অনলাইন রিপোর্টার ॥ তিন দিনের ছুটির আমেজ ছিল রাজধানীতে। যানজট আর জনজট দুই কম। আজ শনিবার তার শেষ দিন। কিন্তু শনিবার হঠাৎই রাজধানীতে সৃষ্টি হয়েছে প্রকট যানজট। ছুটির দিন হলেও স্বস্তি পাচ্ছে না মানুষ। অবশ্য কারনটাও জানা গেছে। মূলত, বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলের জন্যই ছুটির দিনেও লেগেছে এই যানজট।
আর এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পােহাচ্ছে প্রেসক্লাব হয়ে মৎসভবন ও শাহবাগ মুখি সড়ক ব্যবহারকারীরা। শুধু এখানেই থেমে নেই মৎসভবন থেকে ভিআপপি রোড হয়ে হোটেল রুপসি বাংলা যেতেও ভোগান্তি পেতে হচ্ছে নগরবাসীদের। রাজধানীতে একটি রাস্তায় চলমান যানজট মুহুর্তের মধ্যেই গোটা রাজাধানীতেই একটু একটু করে প্রভাব ফেলতে শুরু করে। রাজধানীতে দেখা গেছে, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে কাউন্সিলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিএনপির ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল। আর এই কাউন্সিল যদিও উদ্বোধন হয়েছে প্রায় দুপুরে। কিন্তু সকাল থেকেই দলে দলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করে। ফলে ক্রমেই সড়কে গাড়ির চাকা স্লথ হতে থাকে। এক পর্যায়ে তা বন্ধই হয়ে যায়। যানজটে আটকা পরে একাধিক গাড়ির শ্রমিক ও ড্রাইভাররা তাদের ক্ষোভের কথা জানান। ক্ষোভ জানিয়েছে যাত্রীরাও।
ছুটির দিনের এই যানজট মেনে নিতে পারছে না যাত্রীরা। যাত্রাবাড়ি থেকে আসা ইব্রাহিম নামের এক যাত্রি বলেন, সপ্তাহের দু’একটি দিনও যদি একটু স্বস্তিতে-শান্তিতে চলাচল করতে না পারি তাহলে সত্যি নগরে বাস করা আমাদের জন্য অভিশাপ। পরিস্থিতিটা এমন দাঁড়িয়েছে যে মটরসাইকেল নিয়েও পার হতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। আর সেখানে বড়ই অসহায় তিন বা চার চাকার গাড়িগুলো। ওয়েলকাম পরিবহনের এক ড্রাইভার বলেন, ‘ছুটির দিনে একটু ক্ষেপ বেশি মারমু সে চিন্তায় বাহির অইলাম তয় রাস্তায় যে অবস্তা... আটকা পরছি কয় ঘন্টা লাগবো বের হতে আল্লাই যানে।’ এই যানজটের কারণে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের পাশাপাশি মিছিল নিয়ে আসা নেতা-কর্মীদেরও বিড়ম্বনায় পড়তে দেখা যায়। পরে মৎস্য ভবন থেকে শাহবাগ-কাঁটাবনগামী গাড়িগুলোকে অন্য সড়ক গিয়ে চলে যাওয়ার ব্যবস্থা করে ট্রাফিক পুলিশ।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের ভেতরে মূল অনুষ্ঠান হলেও কাউন্সিলে সারাদেশ থেকে আসা প্রতিনিধি-পর্যবেক্ষকদের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের একটি অংশ ব্যবহার করেছিল বিএনপি।
তবে স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় হুড়োহুড়ি ও বিশৃঙ্খলা দেখা গেছে। কাউন্সিলের মূল চত্বরে কার্ডধারী আমন্ত্রিত অতিথি ও কাউন্সিলরদের প্রবেশাধিকার থাকার কথা; কিন্তু পর্যবেক্ষকরা সেখানে ঢুকতে চাইলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। কাউন্সিলে শৃঙ্খলা রক্ষায় স্বেচ্ছাসেবকদের তৎপরতা তেমন দেখা যায়নি। হুড়োহুড়িতে পড়ে গিয়ে শরীরে চোট পেয়েছেন অনেকে। খালেদা জিয়া আসার পর একসঙ্গে অনেকে ঢুকতে গিয়ে রাতের বৃষ্টির কাদামাটিতে লুটোপুটি খান অনেকেই। ছয় বছর পর সারাদেশ থেকে কাউন্সিলে আসা বিএনপি ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিপুল উৎসাহ দেখা গেছে। কাউন্সিল এলাকা ছেয়ে যায় তাদের আনা ব্যানার, ফেস্টুন আর প্ল্যাকার্ডে। বর্ণিল এই আয়োজনে সামিল হয়ে নেতা-কর্মীরা নতুন কমিটির মাধ্যমে দল চাঙ্গা হওয়ার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: