নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া, ২২ সেপ্টেম্বর ॥ পটিয়া উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়ন সীমান্তের কালীগঞ্জ ব্রিজ দীর্ঘ ২১ বছর ধরে জোড়াতালি দিয়ে চলছে। প্রতিদিন এ ব্রিজের ওপর দিয়ে পাঁচ সহস্রাধিক অটোরিক্সা-পিকআপসহ বিভিন্ন পরিবহন চলাচল করে থাকে। গুরুত্বপূর্ণ এ ব্রিজটি তিন ভাগে বিভক্ত। তার মধ্যে পটিয়ার অংশে স্ট্রিল, মাঝখানে ঢালাই এবং আনোয়ারার অংশে স্ট্রিল রয়েছে। স্বাধীনতার পর আনোয়ারা উপজেলার সঙ্গে পটিয়ার যোগাযোগ বাড়াতে কিরিঞ্জা খালের ওপর ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়, যা দিয়ে ১৯৯৬ সালে ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে কোন রকমে জোড়াতালি দিয়ে এলাকার লোকজন পারাপার হয়ে থাকেন। বর্তমানে এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোন মুহূর্তে ব্রিজের উত্তর ও দক্ষিণ অংশের স্ট্রিল ভেঙ্গে লোকজন হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে।
জানা গেছে, পটিয়া উপজেলার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী আনোয়ারা উপজেলার যোাগযোগ বাড়াতে ১৯৭১ সালের পর কিরিঞ্জা খালের ওপর ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। খালের দুই পাড় ক্রমান্বয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে ১৯৯৬ সালে একপর্যায়ে ব্রিজের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) কর্তৃপক্ষ চলাচলের জন্য ব্রিজের উত্তর ও দক্ষিণ পাড়ে স্ট্রিলের ব্রিজ নির্মাণ করে। এরপর থেকে এলাকার লোকজন কোন রকমে যাতায়াত করতে থাকেন। কিরিঞ্জা খালটি উপজেলার শিকলবাহা খাল হয়ে কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। প্রতিদিন মালবাহী সাম্পান কিরিঞ্জা খাল হয়ে চট্টগ্রাম শহরে যাচ্ছে। কাশিয়াইশ ইউনিয়নের আবুল কালাম নামের এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে কালীগঞ্জ ব্রিজটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। পটিয়া ও আনোয়ারা উপজেলার হাজার হাজার নারী-পুরুষ প্রতিদিন এ ব্রিজ দিয়ে পারাপার হয়ে থাকেন। এটি ভেঙ্গে পড়ে যে কোন মুহূর্তে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) আনোয়ারা উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মশিউর রহমান বলেন, ব্রিজের ডিজাইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ব্রিজের দুই পাড়ের বেশকিছু ভূমি অধিগ্রহণ করতে হবে। সেটারও প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: