ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বন্দরে বেসরকারী খাতের অংশগ্রহণ বাড়ানোর পরামর্শ বিশ্বব্যাংকের

প্রকাশিত: ০২:৪০, ৩০ এপ্রিল ২০১৭

বন্দরে বেসরকারী খাতের অংশগ্রহণ বাড়ানোর পরামর্শ বিশ্বব্যাংকের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়াতে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশের কন্টেইনার পরিবহনকারী বন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। এজন্য এসব বন্দরের কার্যক্রমে বেসরকারী খাতের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, সুশাসন উন্নয়ন এবং প্রতিযোগিতার মনোভাবকে উৎসাহিত করার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বহুজাতিক সংস্থাটির ‘কম্পিটেটিভনেস অব সাউথ এশিয়া’স কন্টেইনার পোর্টস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ পরামর্শ দেয়া হয়েছে। রবিবার সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দুই দশকে বাংলাদেশ যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, তা প্রশংসা করার মতো। কিন্তু বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার কন্টেইনার পোর্টগুলোর অদক্ষতা এ অঞ্চলের আরও দ্রুত অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করছে। একই কারনে বাংলাদেশ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নতির সাথে তাল মেলাতে পারছেনা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের যদি পোর্টগুলো যদি ভারত এবং পাকিস্তানের কন্টেইনার শ্রীলংকার পোর্টগুলোর মতো দক্ষ হয়, তাহলে শিপিং কস্ট (জাহাজের মাধ্যমে পণ্য পরিবহন খরচ) ৯ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। এটি হলে এই অঞ্চলের রফতানি মূল্য ৭ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। এ বিষয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফানকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পোশাক শিল্পের মতো শ্রম-নিবিড় পরিসর থেকে চীন বেরিয়ে আসায় বিশ্বব্যাপী এখাতের বাজারের ক্রমবর্ধমান অংশ দখল করার সম্ভাবনা বাংলাদেশের আছে। ফান বলেন, কন্টেইনার পোর্টগুলোর দক্ষতা বৃদ্ধি করা বাংলাদেশের বর্ধিত শ্রমশক্তির জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বাণিজ্য বাড়ানোর দিকে অগ্রসর হওয়ার প্রধান পদক্ষেপ হতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকার কনটেইনার পোর্টগুলি সংস্কার ও ব্যক্তিগত বিনিয়োগের মাধ্যমে পরিচালন এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত উচ্চ স্তর অর্জন করেছে। তবে বাংলাদেশ ভারতীয় উপমহাদেশের একমাত্র দেশ যেখানে বেসরকারী খাত কন্টেইনার পোর্টে অর্থবহ ভূমিকা পালন করে না। উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের ৯০ শতাংশের বেশি কন্টেইনার ট্রাফিক পরিচালনা করে। অথচ বিনিয়োগের অভাব এবং বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধির ফলে বন্দরটি এর সামর্থের পুরোটা ব্যবহারে বাধ্য হচ্ছে। এটি ব্যয় বৃদ্ধি ও পণ্য উঠা-নামায় বেশি সময় লাগার অন্যতম কারণ। অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশ ও এর দক্ষিণ এশীয় প্রতিবেশীদেরকে অধিকতর বেসরকারী অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে ও পোর্ট কর্তৃপক্ষের শাসনকে উন্নত করতে পরামর্শ দিয়েছে। এজন্য সক্ষমতা বাড়াতে পোর্টগুলির নিজস্ব এবং নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র তৈরির ওপর জোর দিতে বলা হয়েছে।
×