অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও তার সুফল পেতে অবকাঠামো উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের যথাযথ পরিকল্পনা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির তাগিদও দিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) মিলনায়তনে ‘রোড টু ২০৩০: স্ট্র্যাটেজিক প্রাইরোটিজ’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।
ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) ও ডিসিসিআই এর যৌথ আয়োজনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাশেম খান।
সেমিনারে প্যানেল আলোচক সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি চাঙ্গা, দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করার যে লক্ষ্য সরকারের আছে, তা পূরণ করতে হলে অবকাঠামো খাতকে গুরুত্ব দিতে হবে। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকে সমানতালে এগিয়ে নিতে হবে। সাথে সাথে সুশাসনের চর্চা কার্যকর করতে হবে।
তিনি বলেন, অবকাঠামো শিল্পের যেকোনো কাজে একটা টাইম বাউন্ড থাকতে হবে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ব্যবহৃত ইকুইপমেন্ট যথা সময়ে রাখতে হবে। কারণ এটা না থাকলে পুরো প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি হবে। এর জন্য বিশ্বস্ততা ও বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা নীতি থাকতে হবে।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের(বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, আগে দেখতে হবে- দেশে বিনিয়োগ সচেতনতা আছে কি-না। এটাকে অর্থনৈতিক বিবেচনায় নিতে হবে। তা না হলে প্রকৃত বিনিয়োগ আসবে না।
তিনি বেজার ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের সার্বিক অবস্থার তথ্য সেমিনারে তুলে ধরেন।
সেমিনারে ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের অর্থনীতি একটি শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে। তবে সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। সেক্ষেত্রে অবকাঠামো খাতকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এটা ভালো হলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে। ইআরএফ প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম দিলাল সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: