ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

তিতাসের মৃত্যু

ফেরিঘাটের ৪ কর্মকর্তা কর্মচারী দায়ী

প্রকাশিত: ১১:১১, ৭ নভেম্বর ২০১৯

ফেরিঘাটের ৪ কর্মকর্তা কর্মচারী দায়ী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাদারীপুরের ফেরিঘাটে যুগ্ম-সচিবের জন্য ফেরি আটকে রাখায় স্কুলছাত্র তিতাস ঘোষের মৃত্যুর ঘটনায় কাঁঠালবাড়ি এক নম্বর ফেরিঘাটের চার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সরাসরি দায়ী করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। এছাড়া এটুআই প্রকল্পের কর্মরত যুগ্ম-সচিব আবদুস সবুর ম-লের বিষয়ে বলা হয়েছে এ ঘটনায় তিনি দায় এড়াতে পারেন না। হাইকোর্টের নির্দেশে বুধবার দাখিল করা প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও তদন্ত কমিটির সভাপতি সঞ্জয় কুমার বণিকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি এ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে এটি জমা দেন। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদন হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হবে। প্রতিবেদনে সরাসরি যে চারজনকে দায়ী করা হয়েছে তারা হলেন- ঘাট ম্যানেজার মোঃ সালাম হোসেন, প্রান্তিক সহকারী মোঃ খোকন মিয়া, উচ্চমান সহকারী ও গ্রুপ প্রধান ফিরোজ আলম এবং ইনল্যান্ড মাস্টার সামছুল আলম। ২৩ অক্টোবর তিতাস ঘোষের মৃত্যুর ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট। ৭ নবেম্বরের মধ্যে এই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। ২৫ জুলাই রাতে সরকারের এটুআই প্রকল্পের যুগ্ম সচিব ও চাঁদপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর ম-লের গাড়ির অপেক্ষায় মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি এক নম্বর ফেরিঘাটে প্রায় দুই ঘণ্টা ‘কুমিল্লা ফেরি’ বসিয়ে রাখা হয়। এ্যাম্বুলেন্সে থাকা স্কুলছাত্র তিতাস ঘোষকে পার করার জন্য বারবার অনুরোধ জানানো হলেও ফেরি ছাড়া যায়নি। ফলে এ্যাম্বুলেন্সেই মৃত্যু হয় তিতাসের।
×