ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ঢাবিতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে দিয়ে অভিযোগ করিয়েছেন শিক্ষক

প্রকাশিত: ০৩:১২, ১৪ অক্টোবর ২০১৭

ঢাবিতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে দিয়ে অভিযোগ করিয়েছেন শিক্ষক

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে এক শিক্ষক বিভাগের ছাত্রীকে দিয়ে একই বিভাগের আরেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর ও ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম খান একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু মূসা মো. আরিফ বিল্লাহ’র বিরুদ্ধে এমনটি করেছেন। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি (ডুজা) কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে আরিফ বিল্লাহ এই অভিযোগ করেন। আরিফ বিল্লাহ বলেন, গত ১০ অক্টোবর আমার বিরুদ্ধে এক ছাত্রী কটুক্তি করার অভিযোগ করেন বলে আমি জানতে পারি। অভিযোগের ভিত্তিতে তড়িঘড়ি করে ১২ অক্টোবর বিভাগের একাডেমিক কমিটি একটি জরুরি মিটিং আহ্বান করে। মিটিংয়ে ছাত্রীকে ইভটিজিং করার অভিযোগ তোলা হয়। পূর্বের অভিযোগ পরিবর্তন করা হয়েছে ধারণা করে পরবর্তীতে যেনো অভিযোগটি আবার পরিবর্তন না করা হয়; তার জন্য একটি কপি দাবি করি। কিন্তু বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুস সবুর খান বলেন, কপি দেওয়া যাবে না। আমি বিভাগের সবার শিক্ষক অধ্যাপক কুলসুম আবুল বাশারের নিকট একটি কপি জমা রাখার দাবি জানায়। কিন্তু চেয়ারম্যান তার কাছেও দেননি। ওই মিটিংয়ে তাকে ক্লাস পরীক্ষা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, মিটিংয়ে চেয়ারম্যান পত্রে অভিযোগকারী কোনো বিচার চাননি বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু সাইফুল ইসলাম খান দূর থেকে বলেন, ‘না তুমি ভূল বলছো’ দেখ নিচের দিক থেকে দুই লাইন উপরে বাম পাশে সে কথা লেখা আছে। এর থেকে প্রমাণ হয় সাইফুল ইসলাম খান অভিযোগটির খসড়া করে দিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরিফ বিল্লাহ বলেন, তিনি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অন্যের বই ও গবেষণা জালিয়াতি, গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি, কলা ভবনের এক কক্ষ সংস্কারে আর্থিক অনিয়ম, আলমারি নিয়ে নেওয়া সহ একাধিক অভিযোগ করেছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাইফুল ইসলাম বিভাগের ছাত্রীকে দিয়ে তার বিরুদ্ধে কটুক্তি করার অভিযোগ করিয়েছেন। প্রসঙ্গত, সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দীর্ঘদিন ধরে একাধিক অভিযোগ তদান্তাধীন রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ^বিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ।
×