ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

আরও ২৮১ দিন কাজ চালাতে পারবে অ্যাকর্ড

প্রকাশিত: ০২:৩৭, ১৯ মে ২০১৯

আরও ২৮১ দিন কাজ চালাতে পারবে অ্যাকর্ড

অনলাইন রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশে ইউরোপের ক্রেতাদের সমন্বয়ে গঠিত কারখানা পরিদর্শন জোট অ্যাকর্ডের কার্যক্রম চালাতে ২৮১ দিন সময় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এ সময়ের মধ্যে অ্যাকর্ড বিজিএমইএ’র সঙ্গে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্বারক (এমওইউ) অনুসারে সব দায়িত্ব হস্তান্তর (বিজিএমইএ’কে) করবে। পাশাপাশি অ্যাকর্ডের ভেতর বিজিএমইএ’র একটি সেল গঠন করা হবে এবং অ্যাকর্ড ও বিজিএমইএ যৌথভাবে কারখানা পরিদর্শন ও এর নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করবে। অ্যাকর্ডের এক আবেদনের শুনানি নিয়ে রবিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাকর্ডের সময় আবেদনের শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। এছাড়া, বিজিএমইএ'র পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম এবং অ্যাকর্ডের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সালাউদ্দিন আহমেদ। পরে ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম বলেন, ‘অ্যাকর্ড ও বিজিএমইএ’র মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। সেই স্মারকের শর্তানুসারে অ্যাকর্ডকে এই সময় দেওয়া হয়েছে।’ প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসের পর একই বছরের ১৫ মে ইউরোপের ২০টি দেশসহ উত্তর আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার ২০০ ব্র্যান্ড এবং খুচরা ক্রেতা ও কয়েকটি ট্রেড ইউনিয়নের সমন্বয়ে অ্যাকর্ড গঠিত হয়। সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী এরইমধ্যে পাঁচ বছরের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হয়েছে অ্যাকর্ডের। তবে সরকারের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে অতিরিক্ত ছয় মাস সময় এ দেশে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয় অ্যাকর্ড এবং অন্য ক্রেতাজোট উত্তর আমেরিকার অ্যালায়েন্সকে। বর্ধিত সেই মেয়াদও শেষ হয়েছে। এরপর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ অ্যাকর্ডের কার্যক্রম নিয়ে চূড়ান্ত রায় দেন। ওই রায়ে বাংলাদেশ থেকে কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে অ্যাকর্ডকে নির্দেশ দেন আদালত। এরপর মামলাটি আপিল বিভাগে যাওয়ার পর থেকে বারবার সময় আবেদন করে আসছিল অ্যাকর্ড।
×