ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

২৭ জুন থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ

নুসরাত হত্যা মামলায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

প্রকাশিত: ১০:৪৭, ২১ জুন ২০১৯

 নুসরাত হত্যা মামলায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফেনী, ২০ জুন ॥ সোনাগাজী মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার ধার্য তারিখ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেনী করাগার থেকে চার্জশীটভুক্ত ১৬ আসামিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে হাজির করা হয়েছে। বিচারক (জেলা জজ পদমর্যাদার) মোঃ মামুনুর রশিদের আদালতে চার্জগঠনের ওপর শুনানি চলাকালে সরকার পক্ষের ও বাদীর আইনজীবী চার্জগঠনের পক্ষে এবং আসামি পক্ষের আইনজীবীরা এর বিরোধিতা করেন। টানা পৌনে ৫ ঘণ্টা উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মোঃ মামুনুর রশিদ ১৬ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। আদালতে চার্জ গঠনের ওপর শুনানি শেষে সকল আসামির জন্য জমিনের আবেদন করেন আসামিদের আইনজীবীরা। বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে সকল আসামিকে জেলহাজাতে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালত মামলার পরবর্তী তারিখ ২৭ জুন নির্ধারণ করে। ২৭ জুন মামলার বাদী নুসরাতের ভাই নোমান, নুসরাতের বান্ধবী নিশাত ও সহপাঠী ফুর্তির সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে বলে আদালত উল্লেখ করে। আদালত চলাকালে মামলা তদন্তাধীন অবস্থায় ১২ আসামি আদালতে ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে তা প্রত্যাহারের আবেদন জানান। এ সময় রাষ্ট্র পক্ষ, বাদীর আইনজীবী, আসামিদের আইনজীবী এবং কাঠগড়ায় থাকা আসামিরা চিৎকার শুরু করেন। বিচারক পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য কাঠগড়ায় থাকা সব আসামির বক্তব্য শুনেন। আসামিদের দেয়া বক্তব্য ছিল প্রায় অভিন্ন। আসামিরা আদালতে অভিযোগ করেন যে পিবিআই রিমান্ডে নিয়ে তাদের ইলেকট্রিক শকসহ বর্বরভাবে নির্যাতন করে সাদা কাগজে আবার কখনও লিখিত বক্তব্য নিয়ে তাতে স্বাক্ষর নিয়েছে। আদালতে দায় স্বীকারের অপরাগতা জানালে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে। তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। মামলার তদন্তকারী ইন্সপেক্টর শাহ আলম বছর কয়েক আগে সোনাগাজী থানায় কর্মরত ছিলেন। তখন অনেকের সঙ্গে তার সখ্য ছিল। তাই কোন পক্ষের হয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী আদায় করেছে। আদালতে পিবিআইর বিরুদ্ধে আসামিরা বক্তব্য দেয়ার আগ মুহূর্তে বিচারক বলেছে, এমন দোহাই দিয়ে আদালতের এজলাশ রুম থেকে সকল গণমাধ্যমকর্মীকে বের করে দেয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর শাহআলম। শাহ আলম সাংবাদিকদের জানান আদালত কক্ষের ভেতরে থেকে সংবাদের তথ্য সংগ্রহের কোন আইন নেই, তাই সকল গণমাধ্যমকর্মীকে বের হয়ে যেতে হবে। এ নিয়ে কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে শাহ আলমের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর সকল গণমাধ্যমকর্মী আদালতের বারান্দায় ৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করে মামলার কার্যক্রম শেষে আইনজীবীদের মাধ্যমে সংবাদ সংগ্রহ করে। বাদীর আইনজীবী এ্যাডভোকেট শাহজাহান সাজু জানান, মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবীরা আইনজীবী নিয়োগ করতে পারছে না সহ অনেকগুলো অযৌক্তিক কারণ দেখিয়ে চার্জগঠনের বিরোধিতা করেন। রাষ্ট্রপক্ষ, বাদীর আইনজীবীরা আইনের উদাহরণ দিয়ে তা খন্ডন করেন।
×