ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

দুই বন্ধুর শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ১২ আগস্ট ২০১৬

দুই বন্ধুর শ্রেষ্ঠত্বের  লড়াই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আরও একটি স্বর্ণপদকের হাতছানি মহানায়ক মাইকেল ফেলপসের। যুক্তরাষ্ট্রের এই তারকা সাঁতারু আজ সুইমিংপুলে নামছেন চলমান রিও অলিম্পিকে চতুর্থ স্বর্ণপদক জয়ের লক্ষ্যে। বৃহস্পতিবার ২০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলের ফাইনালে উঠেন ৩১ বছর বয়সী ফেলপস। আজ ইভেন্টের ফাইনালে খেলবেন এই জলদানব। ২০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলের সেমিফাইনালে ফেলপসের টাইমিংই সবচেয়ে ভাল। এক মিনিট ৫৫.৭৮ সেকেন্ড টাইমিং নিয়ে ফাইনালে নিশ্চিত করেছেন সর্বকালের সেরা সাঁতারু। ফাইনালে ফেলপসের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বন্ধু রায়ান লোচেট। তাদের দু’জনের বন্ধুত্ব প্রায় এক যুগের। তবে শুধু বন্ধু নয়, সুইমিংপুলে দুজনে একে অন্যের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীও বটে। এই যেমন আজ আরেকবার ২০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলের ফাইনালে লড়বেন দুই স্বদেশী ফেলপস ও লোচেট। রিও ডি জেনিরোতে ফেলফস পা রাখেন ১৮ অলিম্পিক স্বর্ণজয়ের অসাধারণ কীর্তি নিয়ে। রিওতে এরই মধ্যে তিন স্বর্ণপদক জিতে মার্কিন সাঁতার কিংবদন্তি নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। গত বুধবার অলিম্পিকে ২০ ও ২১তম স্বর্ণ জিতে নেয়া ফেলপসের সামনে এখন ২২তম স্বর্ণ জয়ের চ্যালেঞ্জ। এই লড়াইয়ে ফেলপসের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী লোচেট। সেমিফাইনালে ভাল করা ‘বাল্টিমোর বুলেট’ ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে আরেকটি লড়াই সম্পর্কে বলেন, তার সঙ্গে আমার লড়াইয়ের ইতিহাস সত্যিই বিশেষ ঘটনা। আমরা ১২ বছর ধরে লড়াই করছি। এবারের লড়াইও মজার সঙ্গেই করব। এই দীর্ঘ সময়ে রায়ানের সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে। আমরা আরও একবার পুলে ঝাঁপাব আর শ্রেষ্ঠত্ব ছিনিয়ে আনার চেষ্টা করব। ২০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলেতে গত তিন অলিম্পিকে স্বর্ণ জয় করেন ফেলপস। তবে বিশ্ব রেকর্ডটা বন্ধু লোচেটের দখলে। সেমিফাইনালে ফেলপসের চেয়ে ঠিক আধা সেকেন্ড পিছিয়ে থাকা লোচেট প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে আবারও পুলে নামার সুযোগ পেয়ে রোমাঞ্চিত। তিনি বলেন, তাকে (ফেলপস) হারাতে হলে নিখুঁত পারফর্মেন্স প্রয়োজন। কারণ সে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী। সে কখনও হাল ছেড়ে দেয় না আর সেটাই সবচেয়ে অসাধারণ বিষয়। তার এই গুণই আমার ভেতর থেকে সেরাটা বের করে আনে। তবে ফলাফল যাই হোক না কেন ফেলপসের সঙ্গে বন্ধুত্বে চিড় ধরবে না বলেই বিশ্বাস লোচেটের। এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এই সাঁতারু বলেন, আমরা ২০০৪ সাল থেকে লড়াই করছি। সে আমার মুখোমুখি হওয়া সবচেয়ে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী। পুলে নামলে আমরা সবসময় জয়ের চেষ্টা করি। এটাই আমাদের লড়াইয়ের প্রবণতা। তবে হার-জিতকে পাশে রেখে আমরা ভাল বন্ধুই থাকব।
×