ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাগেরহাটে গৃহবধূ ও যুবক খুন

প্রকাশিত: ০৬:৫৩, ১১ অক্টোবর ২০১৮

বাগেরহাটে গৃহবধূ ও যুবক খুন

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ চিতলমারীতে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে শাহিদা বেগম (৬০) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। নিহত গৃহবধূ শাহিদা বেগম চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের খাগড়াবুনিয়া গ্রামের হেকমত শিকদারের স্ত্রী। চিতলমারী থানার ওসি অনুকূল বিশ্বাস জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ হত্যাকা- সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অপরদিকে, বুধবার সকালে মোল্লাহাটের গাড়ফা গ্রাম থেকে ৩০-৩৩ বছর বয়সী অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। মোল্লাহাট থানার ওসি খায়রুল আনাম জানান, গলায় গামছা বাঁধা/ফাঁস দেয়া এক যুবকের লাশ রাস্তার ঢালে নদীর কূল থেকে উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। কুমিল্লায় স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যা নিজস্ব সংবাদদাতা কুমিল্লা থেকে জানান, স্ত্রীর গলাকাটা এবং স্বামীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে জেলার লাকসাম উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়নের সালেপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই দম্পতি হলেন সালেপুর গ্রামের মুন্সী হেদায়েত উল্লাহর ছেলে ছফিউল্লাহ এবং তার স্ত্রী রাবেয়া। তাদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার রাতে খাবার শেষে স্বামী সফিউল্লাহ (৪০) ও স্ত্রী রাবেয়া বেগম (২৭) ঘুমিয়ে পড়ে। পারিবারিক কলহের জের ধরে গভীর রাতে স্বামী তার স্ত্রীকে গলা কেটে জবাই করে হত্যার পর গলায় রশি দিয়ে সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলে সে নিজেও আত্মহত্যা করে। বুধবার সকালে স্থানীয়রা ঘরের মেঝেতে স্ত্রী রাবেয়ার গলাকাটা ও স্বামীর ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে। ছফিউল্লাহর স্ত্রী রাবেয়া বেগম পার্শ্ববর্তী মনোহরগঞ্জ উপজেলার ৬ নং মৈশাতুয়া ইউপির ইসলামপুর গ্রামের দিন মুজুর আবদুর রহিমের মেয়ে। সে ছফিউল্লাহর দ্বিতীয় স্ত্রী। এ সংসারে তার উম্মে হাবিবা সাথী (১১), সাইফা আক্তার (৪) নামের দুই সন্তান এবং প্রথম স্ত্রীর এক ছেলে জাহিদ (১৪) সহ ৩ সন্তান রয়েছে। জয়পুরহাটে দুই যুবক নিজস্ব সংবাদদাতা জয়পুরহাট থেকে জানান, পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা সড়কের পল্লী বিদ্যুত সমিতির পার্শ্বের জমি থেকে হাত পা বাঁধা ও আক্কেলপুর উপজেলা থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত যুবক উপজেলার হরিহরপুর গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে খুরশিদ। পুলিশ জানায়, বুধবার কৃষকরা মাঠে কাজ করতে গিয়ে ওই যুবকের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। তাকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। অপরদিকে জেলার আক্কেলপুর উপজেলার নলডাঙ্গা গ্রামে মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে বেলাল হোসেনের মরদেহ তার বাড়ির পেছনের জমি থেকে বুধবার উদ্ধার করেছে পুলিশ। নেত্রকোনায় বৃদ্ধা নিজস্ব সংবাদদাতা নেত্রকোনা থেকে জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক নারীর কাঠের পিঁড়ির আঘাতে এক বৃদ্ধা নারী নিহত হয়েছে। বুধবার বিকেল তিনটার দিকে খালিয়াজুরি উপজেলার সরকার হাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বৃদ্ধার নাম আবলছের নেছা (৬০)। তিনি সরকার হাটি গ্রামের মরহুম গেদু মিয়ার স্ত্রী। জানা গেছে, বুধবার বিকেলে আবলছের নেছার মেয়ে আলপিনার একটি গরু একই গ্রামের আজিজুলের বাড়ির কলমী গাছ খেয়ে ফেলে। এ নিয়ে আলপিনা এবং আবলছের নেছার সঙ্গে আজিজুলের স্ত্রী ইতি আক্তারের বাগ্বিত-া হয়। আবলছের নেছার ছেলে সাইদুল ইসলাম জানান, বাগ্বিত-ার একপর্যায়ে ইতি আক্তার কাঠের পিঁড়ি দিয়ে তার মায়ের মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনা স্থলেই তিনি মারা যান। শেরপুরে সেনাসদস্যের স্ত্রী নিজস্ব সংবাদদাতা শেরপুর থেকে জানান, ঝিনাইগাতীতে তাহমিনা আক্তার শিখা (২০) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের বাঐবাধা গ্রামে থাকা স্বামী সেনাসদস্য নবী হোসেনের বসতঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। তবে গৃহবধূর ওই ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পরিবারের লোকজন অভিযোগ তুলেছেন, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। জানা যায়, প্রায় ২ বছর আগে ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের নলকুড়া গ্রামের নুরুজ্জামানের মেয়ে তাহমিনা আক্তার শিখাকে বিয়ে করে পার্শ্ববর্তী বাঐবাধা গ্রামের আজগর আলীর ছেলে সেনাসদস্য নবী হোসেন। বিয়ের পর থেকেই তাহমিনার ওপর চলে আসছিল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। সিলেটে বৃদ্ধ স্টাফ রিপোর্টার সিলেট অফিস থেকে জানান, বিশ্বনাথে নিখোঁজের একদিন পর ইউসুফ আলী (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও (ছিক্কা) গ্রামের বাসিন্দা। বুধবার দুপুরে গ্রামের পার্শ্ববর্তী ধানী জমি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবি ইউসুফ আলীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। জানা গেছে, বাড়ির সীমানা নিয়ে ইউসুফ আলীর দুই ভাই মুক্তা আলী ও মুুছন আলীর মধ্যে পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ৬ অক্টোবর মারামারি হয়। এই ঘটনায় ৮ অক্টোবর মুক্তার আলীর স্ত্রী জোনাকী বেগম বাদী হয়ে ইউসুফের স্ত্রী শাহারুন নেছাসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তদন্তে মঙ্গলবার বিকেলে থানার এসআই নবী হোসেন ইউসুফ আলীর বাড়িতে যান। এ সময় ইউসুফ গোপনে ঘরেই অবস্থান করছিলেন। পুলিশ চলে আসার পর ইউসুফ আলী মাগরিবের নামাজ আদায় করে ঘর থেকে বের হলে আর বাড়িতে ফিরে আসেননি ।
×