বিশেষ প্রতিনিধি ॥ যশোর জেলা আওয়ামী লীগের কোন্দল এখনও মেটেনি। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতারা জেলার নেতাদের সঙ্গে দুই দফায় বৈঠকে বসেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে ধানম-িতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ ৬ ঘণ্টার বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এ সময় তারা যশোর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের অপূর্ণাঙ্গ কমিটিগুলোকে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ করে অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনের নির্দেশ দেন।
বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এস এম কামাল হোসেন ছাড়াও জেলা নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে আবদুর রহমান বলেন, সব দলের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হবে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ পুনরায় নির্বাচিত হবে, শেখ হাসিনা আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন। এই নির্বাচন হবে আওয়ামী লীগ তথা স্বাধীনতা পক্ষের শক্তির জন্য একটি চ্যালেঞ্জের নির্বাচন। এ নিয়ে জয়ী হতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বৈঠক সূত্র জানায়, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে সম্মেলন নেই। নেতারা দলীয় কর্মকা-ে তেমন সক্রিয় নয় বলে অভিযোগ করেন জেলা সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার। তবে এ অভিযোগ নাকচ করে সদর নেতারা শাহীন চাকলাদারের স্বেচ্ছারিতার অভিযোগ তোলেন। শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হলেও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে দীর্ঘদিন পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। তবে দুটি পৃথক কমিটি জেলায় জমা পড়েছে। দুই কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। মনিরামপুর পৌর আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ সমস্যা দ্রুত নিরসনের তাগাদা দেয়া হয়েছে।