ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

ছিমছাম ড্রইংরুম

সালমা আহমেদ

প্রকাশিত: ২২:৪৫, ৭ জুলাই ২০২২

ছিমছাম ড্রইংরুম

.

ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ততার যেমন শেষ থাকে না, তেমনি আয়োজনেরও শেষ নেই। কেনাকাটা, ঘর গুছানো। আর নিজের সাজের চেয়ে ঘর সাজানোটাই মুখ্য হয়ে যায় তখন। বিশেষ করে ড্রইংরুমটা। তবে মধ্যবিত্তের জন্য বাজার থেকে কিছু কিনে ঘর সাজানোটা একটু কষ্ট সাধ্যই হয়ে যায়। তাই বলে কি সাজাব না! কেন নয়?
পর্দা : পুরনো পর্দাগুলোই ধুয়ে আয়রন করে টানিয়ে দিন। আর যদি সম্ভব হয় একসেট পর্দা কিনে নিতে পারেন। সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা থেকে শুরু একপিস পর্দার দাম। সাধ আর সাধ্যের মধ্যে একটু আনকমন ডিজাইন দেখে কিনে নিতে পারেন ঘরের প্রয়োজন মতো পর্দা। অথবা এক কালার আর প্রিন্টের গজ কাপড় কিনে নিজে ডিজাইন করে বানিয়েও নিতে পারেন। আজকাল ভ্যানেও সুন্দর ডিজাইনের পর্দা পাওয়া যায়। আর ভাল কোয়ালিটির দামী পর্দা কিনতে হলে যেতে পারেন সাইন্সল্যাব। এছাড়া গাউছিয়া, নিউ মার্কেট, মৌচাক, আনারকলি, তালতলাসহ প্রায় প্রতিটা মার্কেটেই পাবেন পর্দা আর ড্রইংরুম সাজানোর খুঁটিনাটি। চাইলে পর্দায় ব্লক, বাটিক, এপ্লিক করিয়ে নিতে পারেন। তালতলা, মৌচাক, আনারকলিতে পাবেন ব্লক-বাটিকের দোকান। তারা ডিজাইন বুঝে দাম নেবে।
সোফা : সোফার কভার বদলাতে না পারেন, উপরের ম্যাটগুলো বদলে নিন। বা পুরনোগুলোই ধুয়ে আয়রন করে সাজিয়ে নিন। কয়েকটা কুশন রেখে দিন। সোফার কোণে খালি জায়গাটায় সবুজ গাছের টব রাখুন।
কুশন : কুশনগুলো সব সময় যেভাবে রাখেন, ঈদে একটু অন্যভাবে রাখুন। আজকাল মশারি রাখার জন্য সুন্দর ডিজাইনের খোল পাওয়া যায়, ঘরে তো সবারই ২/৩ টা মশারি থাকে। ২/৩ টা খোল কিনে তাতে মশারি রেখে, ভাল করে বেঁধে কুশন হিসেবে চালিয়ে দিতে পারেন।
কার্পেট : রুম ছোট হলে ফ্লোরের মধ্যখানে ছোট একটা কার্পেট বিছিয়ে দিতে পারেন। অথবা বড় পাপোসও কিনতে পারেন বিভিন্ন ডিজাইনের। ৪০০ টাকা থেকে দাম শুরু।
ম্যাট্রেস: ছোট বাসা হলে ড্রইংরুমে ম্যাট্রেস রাখতে পারেন। বাড়িতে মেহমান আসলে থাকতেও পারবে, বসার কাজও হবে। অথবা বাজেট না থাকলে বাসায় তো বাড়তি লেপ,  তোষক, কাঁথা থাকেই। ফ্লোরে চট, ককশিট বা ফ্রিজের বড় কার্টুন বিছিয়ে, তার উপর পাটি দিয়ে তোষক, লেপ, কাঁথা এভাবে বিছিয়ে উপরে সুন্দর একটা চাদর দিয়ে দিন। বিনা খরচায় ম্যাট্রেস হয়ে যাবে। এবার উপরে ছোট-বড় মিলিয়ে সুন্দর কয়েকটা কুশন রেখে দিন।
 শো পিস : দেয়ালে সুন্দর সুন্দর শো পিসে ঝুলিয়ে দিতে পারেন মানি প্ল্যান্ট বা অন্য কোন লতা গাছ। প্লাাস্টিকের ঝুলানো ফুলের গাছও পাওয়া যায়। মাটির তৈরি পটারি বা বিভিন্ন রকম শো-পিস কিনে সাজাতে পারেন। সাইজ আর ডিজাইন বুঝে ২০০ টাকা থেকে শুরু পটারিগুলোর দাম। এসব এখন আর শুধু দোয়েল চত্বরেই না, ঢাকার অনেক জায়গায়ই পাওয়া যায়। এলাকার পাশেই খুঁজে নিতে পারেন।
বারান্দা : বারান্দাটা বড় হলে চারপাশে গাছ রেখে মাঝখানে ছোট কার্পেট বিছিয়ে, কুশন রেখে বসার ব্যবস্থা করতে পারেন। এতে বেলাশেষে নিজেরা বসে চা-নাস্তা খেতে পারবেন। অথবা মেহমান আসলে তাদের নিয়েও বসতে পারবেন। পরিবেশটাই অন্যরকম লাগবে।
ঘর গুছানোর কাজটা অবশ্যই ঈদের আগেরদিন করবেন। তাহলে ঈদেরদিন আলাদা সময় নষ্ট হবে না। একটু গুছিয়ে কাজ করলে নিজের জন্যেও পাবেন একটুখানি সময়।

 

×