ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

আবারও মঞ্চে জেনেসিসের ‘দামাল ছেলে নজরুল’

প্রকাশিত: ০৯:৩৪, ২০ আগস্ট ২০১৯

আবারও মঞ্চে জেনেসিসের ‘দামাল ছেলে নজরুল’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাম্যের কবি, দ্রোহের কবি, প্রেমের কবি কাজী নজরুল ইসলামের আত্মজীবনী অবলম্বনে তৈরি হয়েছে মঞ্চ নাটক ‘দামাল ছেলে নজরুল’। কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৩তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে নাটকটি মঞ্চস্থ করতে যাচ্ছে জেনেসিস থিয়েটার। ‘দামাল ছেলে নজরুল’ নাটকটির এ পর্যন্ত ১৯টি মঞ্চায়ন হয়েছে। আগামীকাল নাটকটির ২০তম মঞ্চায়ন হবে বলে জানা গেছে। শাশ্বত জীবন সত্যের প্রত্যয়নিষ্ঠ ভাষক। কাব্য আর সঙ্গীতে যিনি প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন অভেদ ও সুন্দর সাম্যকে। সেই মহান কবি কাজী নজরুলের জীবনচিত্র তুলে ধরে নাটকটি রচনা করেছেন মাহমুদ উল্লাহ। আর নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন জেনেসিস থিয়েটারের প্রধান নূর হোসেন রানা। দল সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল ২১ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে নাটকটির বিশেষ মঞ্চায়ন হবে। ‘দামাল ছেলে নজরুল’ নাটকের কেন্দ্রীয় নজরুলের চরিত্রে অভিনয় করেন তরুণ অভিনেতা ইমন খান। এ ছাড়া নাটকে আরও অভিনয় করেন নূর হোসেন রানা, নিথর মাহবুব, নুসরাত লিয়া, ফারজানা রনি, ইকবাল, আফরোজা, সাকিব, মোক্তার, সালমা, মিলন, সমুদ্র, অহনা, মোহাম্মদ আলী, পান্না, স্বপন, সোনিয়া, আব্দুর রাজ্জাক, মহিদুল, শিশুশিল্পী সারজানা, ইয়াশফা প্রমুখ। ‘দামাল ছেলে নজরুল’ নাটকের কোরিওগ্রাফি করেছেন ইমন খান, আবহসঙ্গীত বিকাশ, কস্টিউম ডিজাইন ইকবাল খান ও ফারজানা রনি এবং সেট ডিজাইন করেছেন নির্দেশক নূর হোসেন রানা নিজেই। ‘দামাল ছেলে নজরুল’ নাটকের কাহিনীতে দেখা যাবে নজরুল ছেলেবেলায় বাবাকে হারিয়ে নিদারুণ কষ্টের মাঝে ছোট বোন কুলসুম আর মাকে নিয়ে ক্ষুধা, তৃষ্ণা সহ্য করে বড় হয়। মসজিদে ইমামতি করে সংসার চালাতে কষ্ট হয় বলে, লেটোদলে কাজ নেয় নজরুল। সেখানেও ঠিকমতো পয়সা না পেয়ে রুটির দোকানে কাজ শুরু করেন। এভাবেই বাউ-ুলের মতো জীবন চালনার জন্য মায়ের বকুনি আর বিবেকের তাড়নায় ইন্সপেক্টর কাজী রফিজুল্লাহ সাহেবের বাড়ি ময়মনসিংহে লজিং থেকে আবারও পড়াশোনা শুরু করেন নজরুল। সেখানে তিনি লজিং বাড়ির মেয়ে সিতারার সঙ্গে পরিচিত হন। এক সময় সেখান থেকে আবার চলে আসেন চুরুলিয়ায় মায়ের কাছে। ভর্তি হন রাণীগঞ্জে শিয়ারশোল স্কুলে। এই স্কুলে থাকা অবস্থায় ইংরেজ তাড়ানোর কাজ শুরু করেন নজরুল। চলে যান যুদ্ধে, যুদ্ধের পাশাপাশি তাঁবুতে রাতের আঁধারে মাওলানা হাফিজের কাছে সাহিত্যচর্চা অব্যাহত রাখেন। অতঃপর সেখানে হাবিলদার নজরুল বাঙালী পল্টন ভেঙ্গে দেয়ার পর আবার কলকাতা এসে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম নামক অস্ত্র হাতে নেন তিনি। সাপ্তাহিক বিজলী পত্রিকায় ইংরেজদের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহী’ কবিতা প্রকাশ পেলে নতুন করে সারাদেশে ঝড় তোলে। সে সময় নজরুল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা পোষণ করেন। এসব নিয়ে নাটকটির কাহিনী রচনা হলেও এর মাঝেই রয়েছে- লেটোদলের গান, নাচ, আবৃত্তি, পালা, হাফিজের দিওয়ানসহ নজরুলের প্রতি সিতারা, রমাবৌদি, ঠাকুরমা, অরুণাদি ও পিনাকিদের ভালবাসার গল্প।
×