ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

মৈত্রী সংলাপ শেষ ॥ গুয়াহাটি ঘোষণা গৃহীত

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ

প্রকাশিত: ০৬:১১, ৬ জুলাই ২০১৭

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ গুয়াহাটি ঘোষণার মধ্যে দিয়ে অসমে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সংলাপের অষ্টম পর্ব শেষ হয়েছে। সংলাপের ঘোষণায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও দু’দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ঘাটতিতে ভারসাম্য আনতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। মঙ্গলবার সংলাপ শেষে অসমের গুয়াহাটি ঘোষণা দেয়া হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অসমের গুয়াহাটিতে তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী অষ্টম পর্বের সংলাপে বিভিন্ন পর্বে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর, অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানান্দ সনোয়াল প্রমুখ। ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর রিজিওনাল স্ট্যাডিজ, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ইনস্টিটিউট অব এশিয়ান স্ট্যাডিজ, স্টেট ইনোভেশন এ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন আয়োগ এবং গুয়াহাটিতে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন যৌথভাবে এ সংলাপ আয়োজন করে। গত রবিবার এই সংলাপের উদ্বোধন করা হয়। গুয়াহাটি ঘোষণায় বলা হয়েছে, বিগত সাত বছরে দু’দেশের অর্জিত ভিশনারি অগ্রগতি দৃঢ় পদক্ষেপ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলো থেকে আরও ঘনিষ্ঠ তদারকির মাধ্যমে অব্যহত রাখতে হবে। বৈঠকে দক্ষিণ এশিয়া বিশেষ করে ভারত ও বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধিতে পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতির প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়। এতে ‘উত্তরপূর্ব ভারত ও বাংলাদেশ : সমৃদ্ধি অঞ্চল হিসেবে সীমান্ত’ শীর্ষক এক ভিশন ডকুমেন্ট ও গবেষণাপত্র তৈরি করে এক বাণিজ্য সম্মেলন আয়োজনের পরামর্শ দেয়া হয়। অষ্টম সংলাপে টেকসই রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আস্থা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও অংশীদারিত্বভিত্তিক সমৃদ্ধির জন্য দু’দেশের জনগণের মধ্যকার যোগাযোগ ও বাণিজ্য সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এতে ২০৩০-এর জন্য দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ভিশনের পরামর্শ দেয়া হয়। সংলাপে ষষ্ঠ ও সপ্তম দফা বৈঠকে নেয়া পদক্ষেপ বিশেষ করে শান্তিপূর্ণ সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, পানি ও জ্বালানি নিরাপত্তা, যোগাযোগ, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে বলা হয়, সভ্যতা-সংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতার জন্য শহীদদের আত্মত্যাগ এবং সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্কের অটুট বন্ধন। নবম দফা মৈত্রী সংলাপ আগামী বছরের প্রথম দিকে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হবে।
×