রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ॥ তাজুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নগরবাসীর অংশগ্রহণ ও সচেতনতা এবং সবার সমন্বিত উদ্যোগে রাজধানীতে এখন পর্যন্ত সকল প্রকার মশাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। একই সঙ্গে সবার অংশগ্রহণ থাকলে যেকোন সমস্যা সমাধান করা সহজ, যার বড় উদাহরণ রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ। অপরদিকে রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ড়্রেেনজ ব্যবস্থাপনার কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে দুই সিটি কর্পোরেশনকে নিয়ে আগামী সপ্তাহে বৈঠক করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী। শনিবার রাজধানীর ঢাকা ওয়াসা ভবনে আয়োজিত সরকারী-বেসরকারী ব্যাংককে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃক ‘বিল কালেকশন এ্যাওয়ার্ড’ বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানের সভাপতিত্বে ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইবরাহীম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সরকারী-বেসরকারী ৩৭টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের হাতে ‘বিল কালেকশন এ্যাওয়ার্ড’ তুলে দেয়া হয়। এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, নগরীর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ঢাকা ওয়াসা থেকে দুই সিটি কর্পোরেশনকে দেয়ার পর থেকেই মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ইতোমধ্যে কাজ শুরু করলেও আগামী সপ্তাহে দুই সিটি কর্পোরেশনকে নিয়ে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা হবে। একই সঙ্গে দুই মেয়রের পরিকল্পনা জেনে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও কর্মপরিকল্পনা ঠিক করে দেয়া হবে। ঢাকা শহরের নাগরিক সমস্যা সমাধান করে একটি আধুনিক বাসযোগ্য, দৃষ্টিনন্দন শহর করতে যা যা করার দরকার তা করা হবে। তাজুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই আমরা রাজধানীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। সে অনুযায়ী বর্জ্য থেকে বিদ্যুত উৎপাদনের জন্য আমিনবাজারে প্লান্ট স্থাপনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইন্সিনেরেশন প্লান্টে প্রতিদিন বর্জ্য সরবরাহ করলে যেখানেসেখানে আর ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকবে না। এছাড়া সব সিটি কর্পোরেশন এবং প্রতিটি জেলায় ইন্সিনেরেশন প্লান্ট স্থাপন করা হবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক ও বর্তমান মেয়রের দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, সবার দৃষ্টিভঙ্গি এক নয়। মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু একটা সময়ের ব্যবধানে তা ঠিক হয়ে যায়। দুই মেয়রের দ্বন্দ্ব অচিরেই সমাধান হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার তাকসিম এ খান বলেন, প্রতিদিন ঢাকা শহরে ২৬৪ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করি। দক্ষিণ এশিয়ার কোন শহরে পানি ব্যবস্থাপনায় এতবড় কার্যক্রম নেই। আমরা এ কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টাই সফলভাবে সম্পন্ন করছি। তিনি বলেন, পানি ব্যবস্থাপনায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে আমরা ১০০ টাকা আয় করে তার মধ্যে ৬৫ টাকা খরচ করেছি। যা একটি উদাহরণ বটে। এছাড়া বর্তমানে এর হার ৬৫ থেকে কমে ৬২ টাকায় নেমেছে। এ টাকা খরচ করেই সকল কাজ সুন্দরভাবে করতে সক্ষম হচ্ছি। অপরদিকে আমরা এখন বিশ্বের বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যাংক এবিলিটি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। তাই বিশ্বব্যাংক বা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক অতি সহজেই আমাদের ঋণ দিতে রাজি হয়। কারণ, আমরা ঋণের অর্থ সঠিকভাবে কাজে লাগাই এবং ফেরত দিতে পারি। ভবিষ্যতে নাগরিক সেবা আরও বাড়বে বলে উল্লেখ করেন তিনি।