ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুরে সড়ক খাতে নজরকাড়া উন্নয়ন

প্রকাশিত: ০৯:৪৯, ৩০ মে ২০১৯

  শেরপুরে সড়ক খাতে নজরকাড়া উন্নয়ন

রফিকুল ইসলাম আধার, শেরপুর থেকে ॥ শেরপুরে সড়ক যোগাযোগ ও সেতু খাতে বৈপ্লবিক ও নজরকাড়া উন্নয়ন হয়েছে। নজরকাড়া ওইসব উন্নয়নে জেলায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা অধিকতর সহজ, নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও উন্নততর হয়ে উঠেছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে এলাকার জমি-জমার মূল্যসহ অধিবাসীদের কর্মসংস্থান। কৃষিসহ আর্থ-সামাজিক অবস্থার হয়েছে পরিবর্তন। পাল্টে গেছে মানুষের জীবনমান। অন্যদিকে সহজতর যোগাযোগ ব্যবস্থায় সীমান্তের গারো পাহাড়সহ শেরপুর অঞ্চলের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় এলাকায় বেড়েছে পর্যটকদের যাতায়াত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের উন্নয়ন অভিযাত্রার এক দশকে সড়ক ও জনপথ (সওজ), স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এলজিইডি), জেলা পরিষদ ও শেরপুর পৌরসভাসহ চারটি পৌরসভার অধীনে উন্নয়নের চিত্র পর্যালোচনায় পাওয়া গেছে ওই তথ্য। জানা যায়, জেলায় সওজ, এলজিইডি, জেলা পরিষদ ও চারটি পৌরসভার অধীনে গত ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এক দশকের সময়কালে সরকারের সুদূরপ্রসারী উন্নয়ন পরিকল্পনার আওতায় সড়ক যোগাযোগ ও সেতু খাতেই ব্যয় হয়েছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে কেবল সওজ বিভাগের অধীনে প্রায় ৮২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ১৮ শ’ মিটারের সর্বমোট ২২০টি বড় ও মাঝারি ব্রিজ নির্মাণ এবং নকলা-নালিতাবাড়ী নাকুগাঁও স্থলবন্দর সড়ক উন্নয়নের মেগা প্রকল্পসহ প্রায় ১১৮ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন আহমেদ ওই তথ্য জানিয়ে বলেন, ওইসব প্রকল্পের মধ্যে ২৩৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৮.৯০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে নকলা-নালিতাবাড়ী-নাকুগাও স্থলবন্দর সড়ক ২ লেনে প্রশস্ত করা হয়েছে। ওই প্রকল্পের আওতায় সড়কের দুপাশের ভূমি অধিগ্রহণ ও সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বড় ও মাঝারি ব্রিজ-কালভার্ট। একই সময়ে ৮১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সীমান্ত সড়কের শেরপুর অংশে প্রশস্ত করা হয়েছে। ৬৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৪.৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বনগাঁও-নন্নী সড়ক প্রশস্ত ও মজবুতিকরণ হয়েছে। ১১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০.১৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে শেরপুর-নকলা-ফুলপুর-ময়মনসিংহ সড়ক মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে। বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার দুটি সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২.৩০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে শেরপুর-শ্রীবরদী-বকশীগঞ্জ সড়ক প্রশস্তকরণ, ৬৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৩.৮২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে বনগাঁও-নন্নী-হাতিপাগার সড়ক উন্নয়ন করা হয়েছে। প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে নালিতাবাড়ী-পাপিয়াঝুড়ি সড়ক উন্নয়ন, ৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে নকলা-শিববাড়ী সড়ক উন্নয়ন, নকলা-সীমান্ত সড়কের ভোগাই নদীর ওপর ১৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৮৬ মিটার দৈর্ঘ্যরে ভোগাই সেতু ও ৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪৭ মিটার দৈর্ঘ্যরে বগাডুবি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। অন্যদিকে ১৩৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৪.৭০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে জামালপুর-শেরপুর-বনগাঁও সড়ক প্রশস্ত ও মজবুতিকরণ এবং ৪৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১.৬০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে নকলা বাইপাস সড়ক প্রশস্ত ও মজবুতিকরণসহ ৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪৩ মিটার দৈর্ঘ্যরে দুগধা সেতু নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। তাছাড়া ৮২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৪.৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে শেরপুর (আখেরমামুদের বাজার)-লঙ্গরপাড়া-শ্রীবরদী-মামদামারী জেলা সড়ক, ৪৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ২.৬০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে কানাশাখোলা-অষ্টমীতলা সংযোগ সড়ক, ৪১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে নালিতাবাড়ী-বড়–য়াজানি-বাঘাইতলা-হালুয়াঘাট সড়ক, ৪৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৯.৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে শ্রীবরদী-ভায়াডাঙ্গা-ঝিনাইগাতী সড়ক, ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২.৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে জুলগাও-ঝিনাইগাতী-সন্ধ্যাকুড়া সড়ক, ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১.৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে বনগাঁও-নালিতাবাড়ী সড়ক এবং ২৫৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ময়মনসিংহ (রঘুরামপুর)-ফুলপুর-নকলা-শেরপুর (আর-৩৩১) আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নয়নে পৃথক ও বৃহৎ সাতটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ওইসব প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে শেরপুরে সড়ক বিভাগের আওতায় উন্নয়ন ক্ষেত্রে আরও বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে। এদিকে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) সূত্র জানায়, এলজিইডির অধীনে এক দশকে প্রায় ৭ শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ১ হাজার ৩২ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন, ৩ হাজার ৪১০ মিটার সেতু নির্মাণ, ২৬৭ কমপ্লেক্স/একাডেমিক ভবন নির্মাণ এবং ৬ হাজার হেক্টর জমির পানিসম্পদ উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। একইসঙ্গে জেলায় বর্তমানে ২ শ‘ ৪২ কিলোমিটার সড়ক, ৪১০ মিটার সেতু/কালভার্টসহ ২২ কমপ্লেক্স/একাডেমিক ভবন ও ১০ হাটবাজার নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণাধীন রয়েছে। এলজিইডির তথ্যমতে, ২০০৯-২০১৮ সালে জেলায় ৬৪০ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন এবং ৩৯২ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে। এছাড়া জেলায় ১৭২ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক নির্মাণাধীন ও ৭০ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণাধীন রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ঝিনাইগাতী-বাকাকুড়া সীমান্ত সড়ক, সূর্যদী-বলাইরচর রাস্তা উন্নয়ন। এক দশকে জেলায় ৩ হাজার ৪১০ মিটার সেতু/কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে বর্তমানে জেলায় ৪১০ মিটার সেতু/কালভার্ট নির্মাণাধীন রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সদরের দশানী ব্রিজ। একই সময়ে জেলায় দুটি উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স, ২৯ ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স, ৭ হাট-বাজার ও ঘাট নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে জেলায় একটি উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স, ২ ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ও ১০ হাট-বাজার নির্মাণাধীন রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নালিতাবাড়ী উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন ও নলজোড়া বাজার শেড নির্মাণ। একই সময়ে জেলায় ১৩৯ প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি প্রাইমারী ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, ৪ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এবং ৫২ অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসস্থান নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নকলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও সূর্যদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ। একইসঙ্গে বর্তমানে জেলায় ২০ প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণাধীন রয়েছে। জেলায় ৬ হাজার হেক্টর জমির পানিসম্পদ উন্নয়ন করা হয়েছে, ৩১ স্লুইস/রেগুলেটর, ৩ রাবারড্যাম ও ১০ কিলোমিটার খাল খনন করা হয়েছে। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভিশন-২০২১ ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে সরকারের অন্যান্য দফতরের পাশাপাশি শেরপুরে জেলা পরিষদ তৃণমূলের সড়ক যোগাযোগসহ মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে কাজ করছে। আর ওই কাজের ধারাবাহিকতায় গত এক দশকে শেরপুর জেলা পরিষদের অনুকূলে এডিপির ৫১ কোটি ৫৫ লাখ ও নিজস্ব খাতের ৩ কোটি ২১ লাখ টাকাসহ মোট ৫৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে শতাধিক কিলোমিটার পাকা ও ৩ শতাধিক কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা শতাধিক ব্রিজ/কালভার্ট এবং মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য, ম্যুরাল ও যাত্রীছাউনি নির্মাণসহ সামাজিক খাতে বাস্তবায়ন করা হয়েছে অনেকগুলো মাঝারি ও ক্ষুদ্র প্রকল্প। একই কথা জানিয়ে শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া বলেন, ওই সময়ে শেরপুর পৌরসভায় ৭৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে অবকাঠামো উন্নয়নখাতে ১১০ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ, তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৬৬ কিলোমিটার ড্রেনসহ রাস্তা নির্মাণ, নতুন গরুহাটিতে নিরবচ্ছিন্ন নিরাপদ পানি সরবাহের লক্ষ্যে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন আধুনিক ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ও ওয়াটার রিজার্ভার স্থাপন, শ্লাজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ও ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ক্রয় করা হয়েছে। এছাড়া পৌর চিলড্রেন কর্নার, নতুন বাসস্ট্যান্ড মোড়ে যুদ্ধজয় ভাস্কর্য, খোয়ারপাড় মোড়ে নান্দনিক শাপলাচত্বর ও নিউমার্কেট মোড়ে পায়রা চত্বর নির্মাণসহ শহরের প্রবেশ মুখে নান্দনিক সীমানা গেট নির্মাণ করা হয়েছে। একইভাবে একই সময়ে নালিতাবাড়ী, নকলা ও শ্রীবরদী পৌর এলাকাতেও সড়ক যোগাযোগ ও সেতু খাতে করা হয়েছে দৃশ্যমান উন্নয়ন। এজন্য স্থানীয় অধিবাসীসহ সচেতন মহলের অনেকেই বেজায় খুশি। এদিকে সীমান্ত অঞ্চলসহ সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ওই নজরকাড়া উন্নয়নে এলাকার মানুষের যাতায়াত সুবিধা বৃদ্ধি, সড়কের দুপাশসহ আশেপাশের জমিজমার মূল্য বৃদ্ধি পাওয়াসহ খোদ জীবনমানের ক্ষেত্রেই এসেছে পরিবর্তন ও উন্নয়নের ছোঁয়া। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার গারো পাহাড়ের বুক চিরে বয়ে চলা সীমান্ত সড়কে যাতায়াত বেড়েছে উত্তরবঙ্গের রৌমারী-রাজীবপুরে যাতায়াতকারী মালবাহী ট্রাকেরও। সীমান্তের মহাল থেকে আহরিত বালু ও পাথর সহজেই সীমান্তের পথ ধরে পৌঁছে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চল ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে। এতে বেড়েছে স্থানীয়ভাবে খেটে খাওয়া মানুষের কর্মসংস্থান। এছাড়া নৈসর্গিক প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে দিন দিন বাড়ছে পর্যটকদের যাতায়াত। জেলায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রভূত উন্নয়ন প্রসঙ্গে জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হান্নান জানান, সাধিত হওয়ায় নৈসর্গিক শোভামন্ডিত সীমান্ত পথসহ সমস্ত জেলা একদিনেই ঘুরে শেষ করা সম্ভব। এ বিষয়ে শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেন, সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনার আওতায় শেরপুরে গত এক দশকে সড়ক যোগাযোগ খাতে দৃশ্যমান উন্নয়ন ও বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। জেলা সদর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত এখন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নততর ও সহজতর হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে নাকুগাঁও স্থলবন্দর সড়ক উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ও ভুটানের মধ্যে ট্রানজিট শুরু হবার পথ সুগম হয়েছে। এছাড়া সীমান্ত সড়ক নির্মিত হওয়ায় স্থানীয় অধিবাসীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি অপরাধ নিয়ন্ত্রণসহ এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটেছে। চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে সড়ক যোগাযোগ ক্ষেত্রে আরও ভিন্নমাত্রা যোগ হবে।
×