![ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পটুয়াখালীর নিন্মাঞ্চল প্লাবিত ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পটুয়াখালীর নিন্মাঞ্চল প্লাবিত](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/70-2405261156.jpg)
পানির উচ্চতা বেড়ে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত।
ঘূর্নিঝড় রেমাল এর প্রভাবে পটুয়াখালী জেলা শহরসহ নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দুপুরে নদীতে জোয়ারের সময় বাতাশের কারণে পানির উচ্চতা বেড়ে এ সব নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়। এতে সাধারণ মানুষ পরে ভোগান্তিতে।
গতকাল শনিবার রাত থেকে কোন বৃষ্টি না হলে সকাল বেলা এক পশলা বৃষ্টি হয়। সঙ্গে থেমে থেমে দমকা বাতাশ রয়েছে। জেলার কোন সাইক্লোন সেল্টারগুলিশে কোন মানুষ আশ্রয় নেয়নি। অবশ্য স্কুল কাম সাইক্লোন সেল্টারগুলিতে শ্রেণির শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পটুয়াখালী থেকে অভ্যান্তরীন ও দুরপাল্লার সকল যাত্রীবাহি লঞ্চ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, রেমাল এর প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়াররের চেয়ে ৩ মিটার উচ্চতায় নদনদীতে পানি প্রবাহিত হয়। বাতাশের এমন গতি থাকলে রাতের জোয়ারে পানির উচ্চতা আরো বাড়বে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলায় ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টার ৩৫টি মুজিব কিল্লা, ৭৩০ মেট্রিক টন চাল, ১০ লাখ টাকার শিশু খাদ্য, ১০ লাখ টাকার গোখাদ্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া, শুকনা খাবার রয়েছে ১৫০০ প্যাকেট। নগদ টাকা রয়েছে ২৪ লাখ ৭ হাজার টাকা ৫০০ টাকা।
এ সময় মানুষকে সচেতন ও দুর্যোগে উদ্ধার কাজ পরিচালনার জন্য রেডক্রিসেন্ট ও সিপিপির ৯ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে মাঠ পর্যায়ে। এ ছাড়া, বিদ্যুৎ বিভাগ, সড়ক বিভাগ, ফায়ার সার্ভিসকে প্রয়োজনিয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন জেলা প্রশাসক।
এ দিকে, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জেলায় মোট ৭৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। মজুদ রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যালাইন, ঔষধ ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট।
জেলায় ১৩০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ১০ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। দুর্যোগের সময় কোথাও ভাঙন দেখা দিলে তা মেরামতের জন্য ১৬ হাজার জিও ব্যাগ রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
কৃষি বিভাগ জানায়, জেলায় ৮৭ হাজার হেক্টর জমিতে মুগ ডাল রয়েছে এবং ২০ হাজার হেক্টর জমিতে আছে বোরো ধান।
এম হাসান