ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৬ মে ২০২৪, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

জনকণ্ঠে খবরের জের

কাজলী স্কুলে ফিরেছে, সেই প্রধান শিক্ষক বদলি ॥ অন্যদের বিচার দাবি

প্রকাশিত: ১১:০৫, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

কাজলী স্কুলে ফিরেছে, সেই প্রধান শিক্ষক বদলি ॥ অন্যদের বিচার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী কাজলী রানী রায়, শিক্ষকদের আচরণে চোখের জল ফেলে স্কুল ছেড়ে দিয়েছিল। অবশেষে কাজলীকে বুধবার তার স্কুলে ফিরিয়ে এনেছেন নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ইউএনও। উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের গাবরোল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বনভোজনে ৫০ টাকা কম দেয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক আব্দুল রাজ্জাকসহ অন্য শিক্ষকরা কাজলীর পাঠ্যপুস্তক কেড়ে নিয়েছিলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, স্কুলটির প্রধান শিক্ষক আব্দুল রাজ্জাককে রংপুর বিভাগীয় উপ-পরিচালকের নির্দেশে বদলি করা হয়েছে একই উপজেলার গোপালঝাড় চরভরট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বদলির আদেশ ৫ ফেব্রুয়ারি কার্যকর করে প্রকাশ করেছে উপজেলা শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মদ। একই আদেশে ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ওই প্রধান শিক্ষককে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে। ‘চাঁদা কম দেয়ায় ছাত্রীর পাঠ্যপুস্তক কেড়ে নেন প্রধান শিক্ষক’ শিরোনামে বুধবার দৈনিক জনকণ্ঠের শেষের পাতায় এ সংক্রান্ত বিস্তারিত প্রকাশিত হয়। অনেক অভিভাবক অভিযোগ করে আরও জানায়, ওই স্কুলে মোট শিক্ষার্থী ১৩০ জন। বনভোজনের জন্য চাঁদা ধরা হয় দুইশত ৫০ টাকা করে। স্কুলের সামান্য অদূরে বনভোজনের জন্য চাঁদা বেশি হওয়ায় স্কুলের বাকি ১০০ শিক্ষার্থী ওই বনভোজনে অংশ নেয়নি। ৩০ জন শিক্ষার্থীর চাঁদার টাকায় শিক্ষকরা বনভোজন করেন। শিক্ষকরা কি চাঁদা দিয়েছে না শিক্ষার্থীদের চাঁদায় তারা ফ্রি খেয়েছেন এমন প্রশ্ন করেন এলাকাবাসী। চাঁদার পরিমাণ কম ধরা হলে স্কুলের সকল শিক্ষার্থী বনভোজনে অংশ নিতে পারত। স্কুলের শিক্ষকরা চাঁদা বেশি ধরায় স্কুলের ১০০ শিক্ষার্থী বনভোজন হতে বঞ্চিত হয়। শুধু প্রধান শিক্ষক নয় ওই স্কুলের অপর তিনজন সহকারী শিক্ষকও এরজন্য দায়ী। আমরা তাদেরও বিচার চাই। কাজলীর বাবা কৃষ্ণ চন্দ্র রায় সাংবাদিকদের বলেন, পত্রপত্রিকা ও টিভিতে আমার মেয়েকে নিয়ে খবর প্রকাশ হলে ইউএনও স্যার আমার মেয়েকে পুনরায় ওই স্কুলে ফিরিয়ে আনেন। বুধবার মেয়েটি তার স্কুলে গিয়ে ক্লাস করেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সুজাউদ্দৌলা জানান, কাজলীকে নতুন বই দিয়ে তার স্কুলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) তাজুল ইসলাম জানান, কিছুটা ভুল হয়েছে প্রধান শিক্ষকের। তিনি ছাত্রীর কাছে পাঠ্যপুস্তক নিয়ে নিতে পারেন না। আমরা ওই শিক্ষার্থীকে পুনরায় নতুন বই দিয়েছি ও জলঢাকা ইউএনওর মাধ্যমে স্কুলে ফিরিয়ে এনেছি।
×