ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

টুটুল মাহফুজ

সম্পর্ক থাকুক অটুট

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬

সম্পর্ক থাকুক  অটুট

ছোটখাটো মিথ্যে সম্পর্ক আরও মধুর করে তুলতে মাঝে মাঝে সঙ্গীর কিছু ছোট ছোট বিষয়ে মিছেই প্রশংসা করতে পারেন। এই যেমনÑ নতুন হেয়ারস্টাইলটা খুব সুন্দর হয়েছে বা আজকের ড্রেসটাতে তোমাকে দারুণ লাগছে ইত্যাদি। দেখবেন এতে আপনার সঙ্গীর মন খারাপ থাকলে ভাল হয়ে যাবে। সবকিছু খুলে না বলা মনে করুন, আপনার অতীত জীবনের পুরনো কোন স্মৃতি বা বর্তমানের কোন ঘটনা আপনাকে খুব বেশি চিন্তিত করে তুলছে, যা আপনার সঙ্গীর সঙ্গে শেয়ার করতে পারছেন না। তবে খুব বেশি দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কারণ আপনারা আলাদা দুজন মানুষ যাদের ভিন্ন দুটি স্বতন্ত্র জগত রয়েছে। এমন কিছু বলা থেকে বিরত থাকুন যা আপনার সঙ্গীর হয়ত শুনতে ভাল লাগবে না। আর এতে আপনার সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পরবে না। অন্য কারও প্রতি আকর্ষণ দৈনন্দিন জীবনে আমাদের অনেকের সঙ্গেই চলাফেরা করতে হয়। একটি সম্পর্ক বিদ্যমান থাকার পরেও যদি ভিন্ন কাউকে ‘ভাল লাগে’ তবে সেটা নিতান্তই দোষের কিছু নয়। কারণ ‘ভাল লাগা’ আর ‘ভালবাসা’ ভিন্ন দুটি ব্যাপার। কখনও কখনও জেলাস কিংবা সন্দিহান হওয়া আপনার ভালবাসার মানুষটি না আবার দূরে সরে যায়, এই ভয় আসতেই পারে। প্রিয় মানুষটির কোন কার্যকলাপে তার প্রতি সন্দিহান হয়ে পড়াটা স্বাভাবিক। আবেগতাড়িত অনাকাক্সিক্ষত ভুলত্রুটি যদি কখনও অতিরিক্ত আবেগের বশবর্তী হয়ে এমন কোন ভুল হয়ে যায় তবে শংকিত না হয়ে বা মুষড়ে না পড়ে দুজনের পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমেই তা সমাধান করা উচিত। গবেষণা বলছে, এ রকম কোন সমস্যার পর উদ্ধত আচরণ করলে আবার ভুল হতে পারে। নিজেকে প্রাধান্য দেয়া মনে রাখতে হবে, সবকিছুর উর্ধে আপনি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্য সবকিছুর আগে নিজেকে প্রাধান্য দিতে হয়। কখনও কখনও স্বার্থপর হওয়া অবশ্যই ভাল। কখনও কখনও সঙ্গীর চেয়ে নিজের পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় ব্যয় করা প্রিয়জনের সঙ্গে তো অনেক সময়ই পার করা হয়। সুতরাং মাঝে মধ্যে সঙ্গীর চেয়ে নিজের বাবা-মাকে কিছুটা বেশি সময় দেয়া যেতেই পারে। ক্যারিয়ারকে প্রাধান্য দেয়া ক্যারিয়ারকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে কখনও কখনও অনেক বেশি সময় ব্যয় করতে হয় কাজের ক্ষেত্রে। যদি কখনও এমন কিছু আপনার সঙ্গে হয়ে থাকে তবে নিজেকে দোষী না ভেবে প্রিয় মানুষটাকে ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলুন আর সামনের দিকে এগিয়ে যান। কারণ এটা আপনাদের ভবিষ্যত জীবনকে সুনিশ্চিত এবং সুখকর করবে। বিশেষ দিন ভুলে যাওয়া ভালবাসা মানেই ধারানো স্মৃতিশক্তির চুক্তি চলে আসে না। কখনও জন্মদিন বা বিবাহবার্ষিকী ভুলে যেতেই পারে। এবং ভুলে যাওয়াটা দিয়ে চূড়ান্ত ভালবাসা পরিমাপ করাও উচিত নয়। সব সময় প্রিয় মানুষটার মনের মতো না হতে পারা। কখনই নিজেকে পুরোপুরি পরিবর্তন করা যায় না। এ কারণেই সবক্ষেত্রেই প্রিয় মানুষটার মনের মতো আচরণ করা সম্ভব হয় না। সবসময়ই সঙ্গীর সঙ্গে ঘুরতে না যেতে চাওয়া। আপনি কি ভাবছেন ভালবাসা মানে হলো- ‘জীবনের প্রতিটা পদক্ষেপেই একই সঙ্গে হাঁটা?’ তাহলে বাস্তবে ফিরে আসুন। এটা কখনই সম্ভব নয়। বন্ধুরা আছে না! ওদেরও তো সঙ্গ দিতে হবে নাকি? আপনাদের ভালবাসার সম্পর্কে কখনই এটা ক্ষতির কারণ হবে না। প্রতিদিন ফোনালাপ না করা ভালবাসায় কোন বাধ্যবাধকতা নেই। আপনার ইচ্ছে হতেই পারে একাকী থাকার কিংবা কখনও কখনও সাময়িক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার। নিজেকে আপন করে পেতে চাওয়া নিশ্চয়ই দোষের কিছু না! কথা বলার পরিবর্তে ঘুম সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পরে মহাক্লান্ত হয়ে বাড়িতে ফিরলেন আপনি। তাই অনেক সময় এমনটা হতেই পারে যে, আপনার কথা বলার শক্তি নেই কিংবা ওই মুহূর্তে কথা বলারই ইচ্ছা নাই। মানবযন্ত্রেরও বিশ্রামের প্রয়োজন হয়।
×