ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা

প্রকাশিত: ০১:০০, ২১ নভেম্বর ২০১৭

হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ দিনাজপুর হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করার প্রতিবাদে ডাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের অবস্থান ধর্মঘটে হামলার অভিযোগ উঠেছে। উপাচার্যের সমর্থক শিক্ষার্থীদের হামলায় এ সময় ৬ শিক্ষক আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা এবং একটি স্বার্থান্বেষী মহলের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার মঙ্গলবার সকালে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করে। জানা যায়, সোমবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের নেতা ডা. এসএম হারুন উর রশিদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও পরামর্শ বিভাগের পরিচালক পদ থেকে অপসারণ করা হয়। এরপর ওই পদে প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন খানকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এই ঘটনার পরপরই প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের শিক্ষকরা উপাচার্যের কক্ষের মেঝেতে বসে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (উপচার্য) প্রফেসর ড. মু. আবুল কাশেম। সোমবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে উপাচার্যের সমর্থক একদল শিক্ষার্থী তার কক্ষে প্রবেশ করে। এ সময় তারা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে অবরুদ্ধ উপাচার্যকে বের করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের নেতারা। হামলায় আহত শিক্ষকরা হলেন হাফিজ আল আমীন পলাশ, সাজদিক আহমেদ, হাসান জামিল, মাসুদ ইবনে আফজাল, আতিকুল হক ও রুবাইয়াত হাসান। প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. বলরাম রায় জনকন্ঠকে জানান, এই ধরনের ঘটনা ন্যাক্কারজনক। আহত শিক্ষকদের হাসপাতালের ভর্তি করানো হয়েছে। তাদের চিকিৎসা শেষে পরবর্তী কর্মসূচির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে দুই দিন আগে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও পরামর্শ বিভাগের পরিচালক ডা. এসএম হারুন উর রশিদ। সে কারণে তাকে অপসারণ করা হয়েছে বলে প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের অভিযোগ। সোমবার বিকালে ভিসির কক্ষে অবস্থান ধর্মঘটের নেতৃত্ব দেন প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. আনিস খান, সাবেক রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. সাইফুর রহমান, সাবেক প্রক্টর প্রফেসর ড. এটিএম শফিকুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ ফেরদৌস মেহেবুব, সহ-সাধারণ সম্পাদক ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ডা. এসএম হারুন-উর-রশিদ, প্রফেসর ড. নাজিম উদ্দিন, প্রফেসর ড. মামুনুর রশিদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফোরামের অন্যান্য সদস্যরা। এদিকে মঙ্গলবার সকালে মানববন্ধন কর্মসূচী শেষে প্রতিবাদ সভায় হাবিপ্রবি পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন পোস্টগ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ অনুষদের ডীন প্রফেসর মো. মিজানুর রহমান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. শাহাদাৎ হোসেন খান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের ডীন প্রফেসর ডা. মো. ফজলুল হক, সহকারী প্রক্টর সৌরভ পাল চৌধুরী, পি এস টু ভাইস চ্যান্সেলর ও সেকশন অফিসার মোহাম্মদ সামসুজ্জোহা বাদশা, ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাজী নিশাত সুলতানা, কর্মচারী মো. আব্দুর রহিম, শ্রমিক নেতা রাজু আহমেদ, ছাত্রলীগ নেতা ভেটেরিনারি অনুষদের লেভেল-৫ এর ছাত্র মো. মারুফ, কৃষি অনুষদের লেভেল-৪ এর ছাত্র রিয়াদ খান, কৃষি অনুষদের লেভেল-৩ এর সাধারণ শিক্ষার্থী সাদিয়া ইয়াসমিন প্রমূখ।
×