ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

আশা প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমানের

চলতি বছরেই নিষ্পত্তি হবে ২১ আগস্ট মামলা

প্রকাশিত: ০৫:১০, ২২ আগস্ট ২০১৭

চলতি বছরেই নিষ্পত্তি হবে ২১ আগস্ট মামলা

বিকাশ দত্ত ॥ ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভায় বর্বরোচিত ও বহুল আলোচিত গ্রেনেড হামলার মামলা চলতি বছরেই নিষ্পত্তি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ রেজাউর রহমান। মামলার আসামিপক্ষের সময়ক্ষেপণসহ অন্যান্য মামলার চিত্র তুলে ধরে বলেছেন, বিচারপ্রাথী মানুষ এবং দেশের জনগণ অধিক সময় অধীর আগ্রহে দিন কাটাচ্ছেন সেটা অচিরেই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মাধ্যমে পরিসমাপ্তি ঘটবে। বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাওলানা তাইজুদ্দিন, হারিছ চৌধুরী ও শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জন পলাতক রয়েছেন। এই ১৯ আসামি এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন। বর্তমানে আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি চলছে। ২২ ও ২৩ আগস্ট এ মামলার শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। এরপর উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুরু হবে বলে জানা গেছে। ঐ হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জনের নির্মম মৃত্যু হয়। ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারা অনুয়ায়ী আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য পেশ করা হয়। এরপর আসামিপক্ষে সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ১৩ জন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে এবং আরও ৮ জন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের কথা রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ রেজাউর রহমান জনকণ্ঠকে বলেছেন, গ্রেনেড হামলার ১৩ বছর জন্ম হয়েছে। কিন্তু বিচার শুরু হয়েছে অনেক পরে। বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোট সরকারের সময় তদন্ত কাজ অগ্রসর হতে পারেনি। মূল আসামিদের আড়াল করার জন্য চারদলীয় ঐক্যজোট সর্বাত্মক চেষ্টো করেছে। একপর্যায়ে জজমিয়া নাটকও সৃষ্টি করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। আমরা মামলা করার সময় দেখেছি আর্জেস গ্রেনেড তো সামরিক বাহিনীতে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। সেই আর্জেস গ্রেনেড নিক্ষেপ করে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহামানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জনকে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তানসহ এ উপমহাদেশে নয় সারা পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত আর্জেস গ্রেনেড ব্যবহার করে মানুষ হত্যার নজির নেই। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি তারা বার বার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি এবং বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য বার বার আঘাত করা হয়েছে। ১৫ আগস্ট তৎপরবর্তী সময় জেলাখানায় ৪ জাতীয় নেতা হত্যা তার ও পরবর্তী সময় ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্যই এ হামলা চালনো হয়েছে। তদন্ত করে পাওয়া গেছে এই আর্জেস গ্রেনেড পাকিস্তান থেকে এসেছে। পাকিস্তানের সহযোগিতায় ও সাহায্যে চারদলীয় জোট প্রশাসনিক ও আর্থিক সহাযোগিতা করে এ অপরাধ সংঘটিত করেছিল। ইতোমধ্যে আমরা ২২৫ জন সাক্ষী আদালতে উপস্থাপন করেছি। তাদের আসামিপক্ষের আইনজীবীগণ পর্যাপ্ত জেরা করেছে। কোন কোন সময় অপ্রয়োজনীয় অপ্রাসঙ্গিক জেরাও করেছে। আসামিপক্ষ ৫ বার হাইকোর্টে গিয়েছে। সেখানে ২৯২ কার্যদিবস ব্যয় হয়েছে। এ মামলায় আসামি সংখ্যা বেশি সাক্ষীদের সংখ্যাও বেশি। অন্যান্য সমসাময়িক চাঞ্চল্যকর মামলায় আসামিদের অনেকেই সম্পৃক্ত ছিল ফলে তারা কোন সময় কেউ কেউ সিলেটে হয়রত শাহজালাল (র.) মাজারে ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধরীর উপরে গ্রেনেড হামলা মামলায় আসামি গিয়েছে। চট্টগ্রাম ১০ ট্রাক অস্ত্র চালান মামলা, কোটালীপাড়া গোপালগঞ্জের ৭৬ কেজি বোমা পুঁতে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা রাখা মামলা, রমনা বোমা হামলা মামলা, সিপিবি বোমা হামলা, আসিটি মামলায় আসামি গেছে। তখন এই দুটি মামলায় (হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের ২৯/১১ (হত্যা) ও ৩০/১১ (বিস্ফোরক) মূলতবি রাখতে হয়েছে। ফলে সময় ব্যয় হয়েছে। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ একটি টিমের মাধ্যমে ন্যায় বিচার সমন্বত রেখে মামলা দুটি বিচার নিষ্পত্তি তে পৌঁছাবার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। এবং আশা প্রসূন করেছি বিচারপ্রাথী মানুষ এবং দেশের জনগণ অধিক সময় অধীর আগ্রহ দিন কাটাচ্ছেন সেটা অচিরেই ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মাধ্যমে পারিসমাপ্তি ঘটবে। বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময়ে মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য জজমিয়া নাটক সাজানো হয়। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে এসে এ মামলার পুনঃতদন্ত শেষে ৫২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট প্রদান করা হয়। এর মধ্যে গ্রেফতার আছে ২৩ জন। ৮ জন জামিনে রয়েছেন। অন্যদিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ আসামি পলাতক রয়েছে। মৃত্যুর কারণে মুফতি হান্নানসহ তিনজনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আলোচিত এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ৫১১ সাক্ষীর মধ্যে ২২৫ জন সাক্ষ্যপ্রদান করেছেন। মামলার নথি থেকে জানা যায়, মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে থানা পুলিশ। পরে তদন্তের দায়িত্ব পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরে মামলাটি যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি)। ২০০৮ সালের ১১ জুন মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন সিআইডির জ্যেষ্ঠ এএসপি ফজলুল কবির। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে এ মামলাটির তদন্ত ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠে, যা পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে। ২০০৯ সালের ৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন। মামলাটি তদন্তের ভার পান সিআইডির পুলিশ সুপার আব্দুল কাহ্হার আখন্দ। তিনি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তারেক রহমানসহ ৩০ জনের নাম যুক্ত করে মোট ৫২ জনের নামে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি অভিযোগপত্র দেন। তবে মামলায় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, জঙ্গী নেতা মুফতি হান্নান ও জেএমবির সদস্য শহিদুল আলম বিপুলের মৃত্যুদ- কার্যকর হওয়ায় তাদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে। এখন আসামির সংখ্যা ৪৯, যাদের মধ্যে তারেক রহমানসহ পলাতক রয়েছেন ১৮ জন। এছাড়া জামিনে রয়েছেন আটজন ও কারাগারে ২৩ জন। বাকি ১৯ পলাতক আসামির অনুপস্থিতিতেই বিচার কাজ চলছে। একই সঙ্গে পলাতকদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টাও অব্যাহত আছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একটি হত্যা মামলা ও অপরটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলা। পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন বিশেষ এজলাসে বিচার কাজ চলছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে ওই সমাবেশে একটি ট্রাকের ওপর অস্থায়ী মঞ্চে যখন শেখ হাসিনা বক্তৃতা দিচ্ছিলেন তখন আকস্মিক এ হামলা চালানো হয়। একের পর এক গ্রেনেড বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলে মারাত্মক বিশৃঙ্খলা ও ধোঁয়াচ্ছন্ন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এ সময় ঢাকার তৎকালীন মেয়র মোহাম্মদ হানিফ এবং ব্যক্তিগত দেহরক্ষীসহ অন্য নেতৃবৃন্দ তাৎক্ষণিকভাবে একটি মানব বলয় তৈরি করে নিজেরা আঘাত সহ্য করে দলীয় সভানেত্রীকে গ্রেনেডের হাত থেকে রক্ষা করেন। তবে গ্রেনেডের আঘাত থেকে বেঁচে গেলেও তার (শেখ হাসিনা) শ্রবণ শক্তির ক্ষতি হয়। এ বর্বরোচিত হামলায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমান, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ল্যান্স করপোরাল (অব) মাহবুবুর রশীদ, আবুল কালাম আজাদ, রেজিনা বেগম, নাসির উদ্দিন সরদার, আতিক সরকার, আবদুল কুদ্দুস পাটোয়ারি, আমিনুল ইসলাম মোয়াজ্জেম, বেলাল হোসেন, মামুন মৃধা, রতন শিকদার, লিটন মুনশী, হাসিনা মমতাজ রিনা, সুফিয়া বেগম, রফিকুল ইসলাম (আদা চাচা), মোশতাক আহমেদ সেন্টু, মোহাম্মদ হানিফ, আবুল কাশেম, জাহেদ আলী, মোমেন আলী, এম শামসুদ্দিন, ইসাহাক মিয়া প্রমুখ। অভিযোগ রয়েছে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের এ হত্যাকা-ের বিচারের ব্যাপারে তৎকালীন বিএনপি সরকার নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করেছিল। শুধু তাই নয় এ হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের রক্ষা করতে সরকারের কর্মকর্তারা ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছে। তবে দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে বর্তমানে দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন আসামিপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। শীঘ্রই বিচার কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা। কারাগারে যারা আছেন বর্তমানে ২৩ জন আসামি কারাগারে আছেন। তারা হলেন মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে অভি, মাওলানা আবু সাইদ ওরফে ডাঃ জাফল, আবুল কালাম আজদ ওরফে বুলবুল, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, শাহাদাত উল্লাহ ওরফে জুয়েল, হোসাইন আহম্মেদ তামিম, মোঃ আব্দুল সালাম পিন্টু, মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে আবু জান্দাল, আরিফ হোসেন ওরফে সুমন, রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ, মোঃ উজ্জ্বল ওরফে রতন, মোঃ লুৎফুজ্জামান বাবর, মেজর জেনারেল (অব) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আব্দুর রহিম, মাওলানা শেখ আব্দুস সালাম, মোঃ আব্দুল মাজেদ ভাট, আব্দুল মালেক ওরফে গোলাম মোস্তফা, মাওলানা আব্দুর রউফ ওরফে পীর সাহেব, মাওলানা সাব্বির আহম্মেদ ওরফে আব্দুল হান্নান সাব্বি মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, আবুল বক্কর ওরফে সেলিম হাওলাদার। ৮ জন জামিনে রয়েছেন ৮ জন আসামি জামিনে আছেন। এরা হলেন মোঃ আরিফুর ইসলাম ওরফে আরিফ কমিশনার, মোঃ সাবেক আইজিপি আশরাফুল হুদা, সাবেক আইজিপি শহিদুল হক, সাবেক আইজিপি খোদা বক্স চৌধুরী, বিশেষ পুলিশ সুপার (অব) রুহুল আমিন, এ এসপি (অব) আব্দুর রশিদ, এএসপি (অব) মুন্সী আতিকুর রহমান, লে. কমান্ডার (অব) সাইফুল ইসলাম ডিউক। তারেক রহমানসহ ১৯ আসামি পলাতক পলাতকদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান রয়েছেন লন্ডনে, শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ মধ্যপ্রাচ্যে, হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ হানিফ কলকাতা, মেজর জেনারেল (অব) এ টি এম আমিন আমেরিকায়, লে. কর্নেল (অব) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার কানাডায়, বাবু ওরফে রাতুল বাবু ভারতে, আনিসুল মোরসালীন ও তার ভাই মহিবুল মুত্তাকিন ভারতের একটি কারাগারে এবং মাওলানা তাজুল ইসলাম দক্ষিণ আফ্রিকা। জঙ্গী নেতা শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই, মওলানা আবু বর, ইকবাল, খলিলুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে বদর ও মাওলানা লিটন ওরফ জোবায়ের ওরফে দেলোয়ার, ডিএমপির তৎকালীন ডেপুটি কমিশনার (পূর্ব) ও ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) মোঃ ওবায়দুর রহমান এবং খান সৈয়দ হাসানও বিদেশে অবস্থান করছে। তবে আসামি (সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা) হারিছ চৌধুরীর অবস্থান জানা য়ায়নি। পলাতকদের মধ্যে মাওলানা তাজউদ্দিন আটক সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই। মৃত্যুর কারণে যাদের অব্যাহতি মৃত্যুজনিত কারণে তিন আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তারা হলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ (মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদ- কার্যকর) মুফতি আব্দুল হান্নান মুন্সী (ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর গ্রেনেড হামলায় মৃত্যুদ- কার্যকর), শরীফ শাহেদুল আলম বিপুল।
×