নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ১৯ ফেব্রুয়ারি ॥ ঠাকুরগাঁও জেলায় মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা কমছে না। প্রতি বছরই সামান্য কারণে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। ২০১৫ সালে জেলায় মোট ২১২ জন নারী-পুরুষ আত্মহত্যা করেছে। আগের বছর এই সংখ্যা ছিল প্রায় ২০০। জেলার ৬টি থানা থেকে প্রাপ্ততথ্য অনুযায়ী এ সংখ্যা জানা গেছে। তবে কিছু আত্মহত্যার ঘটনা থানাগুলিতে লিপিবদ্ধ করা হয়নি। ঝামেলা এড়াতে পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি করে থানা পুলিশকে না জানিয়ে লাশের দাফন বা সৎকার করে ফেলেন। ফলে এসব আত্মহত্যা রেকর্ড করা সম্ভব হয়নি। তবে এ সংখ্যা খুব বেশি নয়। সঠিকভাবে পরিসংখ্যান পাওয়া গেলে জেলায় আত্মহত্যার সংখ্যা ২২৫ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রাপ্ততথ্য অনুযায়ী জেলায় ২০১৫ সালে ২১২ জনের মধ্যে গলায় দড়ি দিয়ে মোট ১১৭ জন, বিষপানে আত্মহত্যা করেছে ৪৩ জন এবং আগুনে দগ্ধ হয়ে, ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে, পানিতে ডুবে মারা গেছে ৫২ জন।
পুলিশ জানায়, পারিবারিক কলহ, প্রেম ও পিতামাতার বকুনি খেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ আত্মহত্যা করেছে। ৬ থানার তথ্য অনুযায়ী গত বছর জানুয়ারি মাসে ১৫ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ২২ জন, মার্চে ২৪ জন, এপ্রিলে ১৭ জন, মে মাসে ১৪ জন, জুনে ১৭ জন, জুলাই মাসে ১৭ জন, আগস্টে ২০ জন, সেপ্টেম্বরে ১৭ জন, অক্টোবরে ১৮ জন, নবেম্বরে ১০ জন ও ডিসেম্বরে ২১ জন নারী-পুরুষ আত্মহত্যা করেছে। রেল পুলিশ জানায়, রুহিয়া থেকে পীরগঞ্জ পর্যন্ত এক বছরে ৫ জন ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: