ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্পট ফিক্সিং এবং জুয়া ক্যান্সারের মতো ॥ ওয়াকার ইউনুস

প্রকাশিত: ১৮:৩৩, ২০ নভেম্বর ২০১৭

স্পট ফিক্সিং এবং জুয়া  ক্যান্সারের মতো ॥ ওয়াকার ইউনুস

অনলাইন ডেস্ক ॥ ভদ্র লোকের খেলা ক্রিকেট। কিন্তু স্পট ফিক্সিংয়ের মতো অপরাধের জন্য প্রায়শই কুলষিত হচ্ছে খেলাটি। ফিক্সিং অপরাধে জড়িয়ে পড়া অন্যদের মধ্যে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সংখ্যাটাই একটু বেশি। পাকিস্তান সুপার লিগের শেষ আসরে ফিক্সিং অপরাধের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে দেশটির ক্রিকেটার শারজিল খান, খালিদ লতিফ এবং মোহাম্মদ ইরফানদের মতো ক্রিকেটারদের। ক্রিকেটকে বিশুদ্ধ রাখতে স্পট ফিক্সিং অপরাধের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী রয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। ফিক্সিং অপরাধটিকে খেলার জন্য ক্যান্সারের মতো মনে করেন দেশটির প্রাক্তন ক্রিকেটার ওয়াকার ইউনুস। ফিক্সিং নিয়ে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের কোচ ওয়াকার বলেন, ‘ক্রিকেট ও অন্যান্য খেলাধূলায় স্পট ফিক্সিং এবং জুয়া হচ্ছে ক্যান্সারের মতো। সব ধরনের ক্রিকেট থেকে এটি সমূলে উঠিয়ে ফেলতে ক্রিকেট বোর্ডের পদক্ষেপ নেওয়াটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ফ্র্যাঞ্চাইজির সব ক্রিকেটারদের নিয়ে যাচাই-বাছাই করছি। আমরা আশা করছি পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএলে)এমন ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না।’ ২০০০ সালে ফিক্সিং অপরাধের জন্য ক্রিকেট থেকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন টেস্ট ক্রিকেটার সালিম মালিক। ২০১০ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে স্পট ফিক্সিং অপরাধে জড়িয়ে পড়েন পাকিস্তানের তৎকালীন অধিনায়ক সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমির। এ অপরাধের জন্য তাদের তিনজনকে কমপক্ষে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে ক্রিকেটর সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি। এরপর ২০১২ সালে স্পট ফিক্সিং অপরাধের জন্য পাকিস্তানি লেগ স্পিনার দিনেশ কানেরিয়াকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড।
×