ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

বেয়ার্নকে হতাশ করে চ্যাম্পিয়ন বরুশিয়া

প্রকাশিত: ০৯:৪৩, ৫ আগস্ট ২০১৯

 বেয়ার্নকে হতাশ করে চ্যাম্পিয়ন বরুশিয়া

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নতুন মৌসুম (২০১৯-২০) শুরুর আগেই বেহাল অবস্থা বেয়ার্ন মিউনিখের। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে দু’দুটি টুর্নামেন্টের শিরোপা খুইয়েছে বাভারিয়ানরা। এর আগে ঘরের মাঠে জার্মান অডি কাপের ফাইনালে ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পারের কাছে হারতে হয় নিউয়ের, মুলার, লেভানডোস্কিদের। এবার জার্মান সুপার কাপের (ডিএফএল-সুপার কাপ) শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেও হারতে হয়েছে বেয়ার্নকে। শনিবার রাতে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠ সিগনাল ইদুনা পার্কে ফাইনাল ম্যাচে স্বাগতিক বরুশিয়ার কাছে ২-০ গোলে হেরেছে বেয়ার্ন। এর ফলে ২০১৪ সালের পর আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরবে ভেসেছে বরুশিয়া। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ষষ্ঠবারের মতো সুপারকাপ জয়ের পাশাপাশি নতুন মৌসুম শুরুর আগে নিজেদের শক্তির জানান দিয়ে রাখলো লুসিয়েন ফাভরের দল। অন্যদিকে জার্মান লীগ ও কাপ চ্যাম্পিয়ন বেয়ার্নের টানা চতুর্থবারের মতো ডিএফএল সুপারকাপের শিরোপা জেতা হলো না। জার্মান বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়ন ও জার্মান কাপ বিজয়ীর মধ্যে মৌসুমের শুরুতে এক ম্যাচের প্রতিযোগিতা প্রতি বছর মৌসুমের শুরুতে হয়ে থাকে। তবে গত মৌসুমে বুন্দেসলিগা ও কাপে বেয়ার্ন চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় লীগ রানার্সআপ হিসেবে সুপার কাপে খেলার সুযোগ পায় বরুশিয়া। সুযোগটি দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে ট্রফিও জিতে নিয়েছে তারা। ম্যাচের প্রথমার্ধে দু’দলই একাধিক সহজ গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে। দ্বিতীয় মিনিটেই মার্কো রিউসের দারুণ একটি শট রুখে দিয়ে বেয়ার্নকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নিউয়ের। ১৪ মিনিটে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেয়ার আরেকটি সুযোগ পান পাকো আলকাসের। পাল্টা আক্রমণে জাডোন মালিক সানচোর পাসে বল পাওয়া আলকাসেরের শট পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। ২০ মিনিটে রাফায়েল গুরেরিওকেও হতাশ করেন নিউয়ের। তিন মিনিট পর ম্যাচে প্রথম সুযোগ পায় বেয়ার্ন। কিন্তু কিংসলে কোম্যানের শট রুখে দেন ডর্টমুন্ড গোলরক্ষক মারউইন হিটজ। বিরতির আগে রবার্ট লেভানডোস্কি ও লিওনকেও হতাশ করেন তিনি। বিরতির পর শুরুতেই এগিয়ে যায় বরুশিয়া। ৪৮ মিনিটে সানচোর বাড়ানো বলে ডি বক্সের বাইরে থেকে পাকো আলকাসেরের নেয়া শট ফেরাতে পারেননি বেয়ার্ন গোলরক্ষক। পিছিয়ে পড়ার পর ম্যাচে ফিরতি মুহুর্মুহু আক্রমণ শানাতে থাকে বাভারিয়ানরা। কিন্তু পর পর দু’টি আক্রমণ নস্যাৎ করে দেন হিটজ। এরই মাঝে ৬৯ মিনিটে বেয়ার্নের সব স্বপ্ন শেষ করে দেন ১৯ বছর বয়সী তরুণ মালিক সানচো। পাল্টা আক্রমণ থেকে বল পান গুরেরিও। তার পাসে পাওয়া বলে গোল করতে ভুল করেননি সানচো। যে কারণে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় বরুশিয়া। বাকি সময়ে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি বেয়ার্ন। ম্যাচ শেষে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড কোচ লুসিয়েন ফাভরে বলেন, আমরা এই ম্যাচটি জয়ের জন্য মুখিয়ে ছিলাম। তবে ম্যাচটি সত্যিকার অর্থেই বেশ কঠিন ছিল। বেয়ার্ন অত্যন্ত শক্তিশালী দল। ম্যাচেও বল পজিশনের দিক থেকে তারাই এগিয়ে ছিল। তবে আমরা তাদের দারুণভাবে প্রতিহত করেছি। নিজেদের সুযোগগুলো কাজে লাগিয়েছি। কাউন্টার এ্যাটাকে আক্রমণ করা ছাড়া আমাদের হাতে বিকল্প ছিল না। ছেলেরা সেটা দারুণভাবে করতে পেরেছে। বেয়ার্ন অধিনায়ক ও গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নিউয়ের বলেন, ভুলগুলোই শেষ পর্যন্ত ভাগ্য গড়ে দিয়েছে। ম্যাচে আমরা অনেক ভুল করেছি। নিজেদের ভুলগুলোর কারণে আমরা বরুশিয়াকে সুযোগ করে দিয়েছি। আমরা তাদের পজিশন উপহার দিয়েছি। যার খেসারত দিতে হয়েছে।
×