ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

সীমান্তের বিশ্বাস ‘লাইফ ইজ ভেরি ইজি’

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ১১ জুলাই ২০১৭

সীমান্তের বিশ্বাস ‘লাইফ ইজ ভেরি ইজি’

ডিপ্রজন্ম : মাশাহেদ হাসান সীমান্তের সম্পর্কে জানতে পাঠকের বেশ আগ্রহ। শুনতে চাই বর্তমানে কি কি করছেন, কিসের সঙ্গে যুক্ত? সীমান্ত : বর্তমানে আমার ধ্যানজ্ঞান পুরোটাই আমার প্ল্যাটফর্ম লাইফ ইজ ভেরি ইজি। এর পাশাপাশি কর্পোরেটে কমিউনিকেশন, লিডারশিপ, পাবলিক স্পিকিং, সেলসসহ বিভিন্ন ধরনের সেলফ- ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিং দিচ্ছি। খুব সম্প্রতি এক্সিকিউটিভ আর ডাক্তারদের ওয়ান-টু-ওয়ান কোচিং শুরু করেছি। ভিজিটিং ফ্যাকাল্টি হিসেবে বিসিএস অফিসারদেরও লেকচার দিচ্ছি। আর হ্যাঁ, বিবিএ ফাইনাল ইয়ারের ক্লাস করার পাশাপাশি ইন্টার্ন করছি ওয়ালটন গ্রুপের মানব সম্পদ বিভাগে, এ বছরের শেষ দিকে বিবিএ শেষ হবে বলে আশা রাখি। ডিপ্রজন্ম : সীমান্তের ছোটবেলার গল্প শুনতে চাই- সীমান্ত : আমি খুব ইন্ট্রোভার্ট ছিলাম। বন্ধুদের এডাল্ট জোক, অন্যকে পচানো, দুষ্টুমি ভাল লাগত না। বাবার বদলির চাকরির কারণে যখন বার বার স্কুল চেঞ্জ হতো বন্ধুও বানাতে পারতাম না। সেই কারণে স্কুল জীবনে এক সময় নিজেকে একা আর অসহায় লাগা শুরু করে। স্কুলে ২ বার হোস্টেলে থাকার চেষ্টা করেছিলাম, সম্ভব হয়নি, বরং জীবনে কিছু হ্যারাসমেন্টের স্মৃতি যোগ হয়েছে। কলেজ জীবনে হোস্টেলে গিয়ে ভাবলাম, আমার গোবেচারা, চুপচাপ আর নিসঙ্গ স্বভাব আমার স্কুল জীবনকে অনেকটাই দুঃসহ করেছে। নিজেকে দুরন্ত ছেলে না বানালে বোধ হয় কলেজে টিকতে পারব না। সেই থেকে ভুল করে বসলাম। নিজের আচরণের লিমিট ক্রস করে ফেললাম। আর আমাকেও কলেজ থেকে বের করে দিল। দীর্ঘ ২ মাস আমাকে কোন কলেজ ভর্তি করেনি। এরপর টাঙ্গাইলের মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান আদর্শ মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি দেই। ভাগ্যে ২টা গল্ডেন তো দূরে থাক, ২টা এ-প্লাসও ছিল না। অনেক চাপের মধ্যে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ- তে চান্স পাই, এখনও সেখানেই আছি। ডিপ্রজন্ম : বিতার্কিক থেকে মোটিভেশনাল স্পীকার। পথচলায় বাধা কেমন ছিল? সীমান্ত : আপনার প্রশ্নের পেছনের অনুমানটা ঠিক করে দিতে চাই। বাধা কেমন ছিল জিজ্ঞেস করলে মনে হয় যে, এখন আর বাধা নেই। সত্যি কথা বলতে বাধা আগেও ছিল, এখনও আছে, সামনেও থাকবে। হয়ত বাধার ধরন পরিবর্তিত হয়, বাধার তীব্রতা ওঠানামা করে, কিন্তু বাধা থাকেই। আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে সফল হলেও আপনাকে নিয়ে সমালোচনা থাকবে। বিতর্ক তো বাংলাদেশের অনেকেই করে। কিন্তু কতজন বিতর্কের মাধ্যমে শেখা চিন্তার কিছু ধরন আর বক্তব্যের দক্ষতাকে সকলের ব্যক্তিগত জীবনের কিছু জটিল প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য ব্যবহার করে। আমার ক্ষেত্রে বয়স নিয়ে অভিযোগ, ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে সন্দেহ, আমার কথাগুলো বাস্তবসম্মত কি-না, একেক বিষয়ে একেক ধরনের সন্দেহ আর সীমাবদ্ধতা নিয়ে হাজারো প্রশ্ন ছিল। কিছু মানুষের সরাসরি দুর্ব্যবহার, একটু বুদ্ধিমান মানুষের দ্বারা কৌশলে আর পরোক্ষভাবে উপহাস, আপত্তি আর হেয় করা সবই ছিল, আছে আর থাকবেও। বয়স কম থাকার কারণে স্টেজ থেকে নামিয়ে দেয়া, প্রোগ্রাম থেকে বের করে দেয়া, আমার সঙ্গে স্টেজ শেয়ার করতে না চাওয়া আর সোস্যাল মিডিয়ায় হেট- মেসেজও তো আছেই। কিন্তু আমি নিজেকে আমি বলি, ‘আমার সামনের বাধা আকার দেখেই বোঝা যাবে আমার স্বপ্নটা কত বড়।’ একই সঙ্গে আমি বিশ্বাস করি, এই বাধাগুলো আসে মূলত আপনাকে আগের চেয়েও বেশি ফোকাসÑ আর শক্তিশালী করতে। আমরা যখন বিছানায় শুয়ে থাকি, তখন বিছানাই অনেক আপন লাগে, তেমনি কেউ আপনাকে আপনার স্বপ্নের পথে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে, সেই স্বপ্নের পথের উপর আপনার আগের চেয়েও বেশি মায়া, ভালবাসা আর এর শেষ দেখার তীব্র আকাক্সক্ষা জন্মাবে। ডিপ্রজন্ম : আপনার সংগঠন ‘লিভ- লাইফ ইজ ভেরি ইজি তৈরির গল্প এবং কার্যক্রম সম্পর্কে বলুন- সীমান্ত : আমার ব্যক্তিগত কোচ বলতে গেলে আমার বন্ধু নিহান। সে দর্শনের ছাত্র হওয়ায় তার সাইকোলজি নিয়ে অনেক পড়াশোনা ছিল। রাতের পর রাত আড্ডা না দিয়ে নির্ঘুম কাটিয়ে আমরা জীবনের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে আলোচনা করতাম। এক সময় আমরা নিজেরাই আসলে ভাবতে লাগলাম আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ বা শব্দ কোনটি? সীমান্ত : আসলে আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শব্দ কিংবা কাজ দুটি-ই ‘খওঠঊ’, অর্থাৎ বেঁচে থাকা। কিন্তু প্রতি মুহূর্তে আমাদের মনে হয় লাইফটা অনেক কঠিন। সেই চিন্তাকে পরিবর্তন করতেই খরভব ওং ঠবৎু ঊধংু এর প্ল্যান আনা। আমাদের স্বপ্ন এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যেখানে আমরা নিজেদের কষ্টের ক্যাটাগরি অনুযায়ী নির্দেশনা আর উদাহরণ পাব। দেখুন মার্ক জাকারবার্গ কিংবা স্টিভ জবস, তাদের কথা শুনেই ভাললাগে, কিন্তু নিজেদের সঙ্গে আমরা খুব কম সংযোগ করতে পারি। আমাদের জীবনে কষ্ট আর হতাশা তখনি বেড়ে যায় যখন আমরা মনে করি, পৃথিবীতে একমাত্র আমি-ই কষ্টে আছি, আর আমার মতো কষ্টে আর কেউ নেই। আমরা চাই, একটা ডিভোর্সি ফ্যামিলি থেকে বেড়ে ওঠা ছেলেটা ডিভোর্সি ফ্যামিলি থেকেই বেড়ে উঠা আরেকটা ছেলের গল্প জানুক, একটা অভাবে থাকা ছেলে আরেকটা অভাবকে জয় করা মানুষের গল্প শুনুক। একটা প্রেমে ব্যর্থ মেয়ে আরেকটা একই ধরনের মেয়ের সাফল্য দেখে ঘুরে দাঁড়াক। স্বপ্নটা অনেক বড়, আর পথ চলাটা মাত্র শুরু হলো। আমরা সবাই-এ তো এখন অনেক ব্যস্ত, তাই চূড়ান্ত ব্যস্ত মানুষদের জন্য আছে কোট, যারা নিজেকে কোন কাজে ব্যস্ত রেখে কষ্ট ভুলতে চান তাদের জন্য লেখা। আর যাদের পড়তে ভাললাগে না, তাদের জন্য আছে ভিডিও। বাংলাদেশের ধাক্কা খেয়ে জাতীয় আর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পুরস্কার পাওয়া আমাদের দেশের প্রায় ৩০ জনকে নিয়ে আমরা এখন লেখালেখি, ভিডিও এবং কোট বানাচ্ছি। সামনে আমাদের বই বের করারও প্ল্যান আছে। এছাড়াও আরও অনেক ব্যতিক্রমী চিন্তা আছে। কাজগুলো শেষ হোক, এরপরই শেয়ার করব। ডিপ্রজন্ম : ডিপ্রজন্ম পরিবার বিশ্বাস করে, ‘একটা মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে সাহায্য করে আরেকজনের সাফল্য ‘কিভাবে দেখছেন বিষয়টিকে? সীমান্ত : আমি এটা কখনই বিশ্বাস করি না, শুধু সাফল্যই একটা মানুষকে স্বপ্ন দেখায়। আমার মতে ব্যর্থতা, দুর্ঘটনা, না পাওয়াগুলো একটা মানুষের বড় প্রেরণা হতে পারে। আমি মনে করি নিজের স্বপ্নের জন্য কাজ করতে পারাটাই সবচেয়ে সাফল্য। আপনার কাজের ফলাফল নির্ধারণ করতে পারে আপনি কতটা ইম্প্যাক্টফুল? সমাজের জন্য সুফল আর সফলতা সমান্তরালে চলে। সত্যি কথা বলতে, আমরা সেই মানুষদের দেখে অনেক ক্ষেত্রেই এই ভেবে হতাশ হই যে, ‘সে তো অনেক বড় হয়ে গেছে, আমি তো এত বড় হতে পারব না।’ আমি শুধু একটা কথাই বলব তাদের ‘সফল মানুষদের বর্তমান সংবর্ধনা না দেখে, তাদের অতীত সংগ্রাম দেখুন। শিক্ষাটা সেখানেই।’ আপনি যদি লেজেন্ডারি হওয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে আপনি মিনিমাম এক্সট্রা-অর্ডিনারি হবেন, যখন কি না চেষ্টা না করা মানুষগুলো গড়পড়তাই রয়ে যাবে। কারণ, পরাজিত দলের খেলোয়াড়ও খেলতে না নামা দর্শকের থেকে বেশি মর্যাদাবান হয়। তবে আমরা অনেকেই একটা ভুল করছি, কনসার্টে গায়ককে গান গাইতে দেখে যদি আমাদেরও গায়ক হতে ইচ্ছে হয়, তাহলে আমাদের নিজেকে এটা প্রশ্ন করতে হবে, ‘আমি কী আসলে গান পছন্দ করি নাকি কনসার্টে শেষে মানুষ আমার অটোগ্রাফ নিতে আসবে সেটা পছন্দ করি।’ ফেম এর প্রতি ফোকাস, অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের মূল ফাংশন থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। কাজ ভাল না লাগলে একটা সময় জনপ্রিয়তাকে অনেক ক্লান্তিকর মনে হবে। তাই কাজকে ভালবাসুন, আপনার কাজ যদি সমাজের জন্য ভাল হয়, সমাজ আপনার কাজের জন্যই আপনাকে ভালবাসবে। ডিপ্রজন্ম : সর্বমোট কতটি সেশন নিয়েছেন এ পর্যন্ত? সীমান্ত : যুক্তরাজ্য, চীন, বাংলাদেশ; সব মিলিয়ে ১৩০টিরও বেশি। ২০১৫ সালে চীনে একটা আন্তর্জাতিক যুক্তি ও যোগাযোগ কর্মশালায় আমার প্রশিক্ষণ পারফর্মেন্স প্রশিক্ষণার্থীদের মূল্যায়নে সর্বাধিক প্রশংসিত হওয়ায় আমাকে ২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয়েছিল। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্সের একটি সেমিনারে, রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনের পাশাপাশি লন্ডন আর বার্মিংহামের অবস্থানরত বাংলাদশী অভিভাবকদের কাউন্সেলিং সেশন নিয়েছি। যুক্তরাজ্যের এনটিভি, বাংলা টিভি, চ্যানেল এসসহ আরও বেশ কয়েকটি টিভিতে পার্সোনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামেও অতিথি হিসেবে জয়েন্ট করি। ডিপ্রজন্ম : আমাদের দেশে অনেক তরুণ আছে যারা মানসিক অসন্তুষ্টি থেকে আপনাদের কথা শুনতে বসে, তাদের জন্য কথা বলার আগে নিজেকে তৈরি করেন যেভাবে- সীমান্ত : ‘আরে কোন ব্যাপার না’- এই এপ্রোচ আসলে মানুষকে স্বস্তি দেয় না। প্রত্যেকের কাছে তার সমস্যাটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা। এই কথাটা বলে আমরা তাদের সমস্যাকে ছোট করে দেখি, পরোক্ষভাবে তাদের কম গুরুত্ব দেই। একই সঙ্গে আমরা অনেক বেশি অধৈর্য। তাই আমি কারও সমস্যা নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে ডিল করার সময় তাঁকে কোন বাধা না দিয়ে নিজের কষ্টগুলোর কথা বলতে দেই। আর বড় প্রোগ্রামে যাবার আগে প্রতি সপ্তাহেই আমাদের একটা রিসার্চ টিম আমাদের পেজে পাঠানো মানুষের প্রশ্নগুলো নিয়ে রিসার্চ করে সেই প্রশ্নগুলোই আমাদের বের করে দেয়, যেগুলোর এন্সার, অনেক মানুষকে উপকার দেবে। আমি একটা নির্দিষ্টপ্ল্যান ফলো করি। প্রতি সপ্তাহে একটা বই শেষ করা, সপ্তাহে ২টা মুভি দেখা, মিনিমাম ২টা, দৈনিক ইউটিউবে ২ ঘণ্টা ভিডিও দেখা, প্রাসঙ্গিক আর্টিকেল পড়া। আমি সব সময় বিশ্বাস করি, আপনার ব্যবসা, সাফল্য, নেতৃত্ব, সৃষ্টিশীলতা, সিদ্ধান্তগ্রহণ সবই আপনার ভাল হবে যদি আপনি একটা জিনিস সম্পর্কে পুরোপুরি জানেন, কিন্তু সারা জীবনেও কেউ সেটা জানতে পারে না। সেটা হলো ‘মানুষ’। এ কারণে আমি প্রতিদিন অন্তত একজন নতুন মানুষের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচিত প্রতি সপ্তাহে ১-২ জনের সঙ্গে সামনাসামনি আড্ডার ছলে জীবন সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি। আমি প্রতিটা মুহূর্তে বিভিন্ন মানুষ থেকে শিখি, অনেক খেয়াল করি, আর জীবনের ছোট ঘটনাগুলো থেকে মেসেজ বের করার চেষ্টা করি। ডিপ্রজন্ম : ডিপ্রজন্ম পাতার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন- সীমান্ত : আমরা কেউ জানি না, কে কতটুকু আয়ু নিয়ে এসেছি পৃথিবীতে। আপনি কখনই এটা নির্ধারণ করতে পারবেন না যে, কবে আপনি মারা যাবেন। কিন্তু মারা যাবার আগে কী কী করবেন সেই সিদ্ধান্ত কিন্তু আপনার। কিছু করতে চাইলে দ্রুত শুরু করুন। দ্রুত শুরু করলে আপনি ভুল করার পাশাপাশি ভুল শোধরানোর সুযোগ পাবেন। সবসময় মনে রাখবেন, কাজ শুরু না করার ভুলটা কাজ করতে গিয়ে করা ভুলের চেয়ে বেশি ক্ষতিকর। যদি মনে হয় যে আপনার এক্সপেরিয়েন্স কম, কীভাবে কাজ করবেন জানেন না, তাহলে বলব এক্সপেরিয়েন্স বলতে এটা বোঝায় না আপনি কতটা সময় পৃথিবীতে পার করলেন, বরং কতটা সময় আপনি কাজে লাগালেন, কতটা চেষ্টা আপনি করলেন, কী কী ভুল করলেন আর সেখান থেকে কী কী শিখলেন সেটাই এক্সপেরিয়েন্স। আর কিছু নির্মম সত্য মেনে নিন, পৃথিবীতে একাই চলতে হয়, কেউ যদি সাহায্য করে, তাহলে সেটা বোনাস। মানুষ সমালোচনা করবেই, সমালোচনার জবাব মুখে না দিয়ে, নিজের উন্নয়নের আর অর্জনের মাধ্যমে কাজ করুন। ‘পর্দার আড়ালেই চলুক কঠোর অনুশীলন, সময়মতো দেখবে সবাই তোমার অর্জন।’ আর এরপরও যদি, চূড়ান্ত মাত্রায় কেউ আপনাকে অপদস্থ আর নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করে, তাহলে ভাবুন ‘জীবনে যদি কিছু ভিলেনই না থাকে, হিরো হব কী করে!
×