ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

সুবাতাস শেয়ারবাজারে

প্রকাশিত: ২২:৫৯, ৩০ আগস্ট ২০২০

সুবাতাস শেয়ারবাজারে

কাওসার রহমান ॥ করোনার মধ্যেও আমদানি, রফতানি, রেমিটেন্স, প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির পর এখন দেশের শেয়ারবাজারেও সুবাতাস বইছে। অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে দেশের পুঁজিবাজার। পতন কাটিয়ে একের পর এক বড় উত্থান দেখা দিয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। টানা উত্থানে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে এসেছে। সূচকের এমন উল্লম্ফনের সঙ্গে বাড়ছে লেনদেনও। ফলে এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে গেছে শেয়ার বাজারের সূচক। ফলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ছে বাজারের প্রতি। পুরনো বিনিয়োগকারীরা ফিরে আসায় হারানো যৌবন ফিরে পাচ্ছে দেশের শেয়ার বাজার। প্রায় দুই মাস ধরে উর্ধমুখী ধারায় রয়েছে শেয়ারবাজার। ঈদের আগে শেষ সপ্তাহ থেকে টানা উত্থান প্রবণতা দেখা দেয়। স্বাভাবিক সময়ে অস্থিরতা থাকলেও এই করোনাকালেই সুবাতাস বইছে দেশের শেয়ার বাজারে। বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ফেরাতেও সক্ষম হয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। দীর্ঘ ১০ বছর পর এই বাজারে এখন কিছুটা স্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ছোট ও বড় সব ধরনের বিনিয়োগকারীই বাজারে ফিরতে শুরু করেছেন। ডিএসইর তথ্য মতে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স টানা ১০ সপ্তাহ ধরে বাড়ছে। আর গত দুই মাসেই হারিয়ে যাওয়া ৫৮ হাজার কোটি টাকার বেশি পরিমাণ অর্থ ফিরে এসেছে শেয়ারবাজারে। গত জুলাই মাসের শুরুতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ১১ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা। এখন এই বাজারের মূলধনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত দুই মাসে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৫৮ হাজার ১৮১ কোটি টাকা। ফলে অর্থনীতির ‘ব্যারোমিটার’ হিসাবে পরিচিত গুরুত্বপূর্ণ এই খাতের প্রতি সরকারী-বেসরকারী সব মহলেই এখন আগ্রহ বাড়ছে। প্রায় ১০ বছর পর অনেকেই সম্ভাবনা দেখছেন আবার শেয়ারবাজার নিয়ে। এরই মধ্যে বাজারে নতুন নতুন বিনিয়োগও আসতে শুরু করেছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষক ও অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত বলেন, অর্থনীতির সবক্ষেত্রেই ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। শেয়ারবাজারেও এর প্রভাব পড়ছে। এছাড়া নিয়ন্ত্রক সংস্থার কিছু ভূমিকার কারণেও বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তিনি বলেন, শেয়ারবাজারের দুর্বল কোম্পানির অবস্থার উন্নতির পাশাপাশি সুশাসন নিশ্চিত করতে চায় বিএসইসির বর্তমান কমিশন। এরই মধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে। যার প্রভাব পড়ছে বাজারে। আর বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ‘শেয়ারবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় এবং বিনিয়োগকারীদের রক্ষায় যত ধরনের পদক্ষেপ নেয়া দরকার বিএসইসি থেকে নেয়া হবে। আমাদের প্রধান লক্ষ্য পুঁজিবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্য আমাদের বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে এসব বাস্তবায়ন করা হবে।’ জানা গেছে, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে সুশাসন নিশ্চিত করতে চায় বর্তমান কমিশন। এরই মধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে। যার প্রভাব পড়ছে বাজারে। বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গত ১৩ আগস্ট শেয়ারবাজারে জেড ক্যাটাগরির শেয়ার নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ কমিশন এ্যান্ড বাংলাদেশ বেশ কিছু ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার কারণে জেড ক্যাটাগরির শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ দেখিয়েছেন। একইভাবে অন্যান্য মৌলভিত্তির শেয়ারেও ক্রেতা ছিল। সবমিলে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারী হারানো আস্থা ফিরে পাচ্ছেন। এটির প্রভাবেই শেয়ারবাজার হারানো যৌবন ফিরে পাচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ছয়টি কারণে শেয়ার বাজার এখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। কারণগুলো হলো: এক. নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি এবং সরকারী অন্যান্য সংস্থার মধ্যে যে সমন্বয়হীনতা ছিল তা কমে এসেছে। এক্ষেত্রে এসইসির বর্তমান চেয়ারম্যান নিজেই চলে যাচ্ছেন বিভিন্ন সংস্থার কাছে। যার প্রভাব পড়েছে বাজারে। দুই. ব্যাংকের ঋণ ও আমানতের সুদের হার কমার একটা প্রভাব পড়েছে বাজারে। তিন. ব্যাংকগুলোতে পর্যাপ্ত তারল্য রয়েছে। শেয়ার বাজারেও তারল্যের কোন সঙ্কট নেই। যে কারণে বাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। চার. প্রত্যেক ব্যাংককে শেয়ার বাজারের জন্য ২০০ কোটি টাকা করে দেয়া হয়েছিল। সেই টাকা এখন ছাড় হচ্ছে। অর্থাৎ এই টাকা পুঁজিবাজারে আস্তে আস্তে আসছে। যার প্রভাব পড়েছে বাজারে। পাঁচ. বড় বিনিয়োগকারীদের অনেকে এতদিন বাইরে বসে পর্যবেক্ষণ করছিল। এখন তারাও বাজারে আসতে শুরু করেছে। ছয়. ফ্লোর প্রাইস থাকার কারণে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা এটিকে নিরাপত্তা হিসেবে দেখছেন। যার প্রভাব পড়েছে বাজারে। এ প্রসঙ্গে ডিএসই ব্রোকারেজ এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী জানান, গত ১০ বছরে অন্তত ২৭ বার বাজার উঠে দাঁড়াবার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সরকারী সংস্থাগুলোর ইন্টারভেনশন ও ইনডেক্স কন্ট্রোল করার কারণে সেটা পারেনি। কারণ, বাজার যখনই উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে তখনই চাপ প্রয়োগ করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তিনি মনে করেন, এই বাজারকে এখন নিজস্ব শক্তিতে চলতে দিতে হবে। বাজারে কোনভাবেই ইন্টারভেনশন ও ইনডেক্স কন্ট্রোল করা ঠিক হবে না। এছাড়া সিন্ডিকেটেড রেট (কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউস সিন্ডিকেট করে কোন কোম্পানির দাম নিজেরা বাড়িয়ে ও কমিয়ে বেচাকেনা করে) নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আর বাজারে কোন পক্ষই যাতে ‘ব্যাড প্লে’ করতে না পারে সে দিকেও নজর রাখার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এখন আস্থা ফিরে এসেছে। এরই মধ্যে বড় বিনিয়োগকারী ও ছোট বিনিয়োগকারীরা বাজারে আসতে শুরু করেছেন, যার প্রভাব পড়েছে সার্বিক বাজারের ওপর। এখন কর্তৃপক্ষের উচিত তালিকাভুক্ত সব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সুশাসন নিশ্চিত করা। তাহলেই বাজার বিনিয়োগকারীবান্ধব হবে। একমত পোষণ করে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষক ও অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত বলেন, ‘একদিকে বাজারে তারল্যের সমস্যার সমাধান হয়েছে। অন্যদিকে ফ্লোর প্রাইস থাকার কারণে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরাও ইতিবাচকভাবে দেখছেন। এছাড়া নিয়ন্ত্রক সংস্থার কিছু ভূমিকার কারণেও বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।’ কী ছিল সেই ইতিবাচক ভূমিকা ॥ জেড গ্রুপের কোম্পানিগুলোতে সুশাসন ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে গত ১৩ আগস্ট কমিশন সভা করে বিএসইসি বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়। এর মধ্যে রয়েছে- জেড গ্রুপের কোম্পানির উদ্যোক্তা ও বর্তমান পরিচালকদের ধারণ করা শেয়ার বিক্রয়, হস্তান্তর, স্থানান্তর এবং প্লেজ বন্ধ থাকবে। দুই বছর বা তার বেশি সময় ধরে জেড গ্রুপে থাকা কোম্পানিকে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে বোর্ড পুনর্গঠন করতে হবে। ব্যর্থ হলে বর্তমান পরিচালক ও স্পন্সররা অন্য কোন তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও পুঁজিবাজার মধ্যস্থতাকারী কোন কোম্পানির পরিচালক হিসেবে থাকতে পারবেন না এবং কমিশন এ ক্ষেত্রে বিশেষ নিরীক্ষক ও পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে বোর্ড পুনর্গঠন করবে। এছাড়া পরপর দুই বছরের মধ্যে নগদ লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ হলে কোম্পানি ‘জেড’ গ্রুপে চলে যাবে। উল্লেখ্য, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিএস ক্যাবলসের শেয়ার নিয়ে কারসাজির কারণে কোম্পানিটির চেয়ারম্যানের স্ত্রী খাদিজা তাহেরা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবু নোমান হাওলাদার, এমডির ভাই আবু নঈম হাওলাদার, এমডির নিকটাত্মীয় ফরহাদ হোসেন, কোম্পানির মনোনীত পরিচালক সৈয়দ ফেরদৌস রায়হান কিরমানিসহ ১০ ব্যক্তি ও তিন প্রতিষ্ঠানের নামে প্রায় ৮ কোটি টাকা জরিমানা করেছে বিএসইসি। নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন সিদ্ধান্ত আসার পরের দিন থেকে শেয়ার বাজার বড় উত্থানের আভাস দেয়। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সম্প্রতি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করায় শেয়ারবাজারে এমন উর্ধমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষক ও বাজার সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বিএসইসি একের পর এক সাহসী পদক্ষেপ নিচ্ছে। ফলে বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ছে। এরই সুফল দেখা যাচ্ছে বাজারে। দীর্ঘদিন শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে এমন কঠোর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। শেয়ারবাজারের এই উত্থান প্রবণতা সম্পর্কে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, ‘সম্প্রতি বিএসইসি বেশকিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। এটাই শেয়ারবাজারে উর্ধমুখী প্রবণতার ক্ষেত্রে টনিক হিসেবে কাজ করেছে। জেড গ্রুপের কোম্পানির বিষয়ে বিএসইসি খুব ভাল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ার ধারণ নিয়েও ভাল সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। সব মিলিয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বিএসইসির নেয়া পদক্ষেপগুলো বাজারের বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে।’ তিনি বলেন, ‘মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনের গতিও বেশ বেড়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে বাজারে ক্রেতা সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার যেমন এক হাজার ৩০০ কোটি টাকার ওপর লেনদেন হয়েছে। এটা খুব ভাল লক্ষণ। তবে দুর্বল কোম্পানির বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকতে হবে।’ রাজস্ব আয় ছাড়া সব সূচকই ইতিবাচক ॥ করোনার মধ্যে কেবলমাত্র রাজস্ব আয়ে ঘাটতি ছাড়া অর্থনীতির প্রায় সব সূচকই এখন ইতিবাচক। টানা দুই মাস ধরেই রেমিটেন্স প্রবাহে রেকর্ড হয়েছে। আমদানি-রফতানি খাতও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সদ্য সমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২৪১ শতাংশ অর্জন হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশের মাথাপিছু আয়ও দুই হাজার ডলার ছাড়িয়ে ২০৬৪ ডলারে উঠেছে। কমছে মূল্যস্ফীতিও। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে (মাসওয়ারি) সার্বিক (সাধারণ) মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ। আগের মাস জুনে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ০২ শতাংশ। আর গত বছরের জুলাইয়ে এই হার ছিল ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। বিবিএসের পরিসংখ্যান বলছে, খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমায় জুলাইয়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি নিম্নমুখী। জুলাই মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ, জুনে যা ছিল ৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ। গত বছরের জুলাইয়ে ছিল ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ। তবে জুলাইয়ে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়েছে। জুনে এই হার ছিল ৫ দশমিক ২২ শতাংশ। জুলাইয়ে হয়েছে ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বাজারে জিনিসপত্রের সরবরাহের কোন সমস্যা হয়নি, দামও খুব একটা বাড়েনি। তবে বন্যার কারণে শাক সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। অবশ্য কোভিড-১৯’র কারণে মানুষের আয়-উপার্জন কমে গেছে, ক্রয়ক্ষমতাও কমেছে। সে কারণে এখন কম জিনিসপত্র কিনছে মানুষ। কেনাবেচা কম হওয়ার কারণে হয়তো মূল্যস্ফীতি নিম্নমুখী হয়ে থাকতে পারে। সবচেয়ে লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, দীর্ঘ সাত মাস পর দেশের রফতানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিকেএমইএর সাবেক সভাপতি ফজলুল হক বলছেন, পোশাক রফতানি ধারণার চেয়েও ভাল হচ্ছে। অবশ্য পুরোনো ক্রয়াদেশের পণ্যও যাচ্ছে। তারপরও পোশাকের রফতানি আশাব্যঞ্জক। তিনি আরও বলেন, করোনায় বিপর্যস্ত ইউরোপের বাজার স্বাভাবিকের কাছাকাছি চলে গেছে। ফলে ক্রয়াদেশও ভাল আসছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার বেশ পিছিয়ে আছে। তাদের উন্নতি হচ্ছে শ্লথ গতিতে।
×