ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সহায়তার কয়েকটি ক্ষেত্র নির্ধারণ

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পাশে থাকবে জাতিসংঘ

জনকণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০০:০৬, ৬ এপ্রিল ২০২৩

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পাশে থাকবে জাতিসংঘ

চলতি বছরে অর্থাৎ ২০২৩ সালে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে জাতিসংঘ

চলতি বছরে অর্থাৎ ২০২৩ সালে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে জাতিসংঘ। করোনা পরবর্তী, ইউক্রেন যুদ্ধ, রোহিঙ্গা সংকটে মানবিক সাহায্য পাওয়ার প্রতিযোগিতা ও অনান্য ক্রমবর্ধমান সংকটে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে সংস্থাটি। মঙ্গলবার জাতিসংঘের দেওয়া বার্ষিক প্রতিবেদনে (‘ইউএন কান্ট্রি টিম রেজাল্টস রিপোর্ট ২০২২) এসব কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরে বাংলাদেশকে ২০২২ সালের মতো বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হতে পারে। এটি মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে সংস্থাটি।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দেওয়া ঋণের শর্তানুযায়ী অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং আগামী নির্বাচনের জন্যও প্রস্তুতি নেবে বাংলাদেশ। একই সময়ে বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে পৌঁছবে। দেশের টেকসই উন্নয়নজনিত অগ্রগতির গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জনের ব্যাপারে একটি কৌশল নিয়ে কাজ করবে। সরকারের এসব অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলোর আলোকে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক দলও সহায়তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ক্ষেত্র নির্ধারণ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে কাতারের দোহায় স্বল্পোন্নত দেশগুলো নিয়ে জাতিসংঘের পঞ্চম সম্মেলন হয়েছে। এ সম্মেলনের পর সরকার এখন বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়াকে মসৃণ করতে কাজ করবে। কোথায় কোথায় পরিবর্তন আনতে হবে তা নিয়ে বেসরকারি খাত, নাগরিক সমাজ ও উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে নিবিড় আলোচনার ভিত্তিতে প্রক্রিয়াটি চালানো হবে।
বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ সরকারকে দেশের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়া সংশ্লিষ্ট সংকট মোকাবিলা করতে হতে পারে। জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে লাখ লাখ মানুষের প্রয়োজনমাফিক খাদ্য ও জ্বালানি সংস্থান করতে হতে পারে। তাই ২০২৩ সালে মানুষের জন্য জীবন যাপনের ব্যয় নির্বাহে সহায়তা ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই হবে জাতিসংঘের আবাসিক দলের অন্যতম অগ্রাধিকারের জায়গা।

এ ছাড়া পরিবারগুলোর আর্থিক সক্ষমতা বাড়ানো, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাজারের সংযোগ তৈরির মধ্য দিয়ে তাদের জন্য টেকসই জীবিকা নিশ্চিত করার চলমান উদ্যোগও অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের বিশাল অনানুষ্ঠানিক খাতকে আংশিকভাবে আনুষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার প্রচেষ্টাও চলবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন, অসহায় মানুষের সহযোগিতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও দক্ষ করে তোলা এবং অসহায় মানুষদের সহযোগিতা করার মতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি পুষ্টিগত নিরাপত্তাকে সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থায় পরিণত করার বিদ্যমান উদ্যোগগুলো বজায় থাকবে।
স্কুল থেকে ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়তা অব্যাহত রাখবে জাতিসংঘের আবাসিক দল। এছাড়া লৈঙ্গিক সমতা ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে যাবে। আচরণগত পরিবর্তনের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হবে। আরও সমন্বিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জলবায়ুসংক্রান্ত কাজগুলো জোরদার করবে জাতিসংঘের আবাসিক দল। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সরকার ও উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে জাতিসংঘের আবাসিক দল নিবিড়ভাবে কাজ করবে।

×