ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

সেরার লড়াইয়ে মুশফিক, রুবেল, সাইফউদ্দিন

প্রকাশিত: ২৩:৩৩, ২৫ অক্টোবর ২০২০

সেরার লড়াইয়ে মুশফিক, রুবেল, সাইফউদ্দিন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ ওয়ানডে সিরিজের পর্দা নামবে আজই। স্বীকৃত কোন সিরিজ না হলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এই আসরকে ভিন্ন মাত্রা দেয় বেশ কিছু প্রাইজমানি ঘোষণা করে। আর তাই দীর্ঘ ৭ মাস পর কোন প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট সিরিজ খেলার আমেজ পায় ক্রিকেটাররা। প্রেসিডেন্টস কাপে মূলত পেস বোলাররাই তাদের প্রাধান্য বিস্তার করেছেন। তাই সেরা বোলার হবেন আসরে দুর্দান্ত বোলিং করা পেসারদের মধ্যেই কেউ। সেক্ষেত্রে লড়াইয়ে আছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও রুবেল হোসেন। কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও আল-আমিন হোসেন, তাসকিন আহমেদ ও এবাদত হোসেনেরও সুযোগ আছে। বোলারদের দাপটে নাজেহাল ব্যাটসম্যানরাও ২/৩ ম্যাচ যাওয়ার পর ভাল কিছু ইনিংস খেলেছেন। সেক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও তরুণ আফিফ হোসেন ধ্রুব। সেরা ব্যাটসম্যান-বোলার হওয়ার এ লড়াইয়ে আরেকটি আকর্ষণীয় পুরস্কার আছে সেরা খেলোয়াড়ের। সেটি মুশফিক বা সাইফউদ্দিন পেয়ে যেতে পারেন। মুশফিক ধারাবাহিকতার জন্য আর সাইফউদ্দিন অলরাউন্ডার পারফর্মেন্সের জন্য এ লড়াইয়ে এগিয়ে আছেন। সেরা ব্যাটসম্যান হওয়ার দৌড়ে মুশফিক সবার ওপরে। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হলেও টানা তিন ম্যাচেই তিনি বড় ইনিংস খেলে প্রেসিডেন্টস কাপে সবচেয়ে ধারাবাহিক পারফর্মার। আসরে বোলারদের দাপট দেখা গেছে। নিয়মিত খুব বড় ইনিংস খেলতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা, খুব বড় ইনিংস দেখা যায়নি কোন দলের। তবু মুশফিক একমাত্র সেঞ্চুরিটি হাঁকিয়েছেন। আরও দু’টি অর্ধশতক তার কাছ থেকে পেয়েছে ফাইনালিস্ট নাজমুল একাদশ। সেক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবেই বলা যায় তার ইনিংসগুলো দলের জন্য খুব কার্যকর ভূমিকা রেখেছে ফাইনালে ওঠার ক্ষেত্রে। ৪ ম্যাচে ৫১.৭৫ গড়ে ২০৭ রান করেছেন তিনি। সেরা ব্যাটসম্যান হওয়ার লড়াই তার সতীর্থ তরুণ আফিফের সঙ্গে। তিনি ৪ ম্যাচে ৩৯.২৫ গড়ে ১ অর্ধশতকে ১৫৭ রান করেছেন। সবচেয়ে কার্যকর ইনিংসটি খেলেছেন ৯৮ রানের। ১০৮ বলের সেই ইনিংসটি খেলে এখন পর্যন্ত আসরে দলীয় সর্বোচ্চ ২৬৪ রানের সংগ্রহ তিনি এনে দিয়েছিলেন নাজমুল একাদশকে। আর তাতেই ১৩১ রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছে তার দল। এই ইনিংসটির পরের ম্যাচেই আবার ৪০ রানের একটি কার্যকর ইনিংস খেলে দলের জয়ে আবার সহায়ক ভূমিকা পালন করেন তিনি। সেরা ব্যাটসম্যান হওয়ার লড়াইয়ে এ দু’জন থাকলেও ফাইনালে মাহমুদুল্লাহ একাদশ জিতে গেলে শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক রিয়াদও হতে পারেন সেরা। দলের বাজে ব্যাটিং পারফর্মেন্সের মধ্যেও তিনি ২ অর্ধশতকে ৩৪.৭৫ গড়ে করেছেন ১৩৯ রান। ফাইনালে আরেকটি বড় ইনিংস খেলে দলকে জেতাতে পারলে সেরা ব্যাটসম্যানের পুরস্কার ১ লাখ টাকা তার হাতে উঠতে পারে। সেক্ষেত্রে ধারাবাহিকতার জন্য মুশফিক হতে পারেন ম্যান অব দ্য সিরিজ, পেতে পারেন ২ লাখ টাকা পুরস্কার। বোলিংয়ে পেসাররা পরস্পরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ তামিম একাদশের পেসার সাইফউদ্দিন ৪ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে শীর্ষে। আসরের সেরা বোলিং নৈপুণ্য দেখিয়েছেন, একমাত্র বোলার হিসেবে ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৪ ম্যাচেই তিনি একাধিক উইকেট শিকার করে সবচেয়ে ধারাবাহিক। দল ফাইনালে না উঠলেও নৈপুণ্যে সেরা বোলার হিসেবে ১ লাখ টাকা জেতার অন্যতম দাবিদার তিনি। ব্যাট হাতেও কার্যকরী ৬৩ রান করেছেন। তাই ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কারও পেতে পারেন সাইফউদ্দিন। সেরা বোলার হওয়ার লড়াই তার ফাইনালিস্ট মাহমুদুল্লাহ একাদশের রুবেল ৪ ম্যাচে নিয়েছেন ১০ উইকেট। তবে তার (৪.১৮) চেয়ে ইকোনমিতে এগিয়ে সাইফউদ্দিন (৩.৯৭)। তাদের টপকে সেরা বোলার হওয়ার সুযোগ আছে আল-আমিন ও তাসকিনেরও। ফাইনালিস্ট নাজমুল একাদশের আসর জুড়েই দারুণ বোলিং করেছেন। উভয়ের ঝুলিতে আছে ৭ উইকেট। তবে মিত্যবয়িতায় শীর্ষ ৫ বোলারের মধ্যে সেরা আল-আমিন। তিনি ওভারপ্রতি মাত্র ৩.৫৫ হারে রান দিয়েছেন। ফাইনালে তার নৈপুণ্যে দল জিতলে তিনিও সেরা বোলারের পুরস্কার পেয়ে যেতে পারেন।
×