বিলিয়নেয়ার মুম্বাই
প্রকাশিত বিলিয়নেয়ার বৈশ্বিক তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুম্বাই। বিলিয়নেয়ারের সংখ্যার দিক দিয়ে চীনের বেইজিংকে ছাপিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে বাণিজ্যিক শহর মুম্বাই। তবে তালিকার শীর্ষে রয়েছে নিউইয়র্ক। জানা গেছে,সেখানে বিলিয়নেয়ারের সংখ্যা ১১৯ জন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে লন্ডন। এই শহরে বিলিয়নেয়ারের সংখ্যা ৯৭ জন।
গ্লোবাল রিচ লিস্ট ২০২৪ প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে মুম্বাইয়ে বিলিয়নেয়ারের সংখ্যা ৯২ জন। আর বেইজিংয়ে ৯১ জন। এক বছরে মুম্বাইয়ে বিলিয়নেয়ার যুক্ত হয়েছে ২৬ জন। বেইজিংয়ে বিলিয়নেয়ার কমেছে ১৮ জন।
হুরুনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে, মোট ৩ হাজার ২৭৯ জন বিলিয়নেয়ারের তথ্য উঠে এসেছে। এর মধ্যে নতুন করে যুক্ত হয়েছেন ১৬৭ জন। ৮১৪ জন বিলিয়নেয়ার নিয়ে বৈশ্বিক তালিকায় শীর্ষে রয়েছে চীন। একই সময়ে দেশটিতে ১৫৫ জন বিলিয়নেয়ার তালিকা থেকে ছিটকে পড়েছেন। অন্যদিকে ভারতে নতুন করে যুক্ত হয়েছেন ১০০ জন বিলিয়নেয়ার।
হুরুনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ভারত অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী ছিল। দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও রেকর্ড সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। বিলিয়নেয়ারের সংখ্যায় ভারতে এ ঊর্ধ্বগতি দেশটির অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও আস্থার প্রতিফলন বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। এর মধ্যে ক্রমবর্ধমান সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে মুম্বাইকে।
বিলিয়নেয়ার বসবাস করে এমন ১০ শীর্ষ শহরের তালিকায় যুক্ত হয়েছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। বরাবরের মতো শীর্ষ ধনীর তালিকায় প্রথমে রয়েছেন ইলোন মাস্ক। দশম স্থানে রয়েছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি। ১৫তম স্থানে উঠেছেন গৌতম আদানি।
বিলিয়নেয়ার সমৃদ্ধ ১০টি শহরের মধ্যে রয়েছে নিউইয়র্ক, লন্ডন, মুম্বাই, বেইজিং, সাংহাই, শেনজেন, হংকং, মস্কো, নয়াদিল্লি ও সান ফ্রান্সিসকো।
২০২২ সালে ফোর্বসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সারাবিশ্বে ২৬৬৯ বিলিয়নেয়ার থাকা স্বত্বেও বাংলাদেশের কেউ নেই সেই তালিকায়।
শিলা
