ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ৬ অক্টোবর ২০১৭

উবাচ

মওদুদ মনে করেন- স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাড়া জাগানো খবর নিয়ে হঠাৎ করেই হাজির হলেন বিএনপির আলোচিত নেতা মওদুদ আহমদ। রাজনীতির মাঠে সব সময় তিনি নানা ইস্যুতে আলোচনার মধ্যে থাকতে চান। তাই হয়ত সাড়া জাগানো খবর নিজ থেকে আবিষ্কার করেছেন। এতে তিনি নিজেও বাহবা নিতে পারবেন। অনেকের কাছে পছন্দের নেতা হিসেবে আরও ঘনিষ্ঠতা বাড়বে। অথচ যে খবর তিনি দিয়েছেন তা ডাহা মিথ্যা। তাঁর দেয়া তথ্য সম্পর্কে কারও জানা নেই। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে ‘গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে’ দাবি করে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, এর মাধ্যমে সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতার মৃত্যু ঘটিয়েছে। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কাউকে সাক্ষাত করতে দেয়া হচ্ছে না। আইনজীবীরা তার সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলে বলা হয়েছে তিনি অসুস্থ। তার আত্মীয়-স্বজনকেও দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। তার বাসার টেলিফোন লাইনটিও বিচ্ছিন্ন। একটি দেশের প্রধান বিচারপতিকে গৃহবন্দী করে রাখা হবে, অথচ এ খবর কেউ জানবেন না এটা কি সত্যিই বিশ্বাসযোগ্য। তাছাড়া এমন কি পরিস্থিতির মুখে প্রধান বিচারপতিকে গৃহবন্দী করা হয়েছে। যার উত্তর হয়ত বিএনপির এ নেতাই ভাল দিতে পারবেন। তিনি প্রধান বিচারপতির গৃহবন্দীর খবর কোথা থেকে পেলেন এ রকম কোন সূত্র উল্লেখ করেননি। অনেকেই বলছেন, এটি মওদুদের মনগড়া বক্তব্য। যা শুধু রাজনীতির প্রয়োজনেই নিজে নিজেই আবিষ্কার করেছেন। জাতীয় প্রেসক্লাবে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট আয়োজিত ‘নগ্ন দলীয়করণে বিপর্যস্ত শিক্ষাব্যবস্থা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। কোন কমেন্ট পাইনি- ফখরুল স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিজ হাতে রাষ্ট্রপতির কাছে ছুটির আবেদন করেছেন প্রধান বিচারপতি। অথচ এ বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে বিএনপিসহ বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এ নিয়ে নানা রকমের কথা চালাচালি চলছেই। রাজনৈতিক বোদ্ধাদের মতে প্রধান বিচারপতির ছুটি ইস্যুতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা বিএনপির। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ছুটিতে যাওয়া নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে ‘অসুস্থতার কথা বলে’ সরকার তাকে ‘জোরপূর্বক’ দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রেখেছে। বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এসে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেছেন। যা সাধারণ মানুষের কাছে হাস্যকর বিষয়। নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, ‘গত পরশু (সোমবার) সন্ধ্যায় তার (প্রধান বিচারপতি) বাসভবনে সাক্ষাতপ্রার্থী সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনেই জনৈক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মাননীয় প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ‘আমি সুস্থ আছি, কিন্তু কথা বলতে পারব না। এ থেকে প্রমাণিত হয়, মাননীয় প্রধান বিচারপতি অসুস্থ নন। তাকে জোর করে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা হয়েছে। ‘সর্বোচ্চ আদালতের সর্বোচ্চ বিচারপতির সঙ্গে এমন আচরণ করা থেকে প্রমাণিত হয় যে, এই সরকার অস্তিত্ব সঙ্কটের ভীতিতে বেসামাল হয়ে পড়েছে। আমরা সর্বোচ্চ আদালতের বিরুদ্ধে সরকারের এহেন আক্রোশমূলক ঘৃণ্য আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।’ বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রধান বিচারপতির অফিস থেকে আমরা এখন পর্যন্ত কোন কমেন্টস পাইনি এবং তিনি এক মাসের ছুটি নিয়েছেন বা কি করেছেন, কি অবস্থায় আছেন, তার অসুখ হয়েছে, না হয়েছে- তার কার্যালয় থেকে আমরা এখন পর্যন্ত কোন রকমের ইনফরমেশন পাইনি। ‘আমরা অবশ্যই প্রধান বিচারপতির কার্যালয়ের কাছে জানতে চাই, দেশ ও জাতি জানতে চায় যে, এখন প্রধান বিচারপতির অবস্থানটা কী?’ আগস্টে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর থেকেই ক্ষমতাসীনদের সমালোচনার মুখে থাকা প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার ছুটিতে যাওয়ার খবর গত সোমবার প্রকাশের পর থেকেই বিভিন্ন মহলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। বিএনপির পক্ষ থেকে এ নিয়ে ছড়ানো হচ্ছে নানা ধরনের ডালপালা। ফলে অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছেন। ভয় আছে- শেলী স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে যথাসময়ে নির্বাচন হবে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সরকার পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখছেন না একজন। কথা বলছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের সুরে। তিনি হলেন সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মীজানুর রহমান শেলী। তিনি বলেছেন, ‘মানুষ ভয় পায়, অস্বাভাবিক কোন পরিবর্তন হবে কিনা। ক্ষমতার কোন পরিবর্তন হবে কিনা। আওয়ামী লীগের পক্ষে স্বাভাবিক পরিবর্তনে যাওয়ার ভয়টা হচ্ছে দেশে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তারা ভীত হয়ে আছে। তারাও পরিবর্তনকে ভয় পায়। ভয় পায় এ জন্য যে, তারা জানে না পরিবর্তনে কোন প্রতিহিংসা আসবে কিনা। এই প্রতিহিংসা কি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে, সে চিন্তা করে তাদের পক্ষে ক্ষমতা সহজে ছাড়া সম্ভব নয়।’ বুধবার কয়েকটি গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন সাবেক এই মন্ত্রী। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগ, বিএনপির সমালোচনাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলেন। আওয়ামী লীগের ‘এক্সিট পয়েন্ট’ কী হবে, তারা তা জানে না। এটিই দলটির সবচেয়ে বড় সমস্যা বলে মন্তব্য করেন ড. মীজানুর রহমান শেলী। প্র্রতিশোধ-পরিস্থিতির শঙ্কা থেকে উত্তরণের জন্য জাতীয় সংলাপের প্রয়োজন দেখছেন শেলী। তিনি বলেন, ‘সত্যিকারভাবে বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে সব দ্বন্দ্ব ভুলে প্রতিহিংসার জায়গায় না গিয়ে একটা ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে সাংবিধানিক বাধা প্রসঙ্গে শেলী বলেন, ‘জাতি চাইলে, সবাই একমত হলে সংবিধান পরিবর্তন হবে। প্রয়োজনে (সাবেক প্রধান বিচারপতি) খায়রুল হকের রায়টিও বিবেচনায় আনা যেতে পারে।’ তিনি জানান, সত্যিকারের জাতীয়তাবাদী, স্বাবলম্বী অর্থনৈতিক মতাদর্শ এবং কোন বিশেষ দেশের প্রতি নতজানু নীতি না রেখে যদি কোন উদ্যোগ গৃহীত হয়, সে ধরনের উদ্যোগে নিজেকে যুক্ত করবেন তিনি।
×