ে বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেটের বাইরে দুই পাশের সড়কে অবস্থান নিয়েছে তারা। দুই সড়কের অভিমুখে বেরিকেড দিয়ে সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। মিছিল নিয়ে তাদের বাইতুল মোকাররম সড়কের বাইরে যেতে দেয়া হবে না। ফ্রান্স, তুরস্ক, সৌদি আরবের মতো দেশগুলোর আহ্বানের তোয়াক্কা না করেই ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তি আরও বাড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে। এমনকি ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎস এক সম্পাদকীয় নিবন্ধে মন্তব্য করেছে, এই সিদ্ধান্তে শুধু লাভ হলো ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও তার অতি কট্টরপন্থী সমর্থকদের। ট্রাম্পের বিতর্কিত ওই ঘোষণার পরই বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে ট্রাম্পের ঘোষণার পর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নতুনভাবে ইন্তিফাদা বা অভ্যুত্থানের ঘোষণা দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল বলেও মনে করে সংগঠনটি।
×