ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে স্ত্রীর যৌতুক মামলায় পুলিশ সদস্য কারাগারে

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ২২ ডিসেম্বর ২০১৬

রাজশাহীতে স্ত্রীর যৌতুক মামলায় পুলিশ সদস্য কারাগারে

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুকের মামলায় আহসান হাবিব (২৩) নামে এক পুলিশ সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার রাজশাহীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-১ এর বিচারক শাহনাজ পারভীন এই আদেশ দেন। পুলিশ সদস্য আহসান হাবিব (কনস্টেবল নম্বর-১৯৩) পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে (আরআরএফ) কর্মরত। তার বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলার দুবইল গ্রামে। তার বাবার নাম আশরাফুল ইসলাম। বাদীপক্ষের আইনজীবী রইসুল ইসলাম জানান, গত বছরের ৭ জুন আহসান হাবিব জেলার মোহনপুর উপজেলার কালিগ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে রাজিফা খাতুন ওরফে মনিকে (১৯) বিয়ে করেন। বিয়ের পর তিনি শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। এরই মধ্যে বিয়ের কথা গোপন করে তিনি পুলিশে যোগ দেন। তারপর থেকে বাবার কাছ থেকে যৌতুকের টাকা নিয়ে দেয়ার জন্য আহসান হাবিব তার স্ত্রী মনিকে চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু মনির বাবা যৌতুক দিতে না পারায় আহসান তার বিয়ের কথায় অস্বীকার করে বসেন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে মনি আহসানের নামে প্রতারণা ও যৌতুক বিষয়ে আলাদা দুটি মামলা দায়ের করেন। যৌতুকের মামলাটিতে পুলিশ সদস্য আহসানসহ তার বাবা আশরাফুলকেও আসামি করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বুধবার যৌতুক মামলাটিতে আদালতে হাজিরা দিতে আসেন আহসান হাবিব। এ সময় আইনজীবী ইশতেকার আহমেদ শ্যামল আদালতে তার জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে এ দিন আহসান হাবিবের বাবা আশরাফুল ইসলাম আদালতে হাজির হননি। মোহনপুর থানার ওসি এসএম মাসুদ পারভেজ জানান, গত ২৯ নবেম্বর দায়ের করা প্রতারণার মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ১২ জানুয়ারির মধ্যে আদালতে দাখিল করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে আদালত। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। এদিকে রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোয়াজ্জেম হোসেন ভুঁইয়া বলেন, ‘কোন পুলিশ সদস্য ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতার হলে সঙ্গে সঙ্গেই তিনি বরখাস্ত হয়ে যান। তবে কিছু প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে চূড়ান্তভাবে তাকে বরখাস্ত করা হয়। আহসান হাবিবের ক্ষেত্রেও তাই হবে।
×