ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

স্থায়ী ক্যাম্পাসে ডিআইইউ

প্রকাশিত: ০৭:১৮, ১২ জুন ২০১৬

স্থায়ী ক্যাম্পাসে ডিআইইউ

দেশে বর্তমানে বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অন্যতম। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদযাত্রা শুরুর প্রথম দিকেই ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. এবিএম মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী ১৯৯৫ সালে এই ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেন। আইন, ব্যবসায় প্রশাসন, সমাজ বিজ্ঞান ও অর্থনীতি বিভাগের মোট ১৬৮ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। এর পর এখানে চালু করা হয় কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিক্স এ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মেসী ও হিউম্যান রাইটস ‘ল’ বিভাগ। সম্প্রতি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ চালু করা হয়েছে। বর্তমানে ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার। স্থায়ী শিক্ষক সংখ্যা প্রায় ১৫০ জন। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ খ-কালীন পাঠদান দিয়ে থাকেন। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৭ হাজার ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছে। সম্প্রতি ঢাকার বাড্ডার সাঁতারকুলে বিশাল এলাকাজুড়ে নির্মাণ করা হচ্ছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস। ইতোমধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে। স্থায়ী ক্যাম্পাসে ক্লাস চলছে ফার্মেসী, বিএসসি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইংরেজী বিভাগ ও সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের। পর্যায়ক্রমে অন্য বিভাগগুলো এখানে স্থানান্তর করা হবে। স্থায়ী ক্যাম্পাসে ছেলে ও মেয়েদের নিজস্ব হোস্টেল, নিকুঞ্জ জোয়ার সাহারায় ছেলেদের এবং গ্রীনরোডে মেয়েদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব হোস্টেল রয়েছে। এছাড়া বনানী ও গ্রীনরোডে চারটি ভবনে প্রায় দেড় লাখ (১৫০০০০) বর্গফুট অবকাঠামোতে এ ইউনিভার্সিটির প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. কে এম মহসীন বলেন, ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম অধ্যাপক ড. মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষার কথা চিন্তা করেই প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাই অন্যান্য ইউনিভার্সিটির কোর্স ফির চেয়ে তুলনামুলক এখানে কম টিউশন ফি দিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্যারিয়ার নির্ভর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে পারেন।’ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ডা. এস কাদির পাটোয়ারী বলেন, ১৯৯৫ সালে ‘জ্ঞানই শক্তি’ এ সেøাগানকে সামনে রেখে এ ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ সেøাগানের গুরুত্ব তা আজও বহন করে চলছে। এ ইউনিভার্সিটির বিশেষত্ব হলো, বিভিন্ন সামাজিক ও মানব কল্যাণকর কাজে অংশগ্রহণ। যেমন সামাজিক ব্যবসা, অ্যান্টি ট্যোবাকো সেলের কার্যক্রম পরিচালিত করছে। পাশাপাশি উন্নত মানসিকতা গড়ে তুলতে ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ করানো হয়, দেশে এবং দেশের বাইরে। মুক্তবুদ্ধি চর্চার জন্য তারা বিতর্ক প্রতিযোগিতায়ও অংশগ্রহণ করে থাকে। যেমন ২০১৪ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় এটিএন বাংলা পার্লামেন্ট ডিবেট প্রতিযোগিতায় ফাইনালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে হারিয়ে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি চ্যাম্পিয়ন হয়। এবারকার প্রতিযোগিতায় তারা রানারআপ হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ইংরেজী ভাষার ওপর দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ইন্টারন্যাশনাল ল্যাংগুয়েজ ইনস্টিটিউট এর নামে ইউনিভার্সিটির এমওইউ স্বাক্ষর করেছে। সর্বোপরি ছাত্রছাত্রীদের ইংরেজীতে দক্ষতা অর্জনের জন্য ফাউন্ডেশন চালু রয়েছে। যোগাযোগ : ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাড়ি-০৪, সড়ক-০১, ব্লক-এফ, বনানী, ঢাকা-১২১৩। ফোন : ০১৬১১৩৪৮৩৪৫, ০১৯৩৯ ৮৫১০৬০। নাঈম খান
×