ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদের ছুটি কাটিয়ে ক্যাম্পে ফিরেছেন নারী ফুটবলাররা

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:৩৬, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

ঈদের ছুটি কাটিয়ে ক্যাম্পে ফিরেছেন নারী ফুটবলাররা

ক্যাম্পে ফিরেছেন নারী ফুটবলাররা

পবিত্র ঈদের ছুটি কাটিয়ে বাফুফের আবাসিক ক্যাম্পে ফিরেছেন বাংলার বাঘিনীরা, মানে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল ও বিভিন্ন বয়সভিত্তিক জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা। ক্যাম্পে ফিরেই যথারীতি তারা অনুশীলন শুরু করেছেন। রোজ দুই বেলা করে চলছে তাদের এই অনুশীলন। ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি যাবার সময় যদিও তাদের দুই মাসের বেতন বাকি ছিল, তবে বাড়ি যাবার পর বাফুফে তাদের সেই বকেয়া বেতন দিয়ে দেয়।

বাফুফের সঙ্গে ৩১ নারী ফুটবলারের ছয় মাসের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। খুব শীঘ্রই তাদের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে যাচ্ছে দেশীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ এই নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। জানা গেছেÑ নতুন চুক্তিতে কিছু খেলোয়াড় বাদ পড়বেন এবং কিছু খেলোয়াড় নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত হবেন। তবে বেশিরভাগ পুরনো খেলোয়াড়রাই থাকবেন।
এ ছাড়া নারী ফুটবল লিগ ঈদুল ফিতরের পরেই শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে দলবদল সম্পন্ন হয়েছে। তিনবারের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস এবার লিগে অংশ নিচ্ছে না। তাদের ১৫ ফুটবলার এবার যোগ দিয়েছেন নাসরিন স্পোর্টস ক্লাবে। তবে তহুরা খাতুনসহ অনেক ফুটবলারই এবার লিগে কোনো দল পাননি। নারী লিগ শুরু হয়ে গেলে বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই ক্যাম্পে থাকতে পারবেন না।

কেননা নিয়ম অনুযায়ী তাদের নিজ নিজ ক্লাবে গিয়ে থাকতে হবে। এবং বাফুফেকেও ছাড়তে হবে সেই খেলোয়াড়দের। তারা তখন নিজ নিজ ক্লাবের অধীনে থাকবেন। ১-৯ এপ্রিল ছিল সিনিয়র নারী ফুটবলের ফিফা উইন্ডো। এমনটা আবারও হবে আগামী ২৭ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত। নারী ফুটবলের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো- তারা বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারে না।

যদিও বাফুফে একাধিক ফিফা প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করেছিল, কিন্তু সৌদি আরবসহ প্রতিপক্ষ দেশগুলো বিভিন্ন কারণে আর খেলতে চায়নি। সামনে মিয়ানামারে গিয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কারণ সেখানে এখন গৃহযুদ্ধ চলছে। ফলে নারী দলকে সেই দেশে খেলতে যেতে নিরুৎসাহিত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

অথচ সিনিয়র নারী দলের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সাফ শিরোপা ধরে রাখা। আগামী অক্টোবরেই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা সেই আসরের। কিন্তু যথাযথ প্রস্তুতি নিতে না পারলে এবারের সাফে সাবিনাদের ভরাডুবি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে! নারী ফুটবলের আরেকটি সমস্যা হচ্ছে, ঘরোয়া আসরে তেমন কোন টুর্নামেন্ট হয় না। যেমন আগে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ হতো। বহু বছর ধরে সেটা বন্ধ।

×