এম শাহজাহান ॥ গার্মেন্টস শিল্পের জন্য সর্বশেষ ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। ঘোষিত মজুরি বাস্তবায়নে সবচেয়ে বেশি সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে ছোট ও মাঝারিমানের কারখানাগুলো। পোশাক শিল্পে এসব কারখানার সংখ্যা প্রায় শতকরা ৫০ ভাগ। তবে নতুন মজুরি বাস্তবায়নে কমপ্লায়েন্স কারখানাগুলো পারদর্শিতার পরিচয় দিতে সক্ষম হয়েছে। যাদের সংখ্যা মোট কারখানার ২০-২৫ শতাংশ। বাকি ৩০ ভাগ কারখানা নতুন মজুরি বাস্তবায়ন করছে টেনে হিঁচড়ে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
এদিকে বেতন-ভাতা নিয়ে গার্মেন্টস খাতে এক ধরনের সঙ্কট তৈরি হয়েছে। এখন পর্যন্ত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের বেতন-ভাতাদি পরিশোধ করতে পারেনি প্রায় শতাধিক কারখানা। এসব কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। এই বাস্তবতায় বেতন-ভাতাদি যথাসময়ে পরিশোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে আজ মঙ্গলবার জরুরী সভা আহ্বান করা হয়েছে। শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করছে না এমন কারখানা মালিকদের ওই সভায় তলব করা হয়েছে। এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে করুনীয় নির্ধারণে ওই সভায় উপস্থিত থাকবেন বাণিজ্য, বস্ত্র, শ্রম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, পরিচালক বস্ত্র পরিদফতর, বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ সভাপতি।
জানা গেছে, ভাতাদি বৃদ্ধি পেলেও বিশ্ব মন্দার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে সেভাবে পোশাকের দাম বাড়েনি। ফলে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে ঘোষিত নতুন মজুরি বাস্তবায়ন। এ অবস্থায় প্রণোদনা দিয়ে এ শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার চেষ্টা করছে সরকার। সরকার আশা করছে, ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নের মাধ্যমে মালিকপক্ষ তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: