ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

যাত্রী দুর্ভোগ

শরণখোলায় চাঁদা দাবি ॥ পরিবহন বন্ধ

প্রকাশিত: ০৩:৪৮, ৬ জানুয়ারি ২০১৭

শরণখোলায় চাঁদা দাবি ॥ পরিবহন বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ শরণখোলায় বাসস্ট্যান্ড উন্নয়নের নামে এক ইউপি চেয়ারম্যানের চাঁদার দাবিতে দূর পাল্লাগামী পরিবহন বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ করে দিয়েছে মালিক পক্ষ। রাজৈর বাসস্ট্যান্ডের একাধিক পরিবহনের প্রতিনিধি ও কাউন্টারম্যান এ অভিযোগ করেন। হঠাৎ করে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলাচলকারী ফাল্গুনী, হামীম, রাফিন-সাফিন, গ্রামীণ, পর্যটক, বলেশ্বর, সাউদার্ন ট্রাভেলস, বিআরটিসিসহ বহু পরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন শরণখোলা-মোরেলগঞ্জের শতশত যাত্রী। কাউন্টারম্যান কবির হোসেন, মিজানুর রহমান (মিলন), মনিরুজ্জামান মনির, মিজানুর রাকীবসহ অনেকে জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন সম্প্রতি বাসস্ট্যান্ড উন্নয়নের নামে দূরপাল্লার প্রায় ২০টি পরিবহনের কাউন্টারম্যানদের কাছে দৈনিক ৮০-১০০ টাকা হারে চাঁদা দাবি করেন। অন্যথায় কোন পরিবহন রাস্তায় চলাচল করতে দিবেন না বলে হুমকি দেন। এতে গাড়িগুলোর ড্রাইভার ও মালিক পক্ষের মধ্যে ক্ষোভ ও গাড়ি ভাংচুরের শঙ্কা সৃষ্টি হয়। ক্ষুব্ধ তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য শরণখোলা থেকে পরিবহনগুলো সরিয়ে নেন। ফলে শরণখোলা-মোরেলগঞ্জের কয়েক হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। তারা বিষয়টি সমাধানের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ বিষয় দূরপাল্লার পরিবহন সমিতির শরণখোলা শাখার সভাপতি মোঃ নাসিম তালুকদার বলেন, তিনি বিষয়টি ইতোমধ্যে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন এবং অচিরেই আইনের আশ্রয় গ্রহণ করবেন। জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি শেখ নজরুল ইসলাম মন্টু বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন এবং পুনরায় যাতে শরণখোলা থেকে দূরপাল্লার বাস ও পরিবহন চলাচল করতে পারে তার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। এছাড়া বাসস্ট্যান্ড উন্নয়নের জন্য সরকার ও মালিক সমিতি রয়েছেন। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানের চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ বেআইনী। অন্যদিকে, চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন বলেন, চাঁদা চাওয়া নয়, বাসস্ট্যান্ড উন্নয়নের জন্য উপজেলা পরিষদের নির্দেশক্রমে টাকা আদায় শুরু করা হয়েছে। এ টাকা বাসস্ট্যান্ড উন্নয়ন ও পরিষদের কাজে ব্যয় করা হবে। এবং আগামী সপ্তাহ থেকে সকল গাড়ির মালিকদের টাকা গ্রহণের রসিদ প্রদান করা হবে।
×