আজ সুন্দরবন রক্ষা কমিটির হরতাল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আজ এক অন্যরকম হরতালের দিন। আহ্বানকারীরা বলছে হরতাল হবে ধ্বংসের নয় সৃষ্টির। গাড়ি ভাংচুর বা বাধা সৃষ্টি করা হবে না। প্রত্যাশা করা হচ্ছে সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে শামিল হবে। রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত প্রকল্প বাতিলের দাবিতে তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুত-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগরীতে আধাবেলা (৬টা-২টা) হরতাল ও দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করছে। গত কয়েক বছরে রাজনৈতিক দলগুলোর হরতালে সাধারণ মানুষের সাড়া নেই। ঘৃণাভরে হরতাল প্রত্যাখ্যান করে রাস্তায় নামে সাধারণ মানুষ। কেউ কেউ বলছেন বিএনপি-জামায়াত জোটের হরতালকেই সাধারণ মানুষ পাত্তা দেয় না। সেখানে জাতীয় কমিটির হরতালে আর কিইবা হবে। হরতাল আহ্বানকারীরা বলছেন, আজকের হারতাল ক্ষমতার সংকীর্ণ সংঘাতে সম্পদ ধ্বংসের নয়, বরং সম্পদ রক্ষা-সম্পদ সৃষ্টি ও বাংলাদেশ রক্ষার। এই হরতাল জ্বালাও-পোড়াও নয়, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের। বিবৃতিতে ঢাকা মহানগরীর সকল প্রতিষ্ঠান, যান্ত্রিক পরিবহন ও ব্যক্তিগত কাজ বৃহস্পতিবার বেলা ২টা পর্যন্ত বন্ধ রেখে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করে সুন্দরবন রক্ষা আন্দোলনে শরিক হতে ঢাকাবাসীর প্রতি আহবান জানানো হয়। হরতালের সমর্থনে জাতীয় কমিটি, কমিটিভুক্ত বিভিন্ন সংগঠন ও সুন্দরবনের সমর্থক নানা শ্রেণী পেশার মানুষ বুধবার সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন, মতিঝিলসহ মহানগরীর বিভিন্ন থানায় পদযাত্রা, সমাবেশ, মিছিল করেছে। এসব সমাবেশে জাতীয় কমিটির কেন্দ্রীয়, ঢাকা মহানগর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। হরতালের সমর্থনে সাংস্কৃতিক কর্মী ঢাকা শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে সঙ্গীত পরিবেশন করে সুন্দরবন বাঁচানোর সংগ্রামের অংশ নেয়ার আহ্বান জানান। হরতালের আওতামুক্ত ॥ পথচারী, সাইকেল-রিক্সা-ভ্যান, এ্যাম্বুলেন্স, গণমাধ্যমসহ বিদ্যুত-ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি, কাঁচা বাজার, ওষুধের দোকান হরতালের আওতামুক্ত থাকবে। হরতাল প্রত্যাখ্যান ॥ ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে ঢাকা সিটি এলাকায় ডাকা হরতাল মানবে না সমিতি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বিবৃতিতে জানান, বিএনপি জামায়াত জোটের মতোই জাতীয় কমিটি অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে।