ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

নৌকায় ভোট চাওয়ায় সাতক্ষীরায় ওসিকে প্রত্যাহার দাবি

প্রকাশিত: ০৫:২০, ২২ ডিসেম্বর ২০১৮

 নৌকায় ভোট চাওয়ায় সাতক্ষীরায় ওসিকে প্রত্যাহার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নৌকা প্রতীকে ভোট চাওয়ায় কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মারুফ আহম্মেদের প্রত্যাহারের দাবিতে ইসিতে চিঠি দিয়েছেন সাতক্ষীরা-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব। এদিকে একই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইসিতে অভিযোগ করে বলেছেন, ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী মোস্তফা লুৎফুল্লাহ তার নির্বাচনী পোস্টারে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করছেন। যা আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন। শুক্রবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা বরাবর পাঠানো পৃথক চিঠিতে তারা এ দাবি জানান। চিঠিতে বিএনপি প্রার্থী অভিযোগ করেন, গত বৃহস্পতিবার কলারোয়া উপজেলা ফুটবল মাঠে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী মুস্তফা লুৎফুল্লাহর পক্ষে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে ভোট চান ওসি মারুফ আহম্মেদ। তার বক্তব্যের ভিডিওটি পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। মঞ্চে আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধানের শীষের প্রার্থীর বিপক্ষে বিষোদগার করেন হাবিবুল ইসলাম হাবিব। সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে একজন ওসির এ রকম আচরণ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৭৭ অনুচ্ছেদ ও নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ বিধিমালা ভঙ্গ হয়েছে। সাতক্ষীরা-১ আসনে বর্তমানে নির্বাচনের বিন্দুমাত্র পরিবেশ নেই। কলারোয়া থানার ওসি শেখ মারুফ আহম্মদ এতদিন ধরে প্রচারণায় বাধা ও বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ভাংচুর করেছেন। এসব ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় হাবিব নিজেও এলাকা ছেড়েছেন বলে কমিশনকে অবহিত করেন তিনি। এদিকে কমিশনে দেয়া লিখিত অভিযোগে সৈয়দ দিদার বখত বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সাতক্ষীরা-১ আসনের প্রতিদ্বদ্বী প্রার্থী মোস্তফা লুৎফুল্লাহ তার নির্বাচনী পোস্টারে নিজের দল ওয়ার্কার্স পার্টি প্রধান রাশেদ খান মেননের ছবি ব্যবহার না করে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করছেন। যা আচরণবিধির ৭ এর ২ উপবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এই ছবি ব্যবহার করে দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সুনামকে ব্যবহার করে জনগণকে বিভ্রান্ত ও ব্ল্যাকমেইল করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার অপচেষ্টা হচ্ছে। তিনি বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করে ব্যক্তি সুবিধা অর্জনের এই অপচেষ্টা দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে যথাযথ বিচার এবং তাকে সংসদ সদস্য হওয়ার অযোগ্যতা ঘোষণা-পূর্বক নির্বাচন কমিশন একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে আমাদের বিশ্বাস। গত বুধবার নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা দলীয় প্রধান ছাড়া অন্য কারও ছবি নির্বাচনী প্রচার পোস্টারে ব্যবহার করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। এর আগে শরিক দলের প্রার্থীরা ধানের শীষ প্রতীকে অংশ নিলে প্রচার কাজে বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়ার ছবি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত চেয়ে দলটি কমিশনকে চিঠি দেয়।
×