ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ায় কেন্দ্র ফির নামে আদায় করা হচ্ছে বাড়তি টাকা

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ৩০ জানুয়ারি ২০১৬

কলাপাড়ায় কেন্দ্র ফির নামে আদায় করা হচ্ছে বাড়তি টাকা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২৯ জানুয়ারি ॥ কলাপাড়ায় কেন্দ্র ফির নামে ফ্রি স্টাইলে প্রত্যেক এসএসসি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। একই ভাবে দাখিল পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এ টাকা না দিয়ে কোন পরীক্ষার্থী প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে পারছে না। খবর ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী অভিভাবকসহ নির্ভরযোগ্য সূত্রের। পরীক্ষা চলাকালে কক্ষ পরিদর্শক শিক্ষকের রোষানলে পড়ার শঙ্কায় কোন অভিভাবক কিংবা পরীক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ পর্যন্ত দিতে সাহস পাচ্ছে না। এভাবে কোন রসিদ ছাড়াই আদায় করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। অন্তত সাত লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে। এখনও চলছে এ প্রক্রিয়া। নিয়ম রয়েছে, যে কোন টাকা আদায়ের জন্য রসিদ দিতে হবে। অথচ কেউ মানছেন না এসব নিয়ম। জানা গেছে, এ বছর কলাপাড়ায় তিনটি পরীক্ষা কেন্দ্রের চারটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা। নিয়মিত ও অনিয়মিতসহ মোট পরীক্ষার্থী রয়েছে ১৭৮৯ জন। ২৯ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২৫ মাদ্রাসা থেকে মোট ২৩৭৯ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ৩৫০-৪০০ টাকা এবং মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা প্রত্যেকের কাছ থেকে আদায় করছেন ৩০০ টাকা। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, ফরম ফিলাপের সময় প্রত্যেকের কাছ থেকে আড়াই থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা নেয়া হয়েছে। অথচ শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা ছিল ফরম ফিলাপে সর্বোচ্চ ১৬০০-১৭০০ টাকা নেয়ার। যেখানে ট্রান্সক্রিপট ফি পর্যন্ত ধার্য রয়েছে। অভিভাবকরা তখনও কারও কাছে অভিযোগ করে কোন প্রতিকার পায়নি। এ বিষয়ে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের বক্তব্য, বকেয়া বেতনসহ বিশেষ কোচিং ফির নামে কিছু টাকা আদায় করা হয়েছে ফরম ফিলাপের সময়। সবচেয়ে মজার বিষয়, কাউকে কোন রসিদ দেয়া হচ্ছে না। শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে নির্দেশনা রয়েছে- কেন্দ্র ফি আদায় করলেও যাদের ব্যবহারিক পরীক্ষা নেই তাদের কাছ থেকে ২৫০ টাকা এবং যাদের ব্যবহারিক পরীক্ষা রয়েছে তাদের কাছ থেকে ৩০০ টাকা আদায় করা যাবে। কিন্তু এসব নিয়ম কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান মানছেন না। এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী রুহুল আমিন জানান, অনিয়মতান্ত্রিকভাবে কেউ কিছু করলে তাদের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×