ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

বাঁশখালীতে হাইকোর্টের নির্দেশে চলছে পাহাড় ভরাট কার্যক্রম

প্রকাশিত: ০১:২০, ১৪ নভেম্বর ২০১৭

বাঁশখালীতে হাইকোর্টের নির্দেশে চলছে পাহাড় ভরাট কার্যক্রম

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী ॥ চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট বিভাগের হাইকোর্ট ডিভিশনের নির্দেশে কালীপুর ইউনিয়নের খেদামুড়া নামক কাটা পাহাড়ের ভরাট কার্যক্রম চলছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে বালি মাটি সংগ্রহ করে গত ৭-৮ দিন ধরে এ পাহাড় ভরাট কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। সরজমিনে মঙ্গলবার (১৪ নবেম্বর) পাহাড় ভরাট কার্যক্রম স্থলে গিয়ে দেখা যায়, ২০-৩০টি মিনিট্রাক যোগে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা হতে মাটি ও বালি নিয়ে আসা হচ্ছে। এ কাজে প্রায় অর্ধশতাধিক শ্রমিক কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে কালীপুর ইউনিয়নের জঙ্গল গুনাগরী এলাকায় পাহাড় কেটে ৬ মাসে ২৬ হাজার ট্রাক মাটি বিক্রি শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর মানবিধকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়েন করেন। ওই মামলা প্রধানমন্ত্রী মুখ্য সচিব, পরিবেশ মন্ত্রণালয় সচিব, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, এসপি, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জসহ সাতজনকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। এরই প্রেক্ষিতে গত ৩১ অক্টোবর মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মোঃ আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বাঁশখালীর কালীপুর ইউনিয়নের খেদা মুড়া নামক ওই কাটা পাহাড় পুনঃ ভরাট করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলী ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার ও রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবি মনজিল মোরশেদ। এ ব্যাপারে কালীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এডভোকেট মোঃ শাহাদত আলম বলেন, মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ বাস্তবায়নে সার্বক্ষনিক তত্বাবধানের মাধ্যমে পাহাড় ভরাট কার্যক্রম চলছে। নির্ধারিত তারিখের এই কার্যক্রম বাস্তবায়নের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাছাড়া পূর্বের ন্যায় পাহাড়ের শ্রী ফিরিয়ে আনতে এ প্রয়াস বলে তিনি জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান মোল্লা বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়নে সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র সহযোগিতায় মাটি ভরাট কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে আন্তরিক ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
×