ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

আবারও বড় হার পাকিস্তানের

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ১০ জানুয়ারি ২০১৮

আবারও বড় হার পাকিস্তানের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়। টানা নয় ওয়ানডের সাফল্য নিয়ে নিউজিল্যান্ডে পাড়ি জামিয়েছে পাকিস্তান। সেখানে টানা দুই হারে মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখছে সরফরাজ আহমেদের দল। নেলসনের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও কিউইদের কাছে পাত্তা পায়নি সফরকারীরা। হার ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। বৃষ্টিবিঘিœত ম্যাচে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪৬ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। বিরূপ আবহাওয়ায় দুদফা খেলা বন্ধ থাকার পর জয়ের জন্য ২৫ ওভারে নিউজিল্যান্ডের সামনে ১৫১ রানের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারিত হয়। ম্যাচের নায়ক মার্টিন গাপটিল (৮৬*) ও রস টেইলরের (৪৫*) চমৎকার ব্যাটিংয়ে ভর করে ২৩.৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কেন উইলিয়ামসনের দল। এদিন দল ব্যর্থ হলেও ব্যক্তিগত ৬০ রানের পথে দশম পাকিস্তানী হিসেবে ওয়ানডেতে ৬০০০ রানের মাইলফলক অতিক্রম করেন মোহাম্মদ হাফিজ। নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের ১৪ ওভার শেষে বৃষ্টি নামলে লম্বা সময় খেলা বন্ধ থাকে। সে সময়ে ২ উইকেটে ৬৪ রান করা স্বাগতিকরা পায় নতুন লক্ষ্য- ২৫ ওভারে ১৫১ রান। আবার খেলা শুরু হলে ১১ ওভারে নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ৮৭ রান। গাপটিল-টেইলরের অবিচ্ছিন্ন শতরানের জুটি ৭ বল বাকি থাকতে জয় এনে দেয় দলকে। অবশ্য শুরুতেই ফর্মে থাকা কলিন মুনরোকে হারায় কিউইরা। ছন্দে থাকা বাঁহাতি ওপেনার মোহাম্মদ আমিরের ওপর চড়াও হতে গিয়ে ক্যাচ দেন থার্ডম্যানে। প্রথম ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করা অধিনায়ক উইলিয়ামসনকেও দ্রুত ফেরায় পাকিস্তান। ফাহিম আশরাফের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন শাদাব খান। টেইলরকে নিয়ে গাপটিলের ইনিংস মেরামত প্রচেষ্টার মাঝেই নামে বৃষ্টি। আবার খেলা শুরু হলে পাকিস্তানের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে দলকে সহজ জয় এনে দেন দুজনে। বৃষ্টিতে ম্যাচ ২৫ ওভারে নেমে আসায় কোটা পূরণ হয়ে যায় ৫ ওভার করা বাঁহাতি পেসার আমিরের। আরেক পেসার হাসানের দুটি ওভার বাকি ছিল, কিন্তু তিনি কোন প্রভাবই ফেলতে পারেননি। ফাহিম, রুম্মান রইস, শাদাবের এলোমেলো বোলিং গাপটিল, টেইলরের কাজটা অনেক সহজ করে দেয়। অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেটে ১৪.২ ওভারে গাপটিল-টেইলর গড়েন ১০৪ রানের জুটি। ৭১ বলে পাঁচটি করে ছক্কা চারে ৮৬ রানে অপরাজিত থাকেন ম্যাচসেরা গাপটিল। ৪৩ বলে চারটি চারে ৪৫ রানের কার্যকর এক ইনিংস খেলেন অভিজ্ঞ টেইলর। এর আগে ১২৭ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারানো পাকিস্তান মূলত হাফিজ (৭১ বলে ৬০) ও টেলএন্ডার শাদাব (৬৮ বলে ৫২) ও পেসার হাসান আলির (৩১ বলে ৫১) দৃঢ়তায় সম্মানজনক স্কোর পায়। ১৯৭ ম্যাচে হাফিজের রান এখন ৬০২০। দশম পাকিস্তানী হিসেবে ৬ হাজারি ক্লাবে অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। ওয়ানডেতে দেশটির সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটা ইনজামাম-উল-হকের দখলে (১১৭০১)। শনিবার ডুনেডিনে তৃতীয় ওয়ানডে। স্কোর ॥ পাকিস্তান : ২৪৬/৯ (৫০ ওভার; আজহার ৬, ইমাম ২, বাবর ১০, হাফিজ ৬০, মালিক ২৭, সরফরাজ ৩, শাদাব ৫২, ফাহিম ৭, হাসান ৫১, আমির ৮*, রাইস ৬*; সাউদি ২/৫৭, বোল্ট ১/৫৪, স্যান্টনার ১/৩৪, ফার্গুুসন ৩/৩৯, এ্যাস্টল ২/৫০, মানরো ০/১১)। নিউজিল্যান্ড : ১৫১/২ (২৩.৩ ওভার; ২৫ ওভারে লক্ষ্য ১৫১; গাপটিল ৮৬*, মানরো ০, উইলিয়ামসন ১৯, টেইলর ৪৫*; আমির ১/১৮, রাইস ০/৩৭, ফাহিম ১/৩০, হাসান ০/৩৭, শাদাব ০/২৯)। ফল : নিউজিল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী (ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে)। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : মার্টিন গাপটিল (নিউজিল্যান্ড)। সিরিজ : পাঁচ ওয়ানডের সিরিজে নিউজিল্যান্ড ২-০তে এগিয়ে।
×